মানুষ হত্যার ভয়াবহতা ও ৮৬টি হাদীস ।। মাওলানা তাহমীদুল মাওলা

Описание к видео মানুষ হত্যার ভয়াবহতা ও ৮৬টি হাদীস ।। মাওলানা তাহমীদুল মাওলা

মানুষ হত্যার ভয়াবহতা ও ৮৬টি হাদীস
আলোচক :: মাওলানা তাহমীদুল মাওলা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যার কারণ ভিন্নমত। সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যম ফেসবুকে তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাম্প্রতিক কয়েকটি চুক্তির সমালোচনা করেন। আর এ সমালোচনার কারণেই পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে আবরার ফাহাদকে। আর তাঁকে মেরেছেন তাঁরই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, তাঁরা সবাই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী।

ফেসবুকে আবরার লিখেছিলেন, ‘দেশভাগের পর দেশের পশ্চিমাংশে কোনো সমুদ্রবন্দর না থাকায় তৎকালীন সরকার ৬ মাসের জন্য কলকাতা বন্দর ব্যবহারের অনুরোধ করেছিল। কিন্তু অনুমতি না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে দুর্ভিক্ষ দমনে উদ্বোধনের আগেই মোংলা বন্দর খুলে দেওয়া হয়েছিল। আর এখন ভারতকে সেই মোংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য বলতে হচ্ছে।’ আবার ভারতের দুই রাজ্যের মধ্যকার পানি নিয়ে বিরোধের কথা উল্লেখ করে আবরার লিখেছিলেন, ‘যে দেশের এক রাজ্যই অন্যকে পানি দিতে চায় না, সেখানে আমরা বিনিময় ছাড়াই পানি দেব।’ একইভাবে আবরার গ্যাস চুক্তিরও সমালোচনা করছিলেন। সবশেষে একটি কবিতার চারটি লাইন তুলে ধরেছিলেন তিনি।

বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারের লাশ পড়ে ছিল শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়িতে। হত্যার সংবাদ ছড়িয়ে পড়ায় সব মহল থেকেই বিভিন্নভাবে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে।

শুরুতে বলা হয় শিবির সন্দেহে আবরারকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে এ তথ্য প্রচার করা হলে অসংখ্য ফেসবুক ব্যবহারকারী এর ব্যাপক সমালোচনা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফাহমিদুল হক ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যেন শিবির হলেই কাউকে অকারণে মারা-ধরা যায়!’

‘শিবির সন্দেহে হত্যা’ বিষয়টি কিছুটা থিতিয়ে আসে আবরার ফাহাদের ‘ফেসবুক স্ট্যাটাস’ প্রকাশ পাওয়ার পরে। গতকাল রাত পর্যন্ত সময়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা আবরার ফাহাদের ছোট্ট লেখাটি ৩৩ হাজার বার ‘শেয়ার’ দিয়েছেন। অনেকেই বলেছেন, যে ভিন্নমতের কারণে আবরারকে হত্যা করা হলো, সেই একই মত তাঁদেরও।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке