বাংলা আল কোরআনের মর্মবানী । পারা ১২ ।। Bangla Al Quran || Para 12 || Bangla Anubad || সহজ কোরান

Описание к видео বাংলা আল কোরআনের মর্মবানী । পারা ১২ ।। Bangla Al Quran || Para 12 || Bangla Anubad || সহজ কোরান

বাংলা আল কোরআনের মর্মবানী । পারা ১২ ।। Bangla Al Quran || Para 12 || Bangla Anubad || সহজ কোরান

কোরআনের পরিচয়ঃ
কোরআন আল্লাহর নাযিলকৃত ঐ কিতাবকে বলা হয়, যা তিনি তার শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর উপরে দীর্ঘ তেইশ বৎসর কালব্যাপী বিভিন্ন পর্যায়ে, প্রয়োজন মোতাবেক অল্প অল্প করে অবতীর্ন করেছিলেন। ভাষা এবং ভাব উভয় দিক হতেই কোরআন আল্লাহর কিতাব। অর্থাৎ কোরআনের ভাব (অর্থ) যেমন আল্লাহর তরফ হতে আগত তেমনি তার ভাষাও।

কোরআন নাযিলের কারণঃ
নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল ভক্ষনের পরে আদম (আঃ) ও হাওয়া (আঃ)-কে বেহেশ্‌ত হতে দুনিয়ায় পাঠানোর প্রাক্কালে আল্লাহ্‌ তায়ালা বলে দিয়েছিলেন যে, “তোমরা সকলেই এখান হতে নেমে পড়। অতঃপর তোমাদের কাছে আমার পক্ষ হতে জীবন বিধান যেতে থাকবে পরন্তু যারা আমার জীবন বিধান অনুসারে চলবে, তাদের ভয় ও চিন্তার কোন কারণ থাকবে না। (অর্থাৎ দুনিয়ার জীবনের সমাপ্তিতে তারা আবার অনন্ত সুখের আধার এই বেহেশতেই ফিরে আসবে)। আর যারা উহাকে অস্বীকার করে আমার নিদর্শন সমূহকে মিথ্যা সাব্যস্ত করবে, তারা হবে জাহান্নামের অধিবাসী এবং সেখানে তারা অনন্তকাল থাকবে”। (সূরা বাকারা আয়াত নং ৩৮,৩৯)

আল্লাহ তায়ালার উক্ত ঘোষণা মোতাবেকই যুগে যুগে আদম সন্ততির কাছে আল্লাহর তরফ হতে হেদায়েত বা জীবন বিধান এসেছে। এই জীবন বিধানেরই অন্য নাম কিতাবুল্লাহ। যখনই কোন মানব গোষ্ঠী আল্লাহর পথকে বাদ দিয়ে নিজেদের মন গড়া ভ্রান্ত পথে চলতে থাকে, তখনই কিতাব নাযিল করে আল্লাহ মানুষকে সঠিক পথের সন্ধান দিয়ে থাকেন।

মানব সৃষ্টির সূচনা হতে দুনিয়ায় যেমন অসংখ্য নবী-রসূল এসেছেন, তেমনি তাঁদের উপরে নাযিলকৃত কিতাবের সংখ্যাও অগণিত। নবীদের মধ্যে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) যেমন সর্বশেষ কিতাব। অতঃপর দুনিয়ায় আর কোন নতুন নবীও আসবে না এবং কোনও নতুন কিতাবও অবতীর্ণ হবে না।

কোরআনের আলোচ্য বিষয় ও উদ্দেশ্যঃ
কোরআনের আলোচ্য বিষয় হল, মানব জাতি। কেননা মানব জাতির প্রকৃত কল্যাণ ও অকল্যাণের সঠিক পরিচয়ই কোরআনে দান করা হয়েছে। কোরআনের উদ্দেশ্য হল মানব জাতিবে খোদা প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থার দিকে পথ প্রদর্শন, যাতে সে দুনিয়ায়ও নিজের জীবনকে কল্যাণময় করতে পারে এবং পরকালেও শান্তিময় জীবনের অধিকারী হতে পারে।


কোরআন নাযিল হওয়ার পদ্ধতিঃ

কোরআনকে বুঝা এবং তাকে হৃদয়ঙ্গম করার নিমিত্ত কোরআন নাযিল হওয়ার পদ্ধতি অনুধাবন করা অপরিহার্য। মনে রাখা দরকার যে, কোরআন গ্রন্থাগারে একই সময় নবী করীমের (সঃ) উপরে অবতীর্ণ হয়নি। বরং যে বিপ্লবী আন্দোলন পরিচালনার দায়িত্ব নবী (সঃ) এবং তার আত্মোৎসর্গিত সাথীদের উপরে আল্লাহ চাপিয়ে দিলেন, সেই আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে অল্প অল্প প্রয়োজনানুসারে পূর্ণ তেইশ বৎসর কালব্যাপী অবতীর্ণ হয়েছে।

হযরত মুহাম্মদ (সঃ) চল্লিশ বছর বয়সে নবুয়ত প্রাপ্ত হন এবং পূর্ণ তেইশ বছর কাল নবী হিসেবে খোদা প্রদত্ত দায়িত্ব পালন করে তেষট্টি বছর বয়সে দুনিয়া ত্যাগ করেন। এই সুদীর্ঘ তেইশ বৎসর কালব্যাপী বিভিন্ন পর্যায় কোরআনের বিভিন্ন অংশ আল্লাহর রসূলের প্রতি অবতীর্ণ হতে থাকে।

মক্কী-মাদানী

নবুয়াত প্রাপ্তির পরে হযরত (সঃ) তের বৎসরকাল মক্কা শরীফে অবস্থান করেন এবং মক্কা ও উহার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ইসলামের দাওয়াত দিতে থাকেন। মক্কায় অবস্থানকালীন এই দীর্ঘ তের বছরে যে সব সূরা নবীর (সঃ) উপরে অবতীর্ণ হয়েছে তাকে বলা হয় মক্কী সূরা।

অতঃপর আল্লাহর নবী মদীনা শরীফে হিযরত করেন এবং দীর্ঘ দশ বছরকাল মদীনায় অবস্থান করে ইমলামকে একটি জীবন্ত-বিধান হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে পরকালের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। মদীনায় অবস্থানকালীন এই দশ বছর কালব্যাপী কোরআন মজীদের যে সব সূরা হযরত (রঃ) উপরে অবতীর্ণ হয়েছে উহাকে বলা হয় মাদানী সূরা।

০১: সুরাঃ ফাতিহা
০২: সুরাঃ বাক্বারাহ
০৩: সুরাঃ আলে-ইমরান
০৪: সুরাঃ নিসা
০৫: সুরাঃ মায়িদাহ
০৬: সুরাঃ আন’আম
০৭: সুরাঃ আ’রাফ
০৮: সুরাঃ আনফাল
০৯: সুরাঃ তাওবা
১০: সুরাঃ ইউনূস
১১: সুরাঃ হুদ
১২: সুরাঃ ইউসুফ
১৩: সুরাঃ রা’দ
১৪: সুরাঃ ইব্রাহীম
১৫: সুরাঃ হিজর
১৬: সুরাঃ নাহল
১৭: সুরাঃ বনী ইসরাইল
১৮: সুরাঃ কাহফ
১৯: সুরাঃ মারইয়াম
২০: সুরাঃ ত্ব-হা
২১: সুরাঃ আম্বিয়া
২২: সুরাঃ হাজ্জ
২৩: সুরাঃ মু’মিনুন
২৪: সুরাঃ নূর
২৫: সুরাঃ ফুরক্বান
২৬: সুরাঃ শু’আরা
২৭: সুরাঃ নামল
২৮: সুরাঃ ক্বাসাস
২৯: সুরাঃ আনকাবূত
৩০: সুরাঃ রূম
৩১: সুরাঃ লুকমান
৩২: সুরাঃ সাজদাহ
৩৩: সুরাঃ আহযাব
৩৪: সুরাঃ সাবা
৩৫: সুরাঃ ফাতির
৩৬: সুরাঃ ইয়াসিন
৩৭: সুরাঃ সাফ্ফাত
৩৮: সুরাঃ সোয়াদ
৩৯: সুরাঃ যুমার
৪০: সুরাঃ মুমিন
৪১: সুরাঃ ফুসসিলাত
৪২: সুরাঃ শূরা
৪৩: সুরাঃ যুখরূফ
৪৪: সুরাঃ দুখান
৪৫: সুরাঃ জাছিয়াহ
৪৬: সুরাঃ আহক্বাফ
৪৭: সুরাঃ মুহাম্মদ
৪৮: সুরাঃ ফাত্হ
৪৯: সুরাঃ হুজুরাত
৫০: সুরাঃ ক্বাফ
৫১: সুরাঃ যারিয়াত
৫২: সুরাঃ তূর
৫৩: সুরাঃ নাজম
৫৪: সুরাঃ ক্বামার
৫৫: সুরাঃ আর-রাহমান
৫৬: সুরাঃ ওয়াক্বিয়া
৫৭: সুরাঃ হাদীদ
৫৮: সুরাঃ মুজাদিলাহ
৫৯: সুরাঃ হাশর
৬০: সুরাঃ মুমতাহিনা
৬১: সুরাঃ সাফ
৬২: সুরাঃ জুমুআহ
৬৩: সুরাঃ মুনাফিকুন
৬৪: সুরাঃ তাগাবুন
৬৫: সুরাঃ তালাক
৬৬: সুরাঃ তাহরীম
৬৭: সুরাঃ মূলক
৬৮: সুরাঃ ক্বালাম
৬৯: সুরাঃ হাক্ক্বাহ
৭০: সুরাঃ মা’আরিজ
৭১: সুরাঃ নূহ
৭২: সুরাঃ জ্বিন
৭৩: সুরাঃ মুয্যাম্মিল
৭৪: সুরাঃ মুদ্দাসসির
৭৫: সুরাঃ ক্বিয়ামাহ
৭৬: সুরাঃ দাহর
৭৭: সরাঃ মুরসালাত
৭৮: সুরাঃ নাবা
৭৯: সুরাঃ নাযিয়াত
৮০: সুরাঃ ‘আবাসা
৮১: সুরাঃ তাকবীর
৮২: সুরাঃ ইনফিত্বার
৮৩: সুরাঃ মুতাফ্ফিফীন
৮৪: সুরাঃ ইনশিক্বাক্ব
৮৫: সুরাঃ বুরূজ
৮৬: সুরাঃ ত্বারিক্ব
৮৭: সিরাঃ আ’লা
৮৮: সুরাঃ গ্বাশিয়াহ্
৮৯: সুরাঃ ফাজর
৯০: সুরাঃ বালাদ
৯১: সুরাঃ শামস
৯২: সুরাঃ লাইল
৯৩: সুরাঃ দ্বোহা
৯৪: সুরাঃ ইনশিরাহ
৯৫: সুরাঃ তীন
৯৬: সুরাঃ আলাক
৯৭: সুরাঃ ক্বদর
৯৮: সুরাঃ বাইয়্যিনাহ
৯৯: সুরাঃ যিলযাল
১০০: সুরাঃ আদিয়াত
১০১: সুরাঃ ক্বারি’আহ
১০২: সুরাঃ তাকাছুর
১০৩: সুরাঃ ‘আসর
১০৪: সুরাঃ হুমাযাহ
১০৫: সুরাঃ ফীল
১০৬: সুরাঃ ক্বুরাইশ
১০৭: সুরাঃ মা’ঊন
১০৮: সুরাঃ কাওসার
১০৯: সুরাঃ কাফিরূন
১১০: সুরাঃ নাসর
১১১: সুরাঃ লাহাব
১১২: সুরাঃ ইখলাস
১১৩: সুরাঃ ফালাক্ব
১১৪: সুরা : নাস

Комментарии

Информация по комментариям в разработке