Скачать или смотреть বাংলাদেশে ক্যান্সারের চিকিৎসা | Cancer Treatment in Bangladesh

বাংলাদেশে ক্যান্সারের চিকিৎসা কেমন?

ডা. মোঃ তৌছিফুর রহমান
মেডিকেল এন্ড রেডিয়েশন অনকোলজিস্ট
কনসালটেন্ট, টিএমএসএস ক্যান্সার সেন্টার, বগুড়া।

চেম্বার :
ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার,
শেরপুর রোড, বগুড়া
শনি থেকে বুধবার (৫.৩০টা থেকে ৮.৩০ টা)
সনো টাওয়ার ২, কলেজ মোড়, কুষ্টিয়া
প্রতি শুক্রবার (সকাল ১০ টা থেকে ৫ টা)
এপয়েন্টমেন্ট 01701560011
01701560012, 01972130373

বাংলাদেশে ক্যান্সারের চিকিৎসা ব্যবস্থায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও এখনও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান। বর্তমানে ক্যানসারের সব ধরনের আধুনিক চিকিৎসা যেমন - শল্যচিকিৎসা (সার্জারি), কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, হরমোনথেরাপি, এবং ইমিউনোথেরাপি দেশে উপলব্ধ।

সুবিধা:

চিকিৎসার সহজলভ্যতা: জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল (NICRH) সহ বেশ কয়েকটি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যান্সারের চিকিৎসা দেওয়া হয়। এছাড়া, বেসরকারি পর্যায়ে এভারকেয়ার হাসপাতাল ঢাকা, ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল, আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার ও জেনারেল হাসপাতালসহ আরও কিছু উন্নত মানের হাসপাতাল ক্যান্সার চিকিৎসা প্রদান করছে।

কম খরচ (সরকারি ক্ষেত্রে): সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার খরচ বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় তুলনামূলকভাবে কম। যেমন, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সম্পূর্ণ রেডিওথেরাপি কোর্সের খরচ তুলনামূলকভাবে কম।

দক্ষ চিকিৎসক: দেশে অভিজ্ঞ এবং প্রশিক্ষিত ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ, রেডিয়েশন অনকোলজিস্ট, মেডিকেল অনকোলজিস্ট, পেডিয়াট্রিক অনকোলজিস্ট এবং মেডিকেল ফিজিসিস্ট রয়েছেন।

অসুবিধা ও চ্যালেঞ্জ:

সীমিত অবকাঠামো: ক্রমবর্ধমান রোগীর সংখ্যার তুলনায় চিকিৎসা সুবিধা, বিশেষ করে রেডিওথেরাপি মেশিনের সংখ্যা অত্যন্ত সীমিত। WHO-এর মান অনুযায়ী বাংলাদেশে ১৬০টি রেডিওথেরাপি সেন্টার থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ২০-২৪টি কেন্দ্র রয়েছে।

ব্যয়বহুলতা: ক্যান্সারের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। একজন রোগীর পকেট থেকে গড়ে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা খরচ হতে পারে, যা অনেক পরিবারের জন্য বহন করা কঠিন। কেমোথেরাপি, সার্জারি এবং অন্যান্য পরীক্ষার খরচ অনেক বেশি।

ঢাকা-কেন্দ্রিক চিকিৎসা: বেশিরভাগ উন্নত ক্যান্সার চিকিৎসা সুবিধা রাজধানী ঢাকাতেই কেন্দ্রীভূত, যার ফলে ঢাকার বাইরের রোগীদের জন্য চিকিৎসা গ্রহণ কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়ায়।

সচেতনতার অভাব: ক্যান্সারের লক্ষণ এবং প্রতিরোধ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে এখনও ব্যাপক অসচেতনতা রয়েছে, যা রোগের দেরিতে নির্ণয়ের অন্যতম কারণ। দেরিতে নির্ণয়ের কারণে অনেক ক্ষেত্রেই আশানুরূপ ফল পাওয়া যায় না।

তথ্য ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা: বাংলাদেশে কোনো সুপ্রতিষ্ঠিত "ক্যান্সার রেজিস্ট্রি" বা নজরদারি ব্যবস্থা না থাকায় ক্যান্সারের সঠিক প্রবণতা এবং ধরণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহে অসুবিধা হয়।

সার্বিকভাবে, বাংলাদেশে ক্যান্সারের চিকিৎসা উন্নত হচ্ছে, তবে ব্যাপক জনগোষ্ঠীর জন্য এটি সুলভ ও সহজলভ্য করতে আরও অবকাঠামো উন্নয়ন, জনবল বৃদ্ধি এবং সচেতনতা সৃষ্টির প্রয়োজন।

Disclaimer
This channel is for informational purposes only. It is not intended to be a substitute for professional medical advice, diagnosis, or treatment. Always seek the advice of your doctor with any questions you may have regarding a medical condition or health problems. Reliance on any information provided on this channel is solely at your own risk.