Скачать или смотреть শ্রীজগন্নাথের মহাপ্রসাদ কিভাবে আসে ? শ্রদ্ধাসহকারে একবার প্রসাদ পেলে তার আর পুনর্জন্ম হবে না

🔱 শ্রীজগন্নাথের মহাপ্রসাদ কিভাবে আসে?
🥣 একবার শ্রদ্ধায় প্রসাদ পেলে, আর পুনর্জন্ম হয় না!

🔶 মহাপ্রসাদ কীভাবে আসে:
শ্রীজগন্নাথের মহাপ্রসাদ পুরীধামে জগন্নাথ মন্দিরে প্রতিদিন নির্দিষ্ট নিয়মে প্রস্তুত হয়। এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ রান্নাঘরে তৈরি হয়, যেখানে ৫৬ প্রকার ভোগ রান্না হয় – যাকে বলে ছাপ্পান্ন ভোগ।

এই রান্না হয় ৭টি বড় বড় মাটির হাঁড়িতে, একটার ওপর আরেকটা বসিয়ে। বিস্ময়ের ব্যাপার হলো – ওপরের হাঁড়ির ভোগ আগেই সিদ্ধ হয়, তারপর নিচেরগুলো! এটা এক অলৌকিকতা – দেবতার ইচ্ছায় মহাপ্রসাদের রহস্য!

প্রথমে ভোগ নিবেদন হয় ভগবান লক্ষ্মী দেবীকে, এরপর ভগবান শ্রীজগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা দেবীকে। এই ভোগ তখন নৈবেদ্য।
তৎপর পরে এটি যায় সুদর্শন চক্রের সামনে – যাকে বলা হয় মহাপ্রসাদ। এই সুদর্শনই ভোগকে দেবতার প্রসাদে পরিণত করেন।

🔶 কেন একবার মহাপ্রসাদ গ্রহণে আর জন্ম হয় না?
মহাপ্রসাদ শুধু খাদ্য নয় – এটি শ্রীজগন্নাথের কৃপা ও সান্নিধ্যের বহিঃপ্রকাশ।
যিনি ভক্তিভাবে একবারও মহাপ্রসাদ গ্রহণ করেন, তাঁর সমস্ত পাপ বিলীন হয়।
স্কন্দ পুরাণে বলা আছে —
👉 “মহাপ্রসাদে বিষ্ণু: স্বয়ং বিরাজমান।”
এই প্রসাদ আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে এবং মোক্ষের দ্বার উন্মুক্ত করে।

🔶 বিশ্বাস অনুযায়ী:
যে ব্যক্তি জীবনে একবারও ভক্তিভরে শ্রীজগন্নাথের মহাপ্রসাদ গ্রহণ করে,
সে পুনর্জন্মের বন্ধন থেকে মুক্তি পায়।

🕉️ তাই বলা হয়:
✨ “মহাপ্রসাদ হ’ল মোক্ষের পথ!”
✨ “প্রসাদ নয়, এটি শ্রীজগন্নাথের স্নেহের স্বরূপ!”