Скачать или смотреть ☪রমযানে ডায়াবেটিক রোগীদের ডায়েট কী হবে ও কেমন হবে-What will be the diet of diabetic patients?

রমযানে ডায়াবেটিক রোগীদের ডায়েট কী হবে ও কেমন হবে-What will be the diet of diabetic patients in Ram

রমজানে রোজাদারদের খাবার-দাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশেষ নজর রাখতে হয়। তা না হলে সারাদিন রোজা শেষে উল্টা পাল্টা খাবার গ্রহণে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। নিচে রমযানে ডায়াবেটিক রোগীদের ডায়েট কী হবে ও কেমন হবে তা নিয়ে আলোচনা করা হলো :
ইফতারি : রমজান মাসে ডায়াবেটিক রোগীদের ক্যালোরির চাহিদা পরিবর্তন হয় না। তবে খাবার এবং সময়ের পরিবর্তন হয়। তাই ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত সময়ে প্রয়োজনীয় ক্যালোরি সম্পন্ন খাবার গ্রহণ করতে হবে।

ইফতারের সময় বিকল্প চিনি দিয়ে ইসবগুলের ভুষি, তোকমা, লেবু কাঁচা আম বা তেঁতুল শরবত ডায়াবেটিক রোগীর জন্য উপকারী। টক এবং মিষ্টি ফলের মিশ্রণে তৈরি সালাদও বেশ উপকারী। তবে ডাব ছাড়া অন্য কোনো মিষ্টি জাতীয় ফলের রস খাওয়া উচিত না।

কাঁচা ছোলার সঙ্গে আদাকুচি, টমেটো কুচি, পুদিনা পাতা ও লবণের মিশ্রণ সুস্বাদু স্বাস্থ্যসম্মত একটি খাবার। কাঁচা ছোলা রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। তবে ইফতারে একসঙ্গে অনেক কিছু না খেয়ে সেহরি পর্যন্ত সময়ে ধাপে ধাপে ভাগ করে খেলে ডায়াবেটিক রোগীরা ভালো থাকবেন। এতে রক্তে হঠাৎই শর্করার মাত্রা বেড়ে যাবে না।

রাতের খাবার: সাধারণত রমজান মাসে অনেকেই রাতের খাবার খান না। তবে ডায়াবেটিক রোগীদের রাতের খাবার একেবারে বাদ দেওয়া উচিত নয়। অল্প করে হলেও খেতে হবে।রাতের খাবারের তালিকায় প্রতিদিন হালকা মসলায় রান্না যেকোনো ছোট-বড় মাছ এবং সবজি রাখা উচিত।

সেহেরি: ভোররাতে ভাত খেলে সারাদিন রোজা পালনে ক্লান্তি আসবে না বলে মনে করেন অনেকেই। তবে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য সেহরির সময় রুটি অথবা ভাত যাই হোক না কেন- সেটার পরিমাণ যেন ঠিক থাকে।
ওষুধ ও ইনসুলিন: রোজা খাবারের সময়সূচি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ওষুধ ও ইনসুলিনের সময় ও মাত্রা অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। সন্ধ্যায় ইফতারের পর পূর্ণমাত্রায় সকালের ওষুধ ও ইনসুলিন নিতে হবে।

ব্যায়াম : প্রতিদিন ব্যায়াম ও হাঁটাহাঁটি করেন এমন ডায়াবেটিক রোগীদের রুটিন রমযান মাসে পরিবর্তন করতে হবে। রোজা পালনকালে ব্যায়াম ও বেশি হাঁটা ঠিক হবে না।