Скачать или смотреть কোনো দিন ভাবিনি এত বড় ঝর্ণার দেখা পাব

ভাবিনি এত বড় ঝর্ণার দেখা পাব
সবাইকে আবার ও স্বাগতম আমাদের আরো একটি নতুন ভ্লগে। আশা করি বরাবরের মতো সবাই ভালো আসেন। আজকে আমরা ধুপপানি ঝর্ণা দেখার জন্য
তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে হাল্কা নাস্তা করে প্রস্তুত হয়ে পরলাম। তারপর ৭.৩০ টার সময় ১১ জন নিয়ে বোটের সাহায্যে গন্তব্যের উদ্দ্যশে রওনা দিলাম । কেননা ঝর্ণা দেখতে হলে ১ ঘণ্টা নদী এবং ২ ঘণ্টা পায়ে হেঁটে যেতে হবে । যাত্রা শুরু হতে না হতেই বিলাইছড়ি আর্মি কেম্পের চেক পোস্টে এন্ট্রি দিতে হয়। তাই সেখানে স্থানীয় বাদে পর্যতক হলে NID Card ফটো কপি জমা দিতে হবে। তাই NID Card ফটো কপি সঙ্গে রাখা অনেক প্রয়োজন। যা যে কোনো সময় কাজে লাগবে।
আমদের দিতে হয়নি কেননা আমাদের সবাইকে স্থানীয় লোকদের মতন লাগে। তারপরে ও আমদের কাছে NID Card ফটো কপি ছিল।
তারপর আবার আমাদের যাত্রা শুরু করে দিলাম। রীতিমত ১ ঘন্টা বোটের যাত্রা সমাপ্ত করার পর আবার হাঁটা শুরু করলাম। সেখানে এক দল পর্যতকের দেখা পেলাম । যেখানে তাদের গ্রুপটিতে ৭/৮ জন মেম্বার ছিল।
সমতল রাস্তা ১০ মিনিট হাঁটার পরে পাহাড় উঁচু পথ সামনে পড়ল । গ্রাম বাসীদের সহায়তায় মাটি কেটে সিঁড়ি করার কারনে পাহাড়টি উঠতে তেমন অসুবিধা হচ্ছিল না । এ পাহাড়টি ছিল প্রথম এবং শেষ পাহাড়। কিছুক্ষণ হাঁটার পরে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর আবার হাঁটাতে শুরু করি।
তারপর কিছু দূর গিয়ে ২ জন জুমের ফল,কলা,লেবুর শরবত বিক্রেতার দেখা পায়। তারা ছিল নানি-নাতি । তাদের কাছ থেকে আমরা কলা আর ফল কিনে খাই আর এর ফাঁকে অনেক কথা বলি । তাদের গ্রামে বিদ্যালয় না থাকার কারণে এখন ও পড়ালেখা করে না। যদি পড়ালেখা করতে চায় তাহলে অনেক দূর গিয়ে পড়তে হবে।
তাছড়া পড়ালেখা করার জন্য সামান্য টুকু অর্থ ছিল না। তাদের এ করুন অবস্থা শুনে মনে অনেক খারাপ লাগে।
আর বেশি কথা না বলে আমরা আবার হাঁটাতে শুরু করি। তারপর আবার কয়েক জন বিক্রেতার দেখা পাই। তাদের কাছে কলা,ফল,লেবু শরবত,দিম দেখতে পাই। ১৫/২০ মিনিট হাঁটার পর তঞ্চঙ্গ্যা গ্রামের দেখা পাই। সেখানেও বরাবরের মত পর্যতকদের জন্যে খাবার বিক্রি করতেছে।
সেখানে আধুনিকের শোয়া দেখতে পেয়ে মনের মধ্যে যে কষ্ট ছিল তা নিমিষে দূর হয়ে যায়।
তারপর নানি(বিক্রেতা) যে ব্রাক স্কুলের কথা বলছিল সেই স্কুলের দেখা পেলাম । স্কুল অতিক্রম করার পর দু' কানে ঝর্ণার পানির শব্দ আসতে শুরু করেছে। যতই সামনে যাচ্ছি ততই ঝর্ণার পানি বড় এবং বাম কানে স্থির হতে লাগল। পাহাড়টি নামার জন্য সিড়ির কার্যকলাপ দেখে অদ্ভুত হয়ে যায়।
গ্রামবাসীরা পাহাড়টি উঠা নামার সুবিধার্থে অনেক কষ্ট করেছে।
অবশেষে ২-২.৩০ ঘন্টার পরে ধুপপানি ঝর্ণার দেখা পেলাম। যাইহোক আজকের মতো এ পর্যন্ত। আগের ভ্লগটি ভুলে মিশ করে থাকলে দেখে নিতে পারেন। ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক এবং চ্যানেলেটি সাবস্ক্রাইব করে দিয়েন। পরবর্তি ভ্লগটি দেখার জন্য নিমন্ত্রাণ রইল।
ধন্যবাদ।
Background Music:
1.Feet On Water-Unexpected Moment
2.Timeless-Lauren Duski
3.You Are The Only-TrackTribe

Facebook page:   / mmuro2578  

#ধুপপানিঝর্ণা #বিলাইছড়ি #monmuro