Скачать или смотреть এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে ডুবেগেলো পাবনা শহর

এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে ডুবেগেলো পাবনা শহর

নদীমাতৃক দেশ আমাদের বাংলাদেশ। বাঙালি, মাছে ভাতে বাঙালি।
পাবনা শহরের বুকের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ইছামতি নদীটি খনন কার্য বহুবার শুরু হয়ে থেমে গেছে।
ইছামতি নদীতে নেই পানি। শুকিয়ে চৌচির হয়ে যাওয়া নদীতে একসময় বড় বড় নৌকা চলত। নদীতে পানি না থাকলেও এর গভীরতা ২০ ফুট। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এই ২০ ফুট গভীরতা আল্লাহর আশীর্বাদ। পাবনা শহরের চারপাশে বাঁধ থাকায় বন্যার পানি ঢুকতে পারে না। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত যখন বন্যায় প্লাবিত হয়ে যায়, তখন পাবনা শহরের বাসিন্দারা বন্যা কি জিনিস চোখে দেখেনা। কিন্তু একটু বৃষ্টি হলেই এ যেনো বন্যাই হয়ে গেল। অপরিকল্পিত নগর পাবনায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা আছে ঠিকই কিন্তু নেই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা । সাবেক পৌর মেয়র কামরুল হাসান মিন্টু পাবনার শহরের অনেক রাস্তা ও ড্রেন মেরামত করেছেন। ড্রেনের গভীরতাও ভালোই দিয়েছেন ঢালাই করে ড্রেন করেছেন। কিন্তু প্রায়ই দেখা যায় শহরবাসী তাদের বাড়ির ময়লা, বর্জ্য ড্রেনের মধ্যে ফেলে। কেউ কেউ বলছেন উপর থেকে একটু ঢালু করে ড্রেনগুলো যদি ইছামতি নদীতে ফেলা হয় তাহলে এক ঘন্টা কেন সারাদিন ধরে বৃষ্টি হলেও সব পানি ইছামতি নদীতে পড়ে যাবে।
পাবনা বাসির প্রানের সহর পাবনা যেনো দুঃখের সহরে পরিনত হয়েছে।অনেকেরই ঘড়ের মধ্যে পানি ঢুকে গেছে।
চাপ কল গুলো ডুবে গেছে,ফলে খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে,রাস্তায় পানি জমে থাকার জন্য রিক্সাচালকরা রাস্তার ধারে রিক্সা থামিয়ে বসে আছেন। কেনো রিক্সা থামিয়ে বসে আছেন এ ব্যাপারে একজন রিক্সা চালককে জিজ্ঞেস করলে তিনি সিএনএফ টিভিকে জানান রাস্তা কোথাও ভাঙ্গা থাকলে রিক্সা উল্টে যেতে পারে। যাত্রিদের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। সেজন্য পানি না কমলে রিক্সা চালানো ঠিক হবনা। তাই বসে আছি।
এব্যাপারে পাবনাবাসি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সিএনএফ টিভি