Скачать или смотреть বিকাশের চাকরিচ্যুত DSO এর সহযোগিতায় নম্বর ক্লোন করে বিকাশের এজেন্টকে ফোন দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া

“বিকাশের চাকরিচ্যুত DSO এর সহযোগিতায় নম্বর ক্লোন করে বিকাশের এজেন্টকে ফোন দিয়ে একাউন্ট
আপডেটের কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের অন্যতম মূলহোতাসহ ০৪ সদস্য গ্রেফতার ”

বিকাশের চাকরিচ্যুত DSO (ডিস্ট্রিবিউটর সেলস অফিসার) দের সহযোগিতায় DSO দের নম্বর ক্লোন করে চাকরিচ্যুত
DSO এর চাকরীকালিন কর্ম এলাকার আওতাধীন বিকাশের এজেন্টকে ফোন দিয়ে একাউন্ট আপডেটের কথা বলে
প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করে এক সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র।

সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি), সিআইডিতে একজন বিকাশ এজন্টের কাছ থেকে অভিযোগ আসে যে, তার দোকানের
এলাকার DSO এর নম্বর হতে তার কাছে ফোন করে বলেছে যে, বিকাশ হেড অফিস থেকে তাকে কল করা হবে সে যেন
তাদের চাহিত তথ্যাদি প্রদান করে। কিছুক্ষণ পরেই একটি নম্বর থেকে ভিকটিমকে ফোন করে বিকাশের হেড অফিসের
কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ভিকটিমের বিকাশ এজেন্ট একাউন্টটি আপডেটের কথা বলে কৌশলে ভিকটিমের কাছ থেকে ওটিপি
(OTP) সংগ্রহ করে ভিকটিমের বিকাশ এজেন্ট নম্বর হতে ০১ (এক) লক্ষ ০৭ (সাত) শত টাকা প্রতারণার মাধ্যমে
হাতিয়ে নেয় একটি প্রতারক চক্র।

সাইবার পুলিশ সেন্টার, সিআইডি উক্ত অভিযোগটি অনুসন্ধান করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে এই ঘটনার সাথে জড়িত
ব্যক্তিদের শনাক্তপূর্বক গত ২৪/০৮/২০২২ খ্রি. দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালনা করে জামলাপুর জেলা হতে
বিকাশের চাকরিচ্যুত প্রাক্তন DSO শাহরিয়ার নাফিজ @মিল্টন (২৫) ও মোঃ রিপন মিয়া (২৪) দেরকে গ্রেফতার করে।
তাদের দেওয়া তথ্য মতে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা হতে মোঃ ইউছুফ মিয়া (১৮) নামে একজনকে এবং ফরিদপুর জেলার
মালিগ্রাম এলাকা হতে এই বিকাশ প্রতারণার এই চক্রের মূলহোতা মাহবুব কাজী (২১) কে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, মূলহোতা মাহবুব কাজী একজন পেশাদার বিকাশ প্রতারক।
বিকাশে প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে সে একদিন গ্রেফতারকৃত শাহরিয়ার নাফিজ @ মিল্টন’কে ফোন করলে কথায় কথায়
তাদের মধ্যে সখ্যতা গড়ে ওঠে এবং পরবর্তীতে মাহবুব কাজীর চাহিদা মোতাবেক মিল্টন তার ডিস্ট্রিবিউটর হাউজের
আওতাধীন বিকাশ এজেন্ট নম্বরসমূহ মাহবুব কাজীকে সরবরাহ করে। বিনিময়ে সে মাহবুবের কাছ থেকে কমিশন পেত।
পরবর্তীতে শাহরিয়ার নাফিজ @মিল্টন এর মাধ্যমে বিকাশের আরেক চাকরিচ্যুত DSO মোঃ রিপন মিয়া ও এই কাজে
জড়িয়ে পরে।

গ্রেফতারকৃত মাহবুব কাজীর দেয়া বক্তব্য এবং তার কাছ থেকে জব্দকৃত মোবাইল বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, সে এই
কাজে খুবই পারদর্শী এবং বর্ণিত এই ভিকটিম ছাড়া আরো অনেক বিকাশ এজেন্ট ও বিকাশ পার্সোনাল নম্বর থেকে এই
বিকাশ প্রতারক চক্র গত ০৩ মাসে অনুমান প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এই কাজের জন্য তারা পেইড ভার্শন
ক্লোনিং এ্যাপস ব্যবহার করে বিকাশের DSO দের নম্বর ক্লোন করে বিভিন্ন এজেন্টদেরকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে প্রতারণা
করে আসছে।

গ্রেফতারকালে তাদের কাছ থেকে সর্বমোট ০৯ (নয়) টি মোবাইল ফোন এবং তার সাথে সংযুক্ত ০৬ টি সিম সহ বিকাশ
প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত আরো ৫১ (একান্ন) টি বিভিন্ন মোবাইল অপারেটর কোম্পানির সিমকার্ডজব্দ করা হয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে পল্টন (ডিএমপি) থানার মামলা নং-৫৮, তারিখ-২৫/০৮/২০২২ খ্রি., ধারা- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
২০১৮ এর ২৩(২)/২৫(২)/৩০(২)/৩৪(২)/৩৫(২),রুজুকরা হয়েছে।