Скачать или смотреть বিচি কলার স্বাস্থ্য উপকারিতা

কলা একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ফল হলেও বিচিকলার তেমন কদর নেই। আনেকেই অতিরিক্ত বিচি থাকার কারণে এই কলাকে অপছন্দ করেন।
বিচিকলার কিছু স্থানীয় নাম আছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এ কলাকে এঁটে কলা, বাইশ্যাকলা, আইট্টা কলা, দয়া কলা ইত্যাদি নামে ডাকা হয়। তবে অতিরিক্ত বিচি থাকার কারণে বিচি কলা নামেই অধিক পরিচিত এই কলা।
আজ জানাবো বিচি কলার অসাধারণ কিছু ঔষধি গুণের কথা।

পাকা বিচি কলায় প্রচুর পরিমাণে শর্করা বিদ্যমান, যা শক্তির অন্যতম উৎস। বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন এ, বি৬, সি এবং ডি এর একটি অসাধারণ উৎস।

এটি পটাশিয়ামের একটি অনন্য উৎস, যেখানে একজন মানুষের দৈনিক প্রয়োজনের ২৩% পটাশিয়াম একটি কলা থেকে পাওয়া যায়। পটাশিয়াম পেশি নিয়ন্ত্রণ করে। কলার পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমায়।

শারীরিক ও মানসিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রতিদিন প্রয়োজনীয় বি৬ এর ৪১% ই কলায় থাকে। কলায় প্রচুর লৌহ থাকে।

বিচি কলার অনেক ঔষধি গুণ আছে। কলায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, নাইট্রোজেন এবং ফসফরাস থাকে, যা শরীরে স্বাস্থ্যকর টিস্যু গঠনে কাজ করে।

কলার বীজের মিউসিলেজ ডায়রিয়া হলে ব্যবহৃত হয়। সম্পূর্ণ পাকা কলার খোসা ও পাল্পে ছত্রাক বিরোধী ও অ্যান্টিবায়োটিক গুণাবলি পাওয়া যায়।

বিচি কলায় এমন কিছু রাসায়নিক উপাদান আছে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, গ্যাস্ট্রিকজনিত নিঃসরণ রোধ করে এবং অন্ত্রীয় মসৃণ মাংসপেশীকে উদ্দীপিত করে।

কলা অন্ত্রীয় সমস্যা বিশেষত আলসার নিরাময়ের জন্য কাজ করে। কলা গ্যাস্ট্রিকজনিত অম্লত্ব প্রশমন করে। কলা কোষ্টকাঠিন্য দূরীকরণে সাহায্য করে এবং কিডনি ও মূত্রাশয়ের পাথর দূরীকরণে উপকারী।

বিচি কলা কৃমিজনিত সমস্যা দূরীকরণে ভূমিকা রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, শুধুমাত্র ২টি বিচি কলা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করলে ৯০ মিনিটের কাজ করার শক্তি পাওয়া যায়।

বিচি কলায় ট্রাইটোফেন নামক এক প্রকার প্রোটিন থাকে, যা শরীরে সেরোটোনিন-এ রূপান্তরিত হয় এবং অবসাদ মুক্ত রাখে। কলা ওজন কমাতে সাহায্য করে।

Dr. Saiful Islam
Naturopathic Physician
Contact:
Cell & WhatsApp : +88 01711450178
e-mail: [email protected]
  / deshhealhcentre