Скачать или смотреть ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল ও তাৎপর্য। Result and Importance of The General Election of 1970

১৯৬৯ সালের ২৫শে মার্চ আইয়ুব খান জেনারেল ইয়াহিয়ার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে পদত্যাগ করেন। ঐদিনই পাকিস্তানে জারি করা হয় সামরিক শাসন। ১৯৬৯ সালের অক্টোবর মাসে ইয়াহিয়া খান দেশের জন্য একটি সংবিধান প্রণয়ন এবং জাতীয় পরিষদের নির্বাচনের কথা ঘোষণা করেন। এ উদ্দেশ্যে একটি আইনগত কাঠামো জারি করেন। এর বিষয়গুলো ছিল-
১. প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।
২. ১৯৭০ সালে 'এক ব্যক্তি - এক ভোট' এ নীতিতে নির্বাচন হবে।
৩. আসন সংখ্যা
৪. জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশন হতে ১২০ দিনের মধ্যে সংবিধান রচনা করতে হবে।
৫. সংবিধান ইসলামি নীতি ও আদর্শের ভিত্তিতে রচনা করতে হবে
৬. ১৯৭০ সালের ১লা জানুয়ারি হতে রাজনৈতিক কার্যকলাপ শুরু হবে।

জাতীয় পরিষদ নির্বাচন ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনের পার্থক্য -
পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান এই দুটি ছিল পাকিস্তানের প্রধান দুটি প্রদেশ বা অঞ্চল। এই দুটি প্রদেশ ও পাকিস্তানের অন্যান্য প্রদেশ মিলে 'জাতীয় পার্লামেন্ট' গঠিত। এই জাতীয় পার্লামেন্টের নির্বাচনকেই 'জাতীয় পরিষদ নির্বাচন' বলে। আবার পূর্ব পাকিস্তান ছিল পাকিস্তানের একটি প্রদেশ। সেই প্রদেশের আলাদা পার্লামেন্ট ছিল,যার নির্বাচনকে বলা হয় 'প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন' অর্থ্যাৎ একটি প্রদেশের নির্বাচন।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে আওয়ামীলীগ। প্রধান বিরোধি দল হিসেবে নির্বাচিত হয় জুলফিকার আলী ভুট্টোর 'পাকিস্তান পিপলস পার্টি', পশ্চিম পাকিস্তানে তারা ১৪৪ টি আসনে ৮৮ টি জয় লাভ করে।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রতীক ছিল - নৌকা
১৯৭০ সালের নির্বাচনে কতটি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেছিল - ২৪ টি
১৯৭০ সালের নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন - বিচারপতি আব্দুস সাত্তার

আওয়ামীলীগের বিজয়ের কারণ - ১৯৭০ সালের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করে। আওয়ামীলীগ ছয় দফা ও ছাত্রদের এগারো দফার ভিত্তিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। আওয়ামীলীগের ছয় দফা কর্মসূচী বাঙালিদের মধ্যে জাগরণ সৃষ্টি করেছিল। পাকিস্তানি শাসকদের শোষণের হাত থেকে মুক্তি লাভের আশায় পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ স্বতঃস্ফূতভাবে আওয়ামীলীগকে ভোট দিয়েছিল।

নির্বাচনে তাৎপর্য - ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন বাঙালিদের অত্যন্ত তাৎপর্য ও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন ছিল তাদের স্বাধিকার ও মুক্তিলাভের আকাঙ্ক্ষার বহিঃপ্রকাশ। আওয়ামীলীগকে জনগণ দেশ শাসনের ভার প্রদান করে। আওয়ামীলীগই জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিকরূপে আত্মপ্রকাশ করে।আওয়ামীলীগের অভূতপূর্ব বিজয় প্রমাণ করে ছয় দফার প্রতি ছিল জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন। এ নির্বাচনের একটি বৈশিষ্ট্য ছিল যে, আওয়ামীলীগ পশ্চিম পাকিস্তান থেকে এবং পিপলস পার্টি পূর্ব পাকিস্তান থেকে কোন আসন লাভ করেনি। দুদলেরই ছিল আঞ্চলিক প্রাধান্য। এ নির্বাচন প্রমাণ করে যে, পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিরা স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে একটি স্বায়ত্তশাসিত রাষ্ট্র গড়ে তুলতে আগ্রহী। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতি পূর্ব বাংলার জনগণের আস্থা শেষ হয়ে পড়ে, বাঙালি জাতিয়তাবাদের উত্থান ঘটে।
১৯৭০ এর নির্বাচন
১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচন
১৯৭০ এর জাতীয় নির্বাচন
১৯৭০ এর নির্বাচনের ফলাফল
১৯৭০ এর নির্বাচনের আসন
১৯৭০ এর নির্বাচনের গুরুত্ব
৭০ এর নির্বাচন
৭০ এর নির্বাচনের ছবি
bcs online tutor
১৯৭০ সালের নির্বাচনের গুরুত্ব
১৯৭০ সালের নির্বাচনের গুরুত্ব আলোচনা কর
১৯৭০ সালের নির্বাচনের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর
১৯৭০ সালের নির্বাচন ও ফলাফল
election of 1970 & results
১৯৭০ সালের নির্বাচন
১৯৭০ সালের নির্বাচনের ফলাফল
নির্বাচনোত্তর ষড়যন্ত্র
bangla
mujib
1970
pakistan