Скачать или смотреть বিশ্ব পরিচিতি: লেবানন (Introduction to the World: Lebanon)

বিশ্ব পরিচিতি: লেবানন
ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী মধ্যপ্রাচ্যের ছোট্ট একটি দেশ লেবানন। ভৌগোলিকভাবে দেশটির উত্তর ও পূর্বে সিরিয়া, দক্ষিণে ইসরায়েলের সীমানা দ্বারা পরিবেষ্টিত এবং পশ্চিমে ভূমধ্যসাগর ও সাইপ্রাস দ্বীপ। প্রায় ৬৮ লাখ জনসংখ্যার আবাস্থল লেবাননের আয়তন ১০হাজার ৪৫২ বর্গকিলোমিটার।সেমেটিক শব্দ ‘লেবানন` এর অর্থ সাদা। বরফঢাকা পাহাড় থেকেই এ নামের উদ্ভব বলে ধারণা করা হয়।লেবাননের পটে আঁকা ছবির মতো সুন্দর পাহাড়-পর্বত, চোখ জুড়ানো সব সমুদ্রসৈকত এবং নানা ঐতিহাসিক স্থাপত্যের কারণে সারা পৃথিবীর মানুষের কাছেই আকর্ষণীয় গন্তব্য এ দেশটি। নানা সময়ে বিভিন্ন সভ্যতার সংস্পর্শে এসে লেবানন সমৃদ্ধ হয়েছে ইতিহাস, ভাষা ও সংস্কৃতিতে। ক্যানানাইট, ফিনিশীয়, আরব ও ফরাসি সভ্যতার সেসব নিদর্শন আজও দেখা যায় লেবাননের মাটিতে।
১. সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট অব বৈরুত: লেবাননের রাজধানী বৈরুতের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট অব বৈরুত। এটি লেবাননের ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-সংস্কৃতি এবং বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু। এখানেই অবস্থিত লেবাননের পার্লামেন্ট ভবন। এছাড়া আছে ক্লক টাওয়ার। দেশীয় ফুল-ফল ও খাদ্যদ্রব্যে ঠাসা বৈরুতের বাজারগুলোতে বিশ্বের নানা দেশের লোকজনের ব্যাপক ভীড় বৈরুতের বাজারকে দিয়েছে বিশ্বজনীন রুপ । বৈরুতে রয়েছে গ্র্যান্ড ওমারি মসজিদ ও অটোমান সাম্রাজ্যের নানা নিদর্শন। তবে সেন্ট্রাল বৈরুতের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থান কর্নিচ। প্রশস্ত এই চত্বরের একপাশে রয়েছে খোলা সাগর আর অন্যপাশে সগর্বে দাঁড়িয়ে মাউন্ট লেবানন।
২. ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব বৈরুত: লেবাননের ইতিহাসের নানা পথ পরিক্রমার নানা স্মারককে কাচবন্দী করেছে ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব বৈরুত। ফিনিশীয় থেকে শুরু করে গ্রিক, বাইজেন্টাইন ও আরব শাসনামলের নানা স্মৃতিচিহ্নের দেখা মেলে এখানে। এখানে রয়েছে ফিনিশীয় গহনা, হস্তশিল্প ও শিলালিপির প্রদর্শনী। জাদুঘরের ভূগর্ভস্থ কক্ষে রয়েছে একটি সমাধিসৌধ ও চোখধাঁধানো কিছু দেয়ালচিত্র।
৩. জিটা গ্রটো: লেবাননের অন্যতম সেরা পর্যটন আকর্ষণ জিটা গ্রটো। এটি নতুন নির্বাচিত প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যের একটি। বৈরুত থেকে ১৮ কি.মি. দূরে নাহর আল-কালবের উপত্যকায় অবস্থিত জিটা গ্রটো মূলত একটি গুহা। দুটি আলাদা কিন্তু আন্তঃসংযুক্ত চুনাপাথরের এই গুহা প্রায় ৯ কি.মি. এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। গুহার অভ্যন্তরে কুলকুল ধ্বনিতে বয়ে যায় ভূগর্ভস্থ নদী। গুহার ছাদ ছুঁতে চাওয়া চুনাপথরের স্তম্ভ স্ট্যালাগমাইট আর ছাদ থেকে মাটি ছুঁতে চাওয়া স্ট্যালাকটাইটের চোখধাঁধানো রুপ মুগ্ধ করে দর্শকদের।
৪. কাদিশা উপত্যকা: লেবাননের উত্তর মুহাফাজার দুই শহর বীচার ও জিগার্টার মাঝখানে অবস্থিত অনিন্দ্যসুন্দর কাদিশা উপত্যকা।এটি একটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। এর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কাদিশা নদী। কাদিশা উপত্যকা যাওয়ার পথে চোখে পড়বে বীচারের নয়নাভিরাম পাহাড়ি গ্রাম। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ ধরে যতই উপরে ওঠা যায়, কাদিশা উপত্যকা ততই মনোমুগ্ধকর রুপে ধরা দিতে থাকে। বণ্যপ্রাণীরও দেখা মেলে এই স্থানে।
৫. বালবেক: সিরিয়া সীমান্তে ও বৈরুতের উত্তরে বেকা উপত্যকায় অবস্থিত বালবেক। শহরটি পৃথিবীর বৃহত্তম রোমান ধ্বংসাবশেষ ধারণ করে আছে। দ্বিতীয় শতাব্দীরও আগে নির্মিত এখানকার মন্দিরগুলো ছিল রোমানদের পবিত্র তীর্থ। এখানকার রোমানরা জুপিটার, ভেনাস ও মার্কারি-এই তিন দেবতার উপাসনা করতো। বালবেকের প্রধান মন্দির জুপিটারের মন্দির। বড় বড় পাথরের টেরেস বেষ্টিত এই মন্দিরটি ২০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত।
৬. বিব্লস: ফিনিশীয়, রোমান এবং ক্রুসেডের সময়কার ধ্বংসাবশেষ এবং সুশোভিত বালুকাবেলা বিব্লসকে করেছে লেবাননের অন্যতম সেরা পর্যটন আকর্ষণে। ২০১৬ সালে বিব্লসকে ঘোষণা করা হয়েছিল 'আরবের পর্যটন রাজধানী' ।
Video link:    • বিশ্ব পরিচিতি: লেবানন (Introduction to the...  
#Butterflyinfotainment
#Lebanon