Скачать или смотреть যেখান থেকে শুরু হয়েছিল দীঘাপতিয়া রাজপরিবারের বিজয় গাঁথা।Vijay Gantha of Dighapatia royal family.

যেখান থেকে শুরু হয়েছিল দীঘাপতিয়া রাজপরিবারের বিজয় গাঁথা।Vijay Gantha of Dighapatia royal family.


উত্তরা গণভবন ছিল মূলত এই গ্রামের নাম অনুযায়ী দিঘাপতিয়া জমিদারবাড়ি ব্রিটিশ শাসন আমলের কিছুকাল আগে এদের জমিদারি শুরু হয় দিঘাপতিয়া জমিদারির প্রতিষ্ঠাতা জমিদার ছিলেন দয়ারাম রায় (১৬৮০-১৭৬০)। এই দয়ারাম রায় কোন রাজবংশীয় বা বনেদি ঘরের সন্তান ছিল না। তিনি সামান্য কৃষক পরিবারের সন্তান ছিলেন।


নাটোর রাজা রামজিবন ও অর্ধবঙ্গেশ্বরী মাতা মহারানি রানি ভবানীর আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে তাদের বিশ্বস্ত কর্মচারি ও দেয়ান দয়ারাম রায় জমিদারি প্রাপ্ত হন১৭০৭-১৭১০।১৭৩৬ সালে দয়ারাম রায় রাজত্ব শুরু করার পর থেকেই দীঘাপতিয়া জমিদারির ইতিহাস উত্থান ও সম্পসারণের শুরু যা এক সময় তাদের শৌর্য ও আভিজাত্য নাটোর রাজকেও ছাড়িয়ে যায়। ১৭৩৬ সাল থেকে জমিদারি প্রথা উঠে যাওয়ার আগ পর্যন্ত দয়ারামের সাতজন বংশধর রাজত্ব কপরেন।

রাজা প্রমদানাথ রায়ের রাজত্বকালে ১৮৯৭ সালের এক প্রলয়ংকরী ভূমিম্পে বিধ্বস্ত হলে বর্তমান প্রশাসনিক ভবন সংস্কার করেন। এই ভূমিকম্পে কুমার প্যালেস ও কর্তারানী ভবনটি সম্পূর্ণরূপে ধসে পড়ে।প্রায় ১১ বছর বিদেশি ইঞ্জিনিয়ার ও দেশি কর্মিদের নিয়ে বর্তমান মূল প্রাসাদটি গ্রীক ও মোগল স্থাপত্যের মিশেলে তৈরি এই প্রসাদটি তৎকালীন সময় বাংলাদেশের অন্যতম আধুনিক ও নান্দনিক সুন্দর প্রাসাদ ছিল।এখানে ১৯ শতকে শুরুর দিকে নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদন স্টিম সিস্টেম জেনারেটর ছিল। জেলা প্রশাসন কর্তৃক সম্প্রতি উদ্ধার করা হয় এই রাজপরিবারের সদস্য রাজকুমারী ইন্দুপ্রভার দেবির অপ্রকাশিত সাহিত্যকর্ম যা অতি উচুমানের হিসেবে প্রতীয়মান। জেলা প্রশাসন তার লেখা আত্মকথা বইটি প্রকাশ করেছে এবং রাজকুমারীর লেখা কাব্যগ্রন্থের পান্ডুলিপি প্রস্তুত করছে যা প্রকাশের অপেক্ষায় আছে।উত্তরা গণভবনের অভ্যন্তরে গ্রান্ডমাদার হাউজ,কুমার প্যালেস,রানী মহল এ সব নিয়ে অনেক কিংবদন্তি প্রচলিত আছে। রাজশাহীর বরেন্দ্র যাদুঘর,রাজশাহী এসোসিয়েশন,টাউন হল,রাজশাহী কলেজ,রাজশাহী পিএন বালিকা বিদ্যালয়,দীঘাপতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়,নাটোর সদর হাসপাতাল সহ উত্তবঙ্গের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সড়কসহ অনেক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন এই দীঘাপতিয়া রাজপরিবারের সদস্যবৃন্দ।দীঘাপতিয়া রাজা, রাজকুমার, রানী, রাজকুমারী সম্পর্কে অনেক কিংবদন্তি চালু আছে স্থানীয় মানুষের মুখে। দেশ বিদেশ থেকে আসা পর্যটক ও দর্শনার্থীগণ জানতে চায় এই পরিবার সম্পর্কে। রাজ পরিবারের ব্যবহৃত জিনিসপত্র ও সাহিত্যকর্ম নিয়ে স্থাপনের পর আগ্রহ আরো বেড়ে যায়। সেই প্রেক্ষাপটেই জেলা প্রশাসন রাজ পরিবারের ইতিহাস সম্বলিত এই পুস্তক কণিকা প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে। দাপ্তরিক শত ফাইলের ভীড়ে মননশীল ও সৃষ্টিশীল কাজ করা সত্যিই সময় সাপেক্ষ। স্বল্পতম সময় সংকলন করায় মুদ্রণ প্রমাদ থাকা অস্বাভাবিক নয়। ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।

#bangladesh_blog #heritage
#natore_blog