Скачать или смотреть ষোড়শ শতাব্দীতে তৈরি করা ঐতিহাসিক মথুরাপুর দেউলThe h. Mathurapur Deul was built in the 16th century.

মথুরাপুর দেউল এর ইতিহাসঃ
-------------------------------------------------
মথুরাপুর দেউল বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার মথুরাপুর গ্রামে অবস্থিত একটি দেউল।
এই প্রত্নতাত্তিক অবকাঠামোটি আনুমানিক ষোলশ শতাব্দীতে তৈরি করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।

বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার গাজনা ইউনিয়নের মথুরাপুর গ্রামে মথুরাপুর দেউলটি অবস্থিত। এই দেউলটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মধুখালী বাজার থেকে মধুখালী-রাজবাড়ী ফিডার সড়কের দেড় কিলোমিটার উওরে এবং মধুখালী-বালিয়াকান্দি আঞ্চলিক সড়কে মধুখালী সদর থেকে দুই কিলোমিটার দূরে গাজনা ইউনিয়নে সড়কের পশ্চিম দিকে দেউলটি অবস্থিত। যার বিপরীত দিক দিয়ে বয়ে গেছে চন্দনা নদী।

প্রচলিত আছে, সংগ্রাম সিংহ নামক বাংলার এক সেনাপতি এটি নির্মাণ করেছিলেন। খৃষ্টপূর্ব ১৬৩৬ সালে ভূষণার বিখ্যাত জমিদার সত্রাজিতের মৃত্যর পর সংগ্রাম সিংহকে এলাকার রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং তৎকালীন শাসকের তত্বাবধানে তিনি বেশ ক্ষমতাবান হয়ে উঠেন। এলাকার রীতি অনুসারে তিনি কাপাস্তি গ্রামের এক বৈদ্য পরিবারের মেয়েকে বিয়ে করেন এবং মথুরাপুর বসবাস করেন।

অন্য এক সূত্র মতে, ভারত বর্ষের সম্রাট আকবরের বিখ্যাত সেনাপতি মানসিং রাজা প্রতাপাদিত্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ের স্মারক হিসেবে এই দেউল নির্মাণ করেছিলেন। সে অনুযায়ী, মথুরাপুর দেউল একটি বিজয় স্তম্ভ।

এই দেউলটি বারোকোন বিশিষ্ট এবং মাটি থেকে প্রায় ২১.২ মিটার উঁচু, যার ভিতর একটি ছোট কক্ষ রয়েছে। এর গঠন প্রকৃতি অনুসারে একে মন্দির বললে ভূল হবে না। এটি একটি রেখা প্রকৃতির দেউল। ষোড়শ শতাব্দীর স্থাপনা গুলোর মধ্যে মথুরাপুর দেউল সম্ভাবত একমাত্র রেখা প্রকৃতির দেউল। দেউলটি বারো কোন বিশিষ্ট একটি ভবনের মতো স্থাপনা। দেউলটিতে দুইটি প্রবেশ পথ আছে। একটি দক্ষিণ মুখী অন্যটি পশ্চিম মুখী। এটি তৎকালীন ভবনগুলোর মধ্যে একমাত্র বারোকোণ বিশিষ্ট কাঠামো। বারোটি কোণ থাকায় উপর থেকে দেখলে এটিকে তারার মতো দেখা যায়। দেউলটির উচ্চতা ৮০ ফুট। স্থাপনাটির মূল গঠন উপাদান চুন-সুরকির মিশ্রণ। দেউলের বাইরের দেয়ালটি লম্বালম্বিভাবে সজ্জিত, যা আলোছায়ার সংমিশ্রণে এক দৃষ্টিনন্দন অনুভূতির সৃষ্টি করে। পুরো স্থাপনা জুরে টেরাকোটার জ্যামিতিক ও বাহারী চিত্রাংকণ রয়েছে। রামায়ণ হিন্দু পৌরাণিক কাহীনির চিত্র, গায়ক, নৃত্যকলা, পবন পুত্র বীর এবং যুদ্ধচিত্র ও এই দেউলের গায়ে খচিত রয়েছে। প্রতিটি কোনের মাঝখানে কৃত্তিমূখা স্থাপনা রয়েছে।তবে দেউলটির কোথাও কোন লেখা পাওয়া যায়নি। বাংলার ইতিহাসে এর নির্মাণশৈলী অনন্য বৈশিষ্ট বহন করে। এটি প্রত্নতত্ব অধিদপ্তর ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একটি সুরক্ষিত সম্পদ।।

চ্যানেলটি ভাল লাগলে Subscribe করবেন।

Alauddin travels/
Faridpur/Modhukhali/
Bangladesh//