ইরান -আমেরিকা /সম্পর্কের /আদ্যোপান্ত/ইতিহাস/স্বর্ণযুগ/শুরু /শেষ আমেরিকা দ্বন্দ্ব যেন থামছেই না,,,, ইরানের উপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা,,,, এমনকি আমেরিকা ২০১৮ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২০০ বার ইরানে হামলার হুমকি দিয়েছেন,,,,,, মধ্যপ্রাচ্যে সবচাইতে বেশি নিষেধাজ্ঞা পূর্ণ দেশ বলা হয় ইরান কে,,, অপরদিকে ইরানিরা আমেরিকার ছায়াকেউ পছন্দ করেনা,,,, আর ইরান আমেরিকা যদি কখনো দ্বন্দ্ব শুরু হয় তাহলে ইরানিরা শেষ রক্ত বিন্দু পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাই,,
, ইরানি সৈন্যরা যুদ্ধের মাঠে নিজের জীবন বিপন্ন করে দেয়,,, তবুও তারা আমেরিকান সেনাবাহিনীদের কাছে মাথা নত করে না, যুদ্ধে ইরানি সেনাবাহিনীর ছাড়াও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করে , প্রতিপক্ষ দেশটি যদি হয় আমেরিকা,, ইরান আমেরিকা দুই দেশের মধ্যে নেই কোন বাণিজ্যিক,,ও, কূটনৈতিক চুক্তি,,, প্রশ্ন হতে পারে অতীতেও ইরান আমেরিকার সম্পর্ক এমন ছিল,, (অবশ্যই না),, এক সময় ইরান আমেরিকা দুটি দেশমিত্র ছিল, দুই দেশের মধ্যে ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক,,,
, ইরান আমেরিকার সম্পর্ক এতটাই গভীর ছিল যে আমেরিকার পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রধান উপকরণ ৫ কেজি ইউরেনিয়াম ইরানের কাছে আমানত রাখা হয়েছিল,,,,,
এত মধুর সম্পর্ক থেকে কিভাবে ইরান আমেরিকা আজ প্রতিপক্ষ দুটি দেশ হিসেবে পরিণত হলো।
কিন্তু কেন এরা না আমেরিকার বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে শত্রুতে পরিণত হয় তা নিয়ে ই আলোচনা করব এই ভিডিওতে
ইরানের তেল সম্পদ ব্রিটিশদের জন্য ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯০৮ সালে আবিষ্কৃত তেলক্ষেত্রগুলোর উপর অ্যাংলো-পার্সিয়ান অয়েল কোম্পানির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল, যা ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিল।
ইরানের জাতীয় আয়ের বড় অংশই ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রিত তেল কোম্পানির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হতো, কিন্তু ইরান নিজে সে তুলনায় অনেক কম লাভ পেত।
ব্রিটিশরা চেয়েছিল ,,,,ইরানে এমন একটি সরকার থাকুক, যেটি আমেরিকার স্বার্থকে সুরক্ষা দেবে,
১৯২৫ সালে রেজা শাহ পাহলভী একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করেন, যা ব্রিটিশদের জন্য তুলনামূলকভাবে পূর্বাভাসযোগ্য ও নিয়ন্ত্রিত ছিল।
ইরানের স্বার্থের কথা ভেবে রেজা শাহ আস্তে আস্তে আমেরিকান সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে ইরানি জাতীয়তাবাদী গড়ে তোলার চেষ্টা করছিল,
,,,১৯৪১ সালে, যখন রেজা শাহ নাৎসি জার্মানির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে থাকেন, তখন ব্রিটিশ ও সোভিয়েত বাহিনী যৌথভাবে ইরানে অভিযান চালায় এবং রেজা শাহকে পদত্যাগে বাধ্য করে।
১৯৪১; সালে রেজা শাহকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পর তার পুত্র মোহাম্মদ রেজা শাহ ক্ষমতায় আসেন। যুক্তরাষ্ট্র ইরানে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা শুরু করে।
১৯৫৩সালে ۱: প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক তেল শিল্প জাতীয়করণ করেন, যা পশ্চিমা স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়।
১৯৫৩: সিআইএ ও ব্রিটিশ এমআই৬ এর সহায়তায় মোসাদ্দেককে সরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে পাহলভি আবারও ইরানের বাদশাহ হিসেবে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হন।
পুনঃক্ষমতায় আনা হয়। এই হস্তক্ষেপ ইরানের জনগণের মধ্যে আমেরিকার প্রতি গভীর অবিশ্বাসের জন্ম দেয়,,
ভালোই চলছিল ইরান আমেরিকা সম্পর্ক কিন্তু ইরানের জনগণ এতদিনে বোঝে গিয়েছিল যে আমেরিকা ইরানকে ঠকাচ্ছে।
ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনিকে দেশ থেকে বের করে তুরস্কে নির্বাসনে পাঠানো হয়। এরপর তিনি ইরাক, কুয়েত ও সবশেষে ফ্রান্সে নির্বাসিত ছিলেন।
ইরানে SAVAK নামে পাহলভী শাহের গোপন পুলিশ বাহিনী তৈরি হয়, যা মার্কিন প্রশিক্ষণে গঠিত হয়।
এই সময় ইরানের জনগণের মধ্যে আমেরিকান বিরোধী মনোভাব বাড়ে। শুরু হয় ইরানে ইসলামী আন্দোলন
আসল খেলাটা তখনই শুরু হয় যখন ১৯৭৯ সালে
ইসলামী বিপ্লবের মাধ্যমে শাহ পাহলভীকে উৎখাত করা হয় এবং আয়াতুল্লাহ খোমেনির নেতৃত্বে ইসলামিক রিপাবলিক প্রতিষ্ঠিত হয়।
শাহ পাহলভীকে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র আশ্রয় দিলে, ইরানের ছাএরা মার্কিন দূতাবাস দখল করে এবং৫২ জন মার্কিন কর্মকর্তাকে জিম্মি করে ।
আর এর মধ্য দিয়ে ১৯৮০ সালে ছিন্ন হয় ইরান আমেরিকা সকল রকম সম্পর্ক,,,, আমেরিকানরা ইরান ছাড়তে বাধ্য হয়, শুরু হয় ইরানের ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা,,,
১৯৮৮ সালে ইরানের যাত্রীবাহী বিমানে আমেরিকা হামলা চালায় বিমানটির ২৯৮ জন আরোহীর সবাই নিহত হন। এতে ইরানের জনগণের আমেরিকা বিরোধী মনোভাব আরো বেড়ে যায়,,
দীর্ঘদিন পর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করলে ৫২ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয় ইরান
আর ১৯৮০ সাল থেকে শুরু হওয়া ইরান আমেরিকা দ্বন্দ্ব আজ পর্যন্ত শেষ হয়নি,, আমেরিকা বিভিন্নভাবে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিকভাবে ইরানকে নিষেধাজ্ঞা ও চাপে রাখার চেষ্টা করে,, অপরদিকে ইরানও বাড়িয়ে চলছে তাদের সামরিক সক্ষমতা,,,,,,, ইরানের সেনাবাহিনী এবং জনগণ মরতে রাজি তবু তারা আমেরিকার কাছ থেকে মাথা নত করবে না,,,,,,
এই ছিলো ইরান আমেরিকা সম্পর্কে আমাদের আজকের এই ভিডিও,,,, প্রিয় ভিউয়ার্সরা ভিডিওটি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের পাশে থাকবেন, এবং পরবর্তীতে কি রকম ভিডিও চান কমেন্টে জানান।
#fight #iran#america #trending #topten0.0
Информация по комментариям в разработке