Скачать или смотреть টরন্টোর মাটিতে শতকন্ঠে একুশের গান

টরন্টোর মাটিতে প্রথম শতকন্ঠে একুশের গান
………………

২০ ফেব্রুয়ারি, দুপুর ৩.৪৭
টরন্টোর বাংলা ভাষায় কথা বলা মানুষগুলোর জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। শহিদ মিনার প্রাঙ্গন তখন কানায় কানায় পূর্ণ।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির সেই আবেগঘন দুপুর যেনো আবার ফিরে এলো ড্যানফোর্থ লাগোয়া ডেন্টোনিয়া পার্কের সবুজ ঘাসে।
শতশত কানাডিয়ান বাংলাদেশী একাসাথে খালি কন্ঠে গাইলেন সেই অমর গান-' আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি'।
সাদা কালো পোশাক পরে এই মাঠে জড়ো হলেন- শিশু-বৃদ্ধ-নারী, যুবক- যুবতী, শিল্পী-কবি-সাহিত্যিক-লেখক আর সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। কেবল একবার শহিদ মিনারের সামনে শতকন্ঠে একুশের গান গাইতে শত মাইল দূর থেকেও ছুটে আসেন অনেকে।

কেউ যেনো কারো সাথে কথা বলতে চাইছেন না- সে কি অধীর প্রতীক্ষা কখন গাইবো গান! হাতে ৫২’র সেই অগ্নিঝরা দিনের ১০০টি শ্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন৷ হাতে জাতীয় পতাকা। কারো হাতে সালাম, বরকত, রফিক জব্বারের নাম- আর সব প্রিয় বর্ণমালা।
পাঁচদিনের সংক্ষিপ্ত সিদ্ধান্তের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেরাই একে অন্যকে খুঁজে নেন- শতকন্ঠে একুশের গান গাইবার সহযাত্রী। মা-বাবার হাত ধরে গাইতে আসে- ছোট্ট সোনামনিরা। নতুন প্রজন্মের অনেকেই একেঁ এনেছিলেন কল্পনার শহিদ মিনার।

হাজার হাজার মাইল দূরে প্রবাসীদের এমন সম্মিলিত উদ্যোগ আর ভাষার প্রতি তাঁদের অকৃত্রিম ভালোবাসা আরো একবার জানান দিলো- মায়ের ভাষা ও একুশ তাদের কাছে বড় গর্বের, কত অহংকারের! তাইতো আগামীতে আরো বড় পরিসরে শত নয় হাজারো কন্ঠে একুশের গান গাইবার স্বপ্নে বিভোর টরন্টোর বাঙালিরা।
………..

বিশেষ কৃতক্ষতা
ড্রোন ভিডিও ধারণ : রিংকো
ভিডিও ধারণ ও সম্পাদনা : গাজী সালাহউদ্দিন মাহমুদ

সার্বিক সহযোগিতা : সর্বজনীন একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন কমিটি-২০২৩ টরন্টো, কানাডা এবং সিটি অব টরন্টো ।