বাংলাদেশের রাখাইনদের স্বতন্ত্র জীবনধারা-সংস্কৃতি নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র “রাখাইন রোজনামা” (Rakhains)

Описание к видео বাংলাদেশের রাখাইনদের স্বতন্ত্র জীবনধারা-সংস্কৃতি নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র “রাখাইন রোজনামা” (Rakhains)

রাখাইন। রোজকার জীবনযাত্রায়, ধর্ম ও ভাষার স্বাতন্ত্রে, পেশার বৈচিত্রে, উৎসব ও সংস্কৃতির লালনে বাংলা মাকে সাজিয়েছে রংধনুর রঙে। জানবো রাখাইন রোজনামা।
বাংলাদেশের পর্যটন স্বর্গ কক্সবাজার। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতই শুধু নয়, এখানে পর্যটকদের আকর্ষণ করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রাখাইনদের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি। কক্সবাজার ছাড়াও এই জনগোষ্ঠীর বসবাস মূলত পটুয়াখালি ও বরগুনার উপকূলবর্তী এলাকায়।
রাখাইন বা রক্ষাইন শব্দের অর্থ রক্ষণশীল জাতি। উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে, রাখাইন জাতির আবির্ভাব খ্রিস্টপূর্ব তিন হাজার তিনশত পনেরো বছর আগে। কক্সবাজারে রাখাইনরা প্রথম আসে আঠারো শতকের শেষে মিয়ানমার থেকে। বর্তমানে এ জেলার চৌফলদণ্ডী, মহেশখালি, রামু, হারবাং ও টেকনাফে রয়েছে রাখাইনদের বসতি।
মাঝারি ধরনের দেহাকৃতি, অধিকাংশক্ষেত্রে ফর্সা গায়ের রং, চ্যাপ্টা নাক এবং দাড়ি-গোঁফে স্বল্পতা রাখাইনদের অন্তর্ভূক্ত করেছে মঙ্গোলয়েড নরগোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্ত।
রাখাইন সমাজ পিতৃপ্রধান হলেও পরিবারের উন্নয়নে নারী-পুরুষ কাজ করে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে।
বিশেষ ধরনের মাচা জাতীয় ঘর নির্মাণে অভ্যস্ত রাখাইনরা। হিংস্র জীবজন্তু- পোকামাকড়, বন্যা-জলোচ্ছ্বাস ও আর্দ্রতা থেকে রক্ষা পেতে এ ধরনের ঘর তৈরি করে তারা।
কক্সবাজারের রাখাইনরা মূলত বৌদ্ধধর্মের থেরবাদী মতবাদের অনুসারী। বৌদ্ধধর্মের স্থাপনা হিসেবে রাখাইন এলাকাগুলোতে দেখা যায় ক্যাং বা বিহার, সীমা ঘর বা মন্দির এবং প্য়াগোডা বা জাদি। মহেশখালির গোরকঘাটায় অবস্থিত বড় রাখাইনপাড়া বৌদ্ধবিহার। প্রায় ২৮৩ বছর আগে নির্মিত এই বৌদ্ধবিহারটি শুধু রাখাইনদের উপাসনাস্থলই নয়, প্রতিনিয়ত এখানে ভীড় করে বহু পর্যটক।
রাখাইনদের নিজস্ব ভাষার নাম রাখাইন ভাষা। অত্যন্ত প্রাচীন ও সমৃদ্ধ এই ভাষার
রয়েছে নিজস্ব বর্ণমালা। রাখাইন বর্ণমালায় ৩৩টি ব্যে বা ব্যাঞ্জনবর্ণ এবং ১২টি ছারা বা স্বরবর্ণ মিলে মোট ৪৫টি বর্ণ রয়েছে। রাখাইন বর্ণমালা শেখানোর ক্ষেত্রে প্রথমে ব্যাঞ্জনবর্ণ এবং পরে স্বরবর্ণ শেখানো হয়।
Video link:
   • বাংলাদেশের রাখাইনদের স্বতন্ত্র জীবনধা...  
#Butterflyinfotainment
#Rakhains

Комментарии

Информация по комментариям в разработке