Скачать или смотреть বায়তুল মোকাররম মসজিদের অজানা ইতিহাস

বায়তুল মোকাররম মসজিদের অজানা ইতিহাস

বায়তুল মোকাররম মসজিদ হলো বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ। এই মসজিদটি ঢাকার প্রাণকেন্দ্র পল্টনে অবস্থিত। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মসজিদ এবং ধারণ ক্ষমতার দিক থেকে এটি পৃথিবীর ১০ম বৃহত্তম মসজিদ। ১৯৬৮ সালে নির্মিত বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই মসজিদটি সম্পর্কে আজকে আপদেরকে সকল তথ্য জানাতে চলেছি।
বায়তুল মোকাররম মসজিদ এর ইতিহাস
এই মসজিদটির নির্মান কাজ শুরু হয় ১৯৬৮ সালে। অর্থাৎ তখনও বাংলাদেশ পূর্ব পাকিস্তান ছিল। সেই সময়ে পাকিস্তানের বিশিষ্ট শিল্পপতি লতিফ বাওয়ানী ঢাকায় একটি বড় মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা করেন। তার সঙ্গে ছিল তার ভাতিজা ইয়াহিয়া বাওয়ানী। তিনি এই মসজিদ নির্মাণের উদ্দেশ্যে ঢাকায় আসেন এবং ১৯৫৯ সালে “বায়তুল মোকাররম মসজিদ সোসাইটি” গঠন করেন। এই সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল এই মসজিদ নির্মাণের সকল পরিকল্পনা করা। পুরান ঢাকায় এবং নতুন ঢাকার মিলনস্থলে এই মসজিদের জন্য প্রায় ৮.৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। স্থানটি নির্বাচনে গুরুত্ব দেওয়া হয় মানুষের সুবিধার কথা। এই মসজিদটি বর্তমানে যে স্থানে রয়েছে সেই সময়ে এখানে বড় একটি পুকুর ছিল। যাকে পল্টন পুকুর নামে ডাকা হতো। মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯৬৩ সালে। তবে মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল ২৭ জানুয়ারি ১৯৬০ সালে। তৎকালীন পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান এই মসজিদের কাজের উদ্বোধন করেন। ১৯৬৩ সালের ২৫শে জানুয়ারি বায়তুল মোকাররম মসজিদে প্রথম নামাজ আদায় করা হয়। তারপর বাংলাদেশ আলাদা হয়ে যাওয়ার পর ১৯৭৫ সালে “ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ” গঠন করে মসজিদ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ তাদেরকে দেওয়া হয়। বিভিন্ন সময়ে মসজিদের পরিবর্তন পরিবর্ধন করা হয়েছে। ২০০৮ সালের পরিবর্তনে এই মসজিদের ধারণক্ষমতা 40 হাজার পর্যন্ত হয়।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের নকশা / ডিজাইন
মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা করার পর মসজিদের ডিজাইন কেমন হবে সেটা নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিল আব্দুল লতিফ ইব্রাহিম বাওয়ানী। তাইতো তিনি পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের বিশিষ্ট স্থপতি আব্দুল হোসেন হারিয়ানিকে মসজিদের ভবনের নকশা তৈরি করার জন্য নিযুক্ত করেন। মসজিদের ডিজাইন করা হয়েছে সম্পূর্ণ আধুনিক ধারণা থেকে। এখানে প্রাচীর নির্মাণ শৈলী এর কোন অস্তিত্ব নেই। তবে প্রধান গেটে কিছুটা মোগল অস্তিত্ব কিছুটা লক্ষ করা যায়। বায়তুল মোকাররম মসজিদ একটি বর্গাকৃতির মসজিদ। এই বর্গাকৃতির বিষয়টি নেওয়া হয়েছে মুসলিমদের পবিত্র স্থান কাবা ঘরের ডিজাইন থেকে।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব
বাংলাদেশের জাতীয় এই মসজিদটিতে এখন পর্যন্ত সাতজন খতিব দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বপ্রথম খতিবের দায়িত্ব পালন করছিলেন মাওলানা আব্দুর রহমান কাশগরি। তিনি ১৯৭১ সালে ইন্তেকাল করেন। তার পরবর্তীতে খতিবের দায়িত্ব পালন করেন মাওলানা ক্কারী উসমান মাদানী। এরপর আরো অনেকেই দায়িত্ব পালন করেছেন। তারমধ্যে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক মাওলানা সালাউদ্দিন সাহেব। তিনি ২০০৯ সালের ৫ ই জানুয়ারি থেকে এই দায়িত্বে রয়েছেন।
বায়তুল মোকাররম মসজিদ এর ধারণক্ষমতা
মসজিদটি প্রথম যখন তৈরি করা হয়েছিল তখন ৩০ হাজার মানুষ একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারবে সেভাবেই তৈরি করা হয়েছিল। তবে এর পরে বিভিন্ন সময়ে এর পরিবর্তন, পরিবর্ধন করা হয়েছে। এখনো এর বিভিন্ন অংশে সংস্কার কাজ চলছে। এখন সর্বশেষ ২০০৮ সালে এই মসজিদটির আয়তন বড় করা হয় এবং ধারণ ক্ষমতা বাড়ানো হয়। সৌদি সরকারের অর্থায়নে মসজিদটিতে নতুনভাবে এই কাজ করানো হয়। এখন এই মসজিদে 40 থেকে 42 হাজার মানুষ একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারে। ঢাকায় দুটি ঈদের অনেকগুলো জামাত এই মসজিদে আয়োজন করা হয়।

#Dakpion #banglanews24

Most Popular Videos:

$$ বিশ্বের জনপ্রিয় ১০ জন পর্ণ তারকার ইতিহাস    • বিশ্বের জনপ্রিয় ১০ জন পর্ণ তারকার ইতিহাস  
$$ জনপ্রিয় গায়ক তাহসানের জীবনের অজানা কাহিনী    • জনপ্রিয় গায়ক তাহসানের জীবনের অজানা কাহিনী  
$$ সেলফি কুইন সাফা কবিরের জীবনের অজানা কাহিনী    • সেলফি কুইন সাফা কবিরের জীবনের অজানা কাহিনী  
$$ কিংবদন্তী ক্রিকেটার মাশরাফির অজানা জীবন সংগ্রামের ইতিহাস    • কিংবদন্তী ক্রিকেটার মাশরাফির অজানা জীবন সং...  
$$ বাইতুল মুকাদ্দাস মসজিদের অজানা ইতিহাস    • বাইতুল মুকাদ্দাস মসজিদের অজানা ইতিহাস  

বায়তুল মোকাররম মসজিদের অজানা ইতিহাস