Скачать или смотреть ফটিকছড়িতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসা সেবার বেহাল দশা||Arob|71Bangla Tv

ফটিকছড়িতে ভেঙ্গে পড়েছে গ্রামীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। চিকিৎসা সেবার বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে উপজেলার ২০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে। এসব কেন্দ্রে কাগজে কলমে এমবিবিএস ডাক্তার থাকলেও কর্মস্থলে উপস্থিত থাকে না কেউ। কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসকের উপস্থিতি না থাকা এবং অন্যান্য জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। নানা অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনে ভেঙ্গে পড়েছে ফটিকছড়ির স্বাস্থ্যসেবা।

বিভিন্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা গেছে, নিয়োগ পাওয়া কোনো এমবিবিএস ডাক্তারই নিয়মিত চিকিৎসা কেন্দ্রে আসেন না। অনেকে রয়েছেন সদর ও উপজেলা হাসপাতালের ডেপুটেশনে।
সরকারী নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এসব কেন্দ্রে নিয়োগ প্রাপ্তরা যে যার মত করে কাজ করে যাচ্ছেন। নিয়োগ পাওয়া অনেক চিকিৎসক বেতন জায়েজ করার জন্য মাসে ২/১দিন এসে হাজিরা খাতায় সই দিয়ে যান। এছাড়াও প্রায় কেন্দ্রে টাকার বিনিময়ে স্বাস্থ্য সহকারি, উপ সহকারিরা রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার অভিযোগও উঠেছে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলো খোলা রাখার নিয়ম থাকলেও দুপুর ১টার মধ্যে সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। অনেক কেন্দ্র মাত্র ১/২ ঘন্টা খোলা রাখার পর বন্ধ করে দেয়া হয়। এমনকি ঔষুধ নিতে হলেও নাকি টাকা দিতে হয়। পাইন্দং ও লেলাং স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় কেন্দ্রের প্রধান পটকে তালা ঝুলছে। আর বাইরে ময়লা আবর্জনায় ভরা। দরজা ও জানালার কাচগুলো ভেঙ্গেছুড়ে পড়ে আছে। পাইন্দং কেন্দ্রটিকে বাহির থেকে মনে হয় যেন একটি ভুতুড়ে বাড়ি। সকাল - সন্ধ্যায় এটাতে বসে জুয়া ও মাদক সেবীদের আড্ডা।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসেন স্বপন জানান ইউনিয়ন স্বাস্থসেবা ভেঙ্গে পড়ায় উপযুক্ত চিকিৎসা সেবা এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ না পেয়ে রোগীরা বাধ্য হয়ে ব্যবসায়ী মানসিকতায় খুলে বসা কিছু চিকিৎসক ও ক্লিনিকের দারস্থ হচ্ছেন। ডাক্তারের অভাবে সরকারি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রগুলো নিজেরাই এখন রোগীর মতো ধুকছে।
এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সাখাওয়াত উল্লাহ ৭১ বাংলা টিভিকে বলেন