Скачать или смотреть 🌺গঙ্গামাটি দিয়ে তৈরী রাধাগোবিন্দ মন্দির ও মা রাজবল্লভীর বিগ্রহ 🙏 : আটপুর দ্বিতীয় পর্ব

🌺গঙ্গামাটি দিয়ে তৈরী রাধাগোবিন্দ মন্দির ও মা রাজবল্লভীর বিগ্রহ 🙏 : আটপুর দ্বিতীয় পর্ব #youtubevideo #vlog #viral #viralvideo #youtube #trending #trendingvideo #rajbalhat #hooghly #swatkali #radhakrishna #teracota #rasmancha #dolmoncha #mahadev

1st Part Of This Tour :    • স্বামীজী ও তার আট গুরুভাই শপথ নিলেন ঐতিহাস...  
Constructed in 1786 by Krishna Ram Mitra, the Dewan of the Maharaja of Bardhaman, the Radha Govinda Mandir in Antpur has some of the finest terracotta decoration to be found anywhere in West Bengal. This is in part due to the softer alluvial clay that could be sourced near the Ganga river, enabling the artisans to produce higher quality detailed images with more finesse. Although Bishnupur is well known for its terracotta temples, the poorer quality clay found there mixed with laterite produced a coarser material, resulting in the terracotta panels being slightly more simplistic in nature.
The east-facing Radha Govinda temple is a brick-built atchala (eight roofed) temple with a chachala (four roofed) Jagmohan in front. This is part of a larger temple complex which I will cover shortly, but it’s worth noting that presently the Radha Govinda is closed to visitors. From what I could make out, it would seem this is because of some recent attempts to steal terracotta panels from the temple. I can’t be sure if these attempts were successful, but one only has to do some searches on ebay to see that there is a market for such objects.
অদ্ভুত রূপ এই মন্দিরের মাতৃ বিগ্রহের। দেবীর বর্ণ ধবধবে সাদা; তাঁর ডান পা বিরূপাক্ষ শিবের মাথায় আর বাঁ পা শায়িত মহাকাল ভৈরবের বুকে। দেবী রাজবল্লভী দ্বিভূজা। তাঁর ডান হাতে একটি ছুরি আর বাঁ হাতে ধরা সিঁদুরের পাত্র। কটিদেশে ছোট ছোট হাতের কোমরবন্ধ, গলায় নরমুণ্ডের মালা‌। সব মিলিয়ে দেবী কালিকার সঙ্গে রাজবল্লভীর অনেক সাদৃশ্য। তবে গায়ের রং সাদা অর্থাৎ শ্বেত হওয়ার কারণে তাঁকে “শ্বেতকালী” নামে ডাকা হয়ে থাকে।
রাজবলহাট তথা দেবী রাজবল্লভীর প্রতিষ্ঠা করেন রাজা সদানন্দ রায়। তিনি ছিলেন ভবানীপুরের চতুরানন নিয়োগীর জামাই। আনুমানিক ১১৯২ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ মহম্মদ ঘুরির শাসনকালে চতুরানন নিয়োগী ধীবর রাজা শনিভাঙ্গরকে পরাস্ত করে ভূরিশ্রেষ্ঠ বা ভুরশুট রাজ্যের অধিপতি হন। ৪০ বছর রাজত্ব করার পর তাঁর জামাই সদানন্দ রায় বসেন সিংহাসনে।

এহেন রাজা সদানন্দ রায় একবার দামোদর ও রণ নদীর মধ্যবর্তী জঙ্গলাকীর্ণ স্থানে মৃগয়া করতে গিয়েছিলেন। সেখানে থেকে ফিরে প্রাণীহত্যার জন্য গভীর মনস্তাপে পড়ে যান। এ সময় তিনি নিজ গুরুদেবের শরণাপন্ন হয়েছিলেন, এবং রাজপাট ছেড়ে সন্ন্যাসী হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গুরুদেব রাজাকে শক্তিমন্ত্রে দীক্ষিত করেন এবং সেইসঙ্গে নির্দেশ দেন, রাজা যেখানে শিকারে গিয়েছিলেন, সেখানেই যেন তিনি ফেরত গিয়ে শবসাধনায় বসেন।

রাজা সদানন্দ রায় তা-ই করেছিলেন। আর এই শবসাধনা করতে করতেই তিনি মহামায়ার দর্শন পান। যিনি দ্বিভূজা, ষোড়শীর বেশে রাজাকে দর্শন দিয়ে নির্দেশ করেন, এই জঙ্গলেই যেন দেবীর মূর্তি প্রতিষ্ঠা এবং নিত্য পুজোর ব্যবস্থা করা হয়। আর রাজা যেন নিজের রাজ্যে ফিরে গিয়ে পুনরায় রাজধর্ম পালনে ব্রতী হন।

দেবীর নির্দেশমত-ই জঙ্গল সাফ করে দ্বিভূজা শ্বেতকালীকে প্রতিষ্ঠা করেন রাজা সদানন্দ। যাঁর নাম, রাজবল্লভী। পাশাপাশি এই নতুন প্রতিষ্ঠিত জনপদের নাম হয় রাজপুর। পরবর্তীকালে সেই নাম দেবীর নামানুসারে কিছুটা পরিবর্তিত হয়ে হয়েছিল, রাজবল্লভীহাট। আর বর্তমানে আরও কিছুটা বদলে নাম হয়েছে, রাজবলহাট।