নাটক; মানময়ী গার্লস স্কুল- পর্ব-২ || হুগলী গার্লস হাইস্কুল

Описание к видео নাটক; মানময়ী গার্লস স্কুল- পর্ব-২ || হুগলী গার্লস হাইস্কুল

পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

৪.১০.২০২৪
চুঁচুড়া রবীন্দ্র ভবন

নাটক- “মানময়ী গার্লস স্কুল”
নাট্যকার- রবীন্দ্রনাথ মৈত্র
পরিচালনায়- শিক্ষিকা শ্রীমতী শিউলি চট্টোপাধ্যায় বড়াল
উপস্থাপনায় - আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাবৃন্দ
সিন্থেসাইজারে- শ্রী প্রদীপ দত্ত
আলোক প্রক্ষেপণে-
শব্দ প্রক্ষেপণে-
দৃশ্যপট সংকলন ও প্রক্ষেপণে - শিক্ষিকা শ্রীমতী মানসী কুণ্ডু ও শুক্লা মণ্ডল
অভিনয়েঃ বাবলা হাটির জমিদার ও মানময়ী গার্লস স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা
দামোদর চৌধুরীর ভূমিকায় - শ্রাবণী চক্রবর্তী
দামোদরের পত্নী মানময়ীর ভূমিকায় - মৌ পাত্র
দামোদরের কন্যা চপলা - সোমা বাগ
বেকার গ্রাজুয়েট মানস - কুমকুম ব্যানার্জি
বেকার নবীনা গ্রাজুয়েট নীহারিকা - তনুশ্রী দাস
মোক্তার ও মাননীয় গার্লস স্কুলের সেক্রেটারি রাজেন্দ্র বাড়রি –
রত্না ভট্টাচার্য
সুদের কারবারি সাহেব মিস্টার ফার্নান্ডেজ - রুমি সরকার
জমিদারের কর্মচারী বৈকুন্ঠ সরকারের ভূমিকায় - সুজাতা মালো
মানুষের ভ্রত্য হারানিধি ওরফে হারু - বনানীদাস
দারোয়ান খটমট সিং এর ভূমিকায় - শম্পা দাস
পরিচারিকা বামী - প্রদীপ্তা বিশ্বাস
প্রতিবেশীনিরা – রাজুর মা - প্রধান শিক্ষিকা গার্গী মিত্র
শৈলবালা - শুচিস্মিতা মুখার্জী
প্রমদা - নমিতা সানকি
মানময়ী গার্লস স্কুলের ছাত্রীরা - সৌমিতা সরকার , শম্পা সান্ডিল ,
বর্ণালী ঘোষ , ছন্দিতা সিনহা , অর্পিতা দাস


রবীন্দ্রনাথ মৈত্র : পেশায় ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’র সাংবাদিক এবং ‘শনিবারের চিঠি’র সম্পাদক। তাঁর সাহিত্যকর্মের ভান্ডারে রয়েছে একটি উপন্যাস, সাতটি গল্পগ্রন্থ, একটি কাব্যগ্রন্থ , একটি শিশু কিশোর রচনা সংগ্রহ , একটি পূর্ণাঙ্গ এবং একটি অসমাপ্ত নাটক। অতি স্বল্পায়ু এই সাহিত্যিকের রচনায় বিষয়বস্তু যেমন প্রাণবন্ত ও বাস্তবমুখী, লিখনশৈলীও তেমনই অনাড়ম্বর। রবীন্দ্রনাথ মৈত্রের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ নাটক ‘মানময়ী গার্লস স্কুল’ রচিত হয় ১৯৩২ সালে এবং সে বছরই ডিসেম্বর মাসে স্টার থিয়েটারে অভিনয়ের পর নাটকটি অত্যন্ত জনপ্রিয়তা লাভ করে । এরপর ১৯৩৫ সালে এবং ১৯৫৮ সালে দুবার ‘মানময়ী গার্লস স্কুল’-এর চলচ্চিত্রায়ন হয়। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয় নাটকটি। নিষ্পাপ হাস্যরস সৃষ্টির মধ্যে দিয়েও তৎকালীন বাস্তব সমাজচিত্র, শিক্ষিত সমাজের বেকারত্ব, নারীর সামাজিক অবস্থান, ধর্মমত নির্বিশেষে মানবতার স্বীকৃতি দানের মত একাধিক আধুনিক ধারণার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন নাট্যকার। তাই সাম্প্রতিককালে বাংলার সাধারণ রঙ্গমঞ্চ প্রতিষ্ঠার ১৫০ বছর পূর্তিতেও এই নাটকের জনপ্রিয়তা ও প্রাসঙ্গিকতা প্রশ্নাতীত।

অতীতকে বাদ দিয়ে যেমন ভবিষ্যৎ অর্থহীন, জন্মলগ্নকে ভুলে গিয়ে বেঁচে থাকাও তেমনি অসম্ভব । আজ আমরা নাট্য অভিনয়ের মাধ্যমে পৌঁছে যাব সেই সুদূর অতীতে, বিংশ শতকের প্রথমার্ধে ,যখন বঞ্চিত- অবহেলিত ও পর্দানসীন অন্তঃপুরচারিণীরা জ্ঞানের আলোকবর্তিকা নিয়ে বেরিয়ে আসছেন জীবনের পথে; বহু ঝড়- ঝাপটা ও প্রতিকূল পরিস্থিতি কাটিয়ে কোনো শিক্ষামনস্ক সহৃদয় ব্যক্তির স্বতঃস্ফূর্ত উদ্যোগে একে একে গড়ে উঠছে বালিকা বিদ্যালয়গুলি। সেই সদ্য অঙ্কুরিত চারাগাছগুলির মতই একদিন আমাদের হুগলী গার্লস্‌ স্কুলও অজ্ঞানতার অন্ধকারকে দুহাতে ঠেলে সরিয়ে শুরু করেছিল তার পথচলা। এরপর পত্রপুষ্পে পল্লবিত হতে হতে আজ সে পরিণত হয়েছে মহীরুহে। আজ “মানময়ী গার্লস স্কুল” প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে আমরা সম্মান জানাবো আমাদের বিদ্যালয়ের এই সুদীর্ঘ জয়যাত্রাকে।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке