Скачать или смотреть শিশুদের কি কি নাম ইসলামে হারাম | কি কি রাখা যাবে | শায়েখ আহমাদুল্লাহ | Sheikh Ahmadullah

শিশুদের কি কি নাম ইসলামে হারাম | কি কি রাখা যাবে | শায়েখ আহমাদুল্লাহ | Sheikh Ahmadullah

ইসলামে শিশুদের নাম রাখার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হিসেবে গণ্য করা হয়। ইসলামী আদর্শে নাম রাখা শুধু একটি সাংস্কৃতিক বা পারিবারিক বিষয় নয়, বরং এটি শিশুর ভবিষ্যতের পরিচয়ের অংশ এবং দোয়ার মাধ্যম হিসেবেও বিবেচিত হয়।

নিচে ইসলাম অনুযায়ী শিশুদের নাম রাখার বিষয়ে কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া হলো:


---

🌿 ১. ভালো অর্থযুক্ত নাম রাখা

ইসলাম এমন নাম রাখতে উৎসাহ দেয় যার অর্থ সুন্দর, ইতিবাচক ও কল্যাণময়।

নবী (সা.) বলেন:
"তোমরা তোমাদের সন্তানদের সুন্দর নাম দাও।"
(আবু দাউদ)


যেমন:

ছেলেদের জন্য: আবদুল্লাহ (আল্লাহর দাস), আবদুর রহমান (দয়ালু আল্লাহর দাস), আহমদ, ইউসুফ, মারওয়ান ইত্যাদি

মেয়েদের জন্য: ফাতিমা, মারিয়াম, খাদিজা, হাফসা, আয়েশা ইত্যাদি



---

🌿 ২. আল্লাহর গুণবাচক নামের সাথে ‘আব্দ’ যোগ করে নাম রাখা

যেমন:

আবদুল্লাহ = আল্লাহর বান্দা

আবদুর রহমান = দয়ালু আল্লাহর বান্দা


🌿 ৩. পয়গম্বর ও সাহাবীদের নাম রাখা

নবী (সা.) সাহাবীদের ভালো নাম গ্রহণে উৎসাহ দিতেন।

যেমন: ইব্রাহিম, মূসা, দাঊদ, মুহাম্মদ, আলী, ওমর, উসমান, তালহা ইত্যাদি

🌿 ৪. কোনো মন্দ বা অপার্থিব অর্থবোধক নাম পরিহার করা

যেমন: যুদ্ধ, আগুন, দুঃখ, অহংকার ইত্যাদি অর্থবোধক নাম পরিহার করতে বলা হয়েছে।

নবী (সা.) অনেকের নাম পরিবর্তন করে ভালো অর্থযুক্ত নাম রেখেছেন।



---

🌿 ৫. নাম রাখার সময়সীমা

জন্মের পর সপ্তম দিনে আকীকা করা ও নাম রাখা সুন্নত। তবে জন্মের প্রথম দিনেও রাখা যায়।



---

✅ অতিরিক্ত সুপারিশ

নাম রাখার আগে অর্থ ও ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি যাচাই করা জরুরি।

শুধুমাত্র আধুনিকতা বা ট্রেন্ড দেখে নাম না রেখে, অর্থ ও ইসলামী গাইডলাইন মাথায় রাখা উচিত।