Скачать или смотреть কলা গাছের চারা লাগানো নিয়ে লক্ষাধিক টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ভগবানপুরগ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে

নিজস্ব সংবাদদাতা,মালদা , ৮ ফেব্রুয়ারি;

১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে কলা গাছের চারা লাগানো নিয়ে লক্ষাধিক টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে চাচোল ১ ব্লকের ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাটি নিয়ে ওই পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার অভিযোগ প্রশাসনের কাছে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার দশজন উপভোক্তা। তাঁদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও পঞ্চায়েতের এক সদস্য উপভোক্তাদের প্রাপ্য অর্থ না দিয়ে তা আত্মসাত করেছে।

এদিকে এরকম দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে চাচোল মহাকুমা প্রশাসন। তবে দুর্নীতির অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন ভগবান পুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সাবিনা পারভীন। তিনি বলেন তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে গ্রামের কয়েকজন যুবক। তারা তাদের সব কিছু পেয়েও এমনটা মিথ‍্যা অভিযোগ তুলছে।

প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্যানপালন বিভাগে কলাচাষ করে বাসিন্দারা যাতে স্বনির্ভর হন। সেজন্য ১০০ দিন কাজ প্রকল্পে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বিঘা প্রতি সব মিলিয়ে বরাদ্দের পরিমান প্রায় সাড়ে তিনলক্ষ টাকা। তার মধ্যে গাছের চারা, সার, নিড়ানি, জমিতে বেড়া দেওয়া, জলসেচ সহ শ্রমিকের খরচ রয়েছে। ওই প্রকল্পে হরিপুরে আটজন ও ভেবা এলাকায় দুজন উপভোক্তা রয়েছেন।

ওই উপভোক্তাদের অভিযোগ, পঞ্চায়েতের তরফে উপভোক্তাদের কোনও টাকাই দেওয়া হয়নি। গাছের চারা, সার, সেচের জন্য টাকা চাইলে তাদের তা নিজে থেকে কিনে লাগাতে বলা হয়। পরে পঞ্চায়েত থেকে তাদের টাmকা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু বাসিন্দারা চারা লাগানোর পর নিজের খরচে জমিতে বেড়া দেওয়া সহ সার, সেচের কাজ করছেন। তারপর টাকা চাওয়া হলে তিনজনকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। বাকি টাকা পরে দেওয়া হবে জানানো হলেও তা দেওয়া হয়নি। টাকা না মেলায় অর্থাভাবে চাষ করতে না পারায় সেই গাছও শুকিয়ে মরে যেতে বসেছে। তবে প্রকল্পের সাইন বোর্ড জমিতে ঝক ঝক করছে।

এই পরিস্থিতিতে অভিযোগকারী উপভোক্তারা খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, যে এই চাষ পুরোপুরি না হলেও পৌণে দুলক্ষ টাকা করে প্রকল্পে খরচ দেখিয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে। প্রধানকে বিষয়টি জানানোর পর কোনও গুরুত্ব না না দিয়ে পাল্টা হুমকি দেওয়া হয়েছে। এরপরেই ওই ১০ জন উপভোক্তা শুক্রবার বিডিওর দ্বারস্থ হন।

ভগবান পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিপুর এলাকার এক উপভোক্তা গোবিন্দ দাস বলেন, কলাগাছের চারা লাগানো থেকে বেড়া দেওয়া, সার, সেচ সব নিজের টাকায় করেছি। একবার সার দেওয়া ও আট হাজার টাকা ছাড়া কিছু পাই নি। টাকা না মেলায় জমিতে গাছ মরে যাচ্ছে।

ভেবা এলাকার এক উপভোক্তা আজিমুদ্দিন শেখ বলেন, আমি মাত্র ৪৫ জন শ্রমিকের কাজের টাকা পেয়েছি। কিন্তু আমার প্রকল্পে কাজ হয়েছে দেখিয়ে ৫৩৭ জন শ্রমিকের টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।

যদিও দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান সাবিনা পারভীন। তিনি বলেন, কলাচাষ খুব ভালো হয়েছে। টাকাও দেওয়া হয়েছে। কেন ওরা ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে জানি না।

চাঁচল-১ ব্লকের বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য় বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। পুরো ঘটনার তদন্ত হবে। দুর্নীতি হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।