আল্লাহ তা‘আলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন যেদিন তাঁর ছায়া ব্যতীত আর কোন ছায়া থাকবে না; (তারা হল,) ন্যায় পরায়ণ বাদশাহ (রাষ্ট্রনেতা
• ন্যায় পরায়ণ বাদশাহ রাষ্ট্রনেতাকে আল্লাহ কি...
সূরা নিসা ১৩৫. হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা ন্যায়বিচারে অটল থেকো। তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে সত্যসাক্ষ্য দেবে। সত্য বলার কারণে যদি তোমার নিজের ক্ষতি হয় অথবা মা-বাবা বা আত্মীয়ের ক্ষতি হয়, তবুও সত্যসাক্ষ্য দেবে। আর পক্ষদ্বয় বিত্তবান হোক বা বিত্তহীন (সে বিবেচনা না করেই) সত্যসাক্ষ্য দেবে। আল্লাহর প্রাধিকার ওদের সবার ওপরে; লোভ-লালসা বা প্রবৃত্তির অনুগামী হয়ে ন্যায়বিচার থেকে দূরে সরে যেও না। যদি পক্ষপাতিত্ব করে প্যাঁচানো কথা বলো, সত্যকে বিকৃত করো বা পাশ কাটিয়ে যাও তবে মনে রেখো, আল্লাহ সবকিছুরই খবর রাখেন।
গ্রন্থঃ রিয়াযুস স্বা-লিহীন
অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ (كتاب المقدمات)
হাদিস নম্বরঃ ৬৬৪
৭৯: ন্যায়পরায়ণ শাসকের মাহাত্ম্য
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ إِنَّ ٱللَّهَ يَأۡمُرُ بِٱلۡعَدۡلِ وَٱلۡإِحۡسَٰنِ ﴾ [النحل: ٩٠]
অর্থাৎ “নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা ও সদাচরণের নির্দেশ দেন---।” (সূরা নাহ্ল ৯০ আয়াত)
তিনি অন্য জায়গায় বলেন,
﴿ وَأَقۡسِطُوٓاْۖ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلۡمُقۡسِطِينَ﴾ [الحجرات: ٩]
অর্থাৎ “সুবিচার কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ সুবিচারকারীদেরকে ভালবাসেন।” (সূরা হুজুরাত ৩৮১ আয়াত)
১/৬৬৪। আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘আল্লাহ তা‘আলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন যেদিন তাঁর ছায়া ব্যতীত আর কোন ছায়া থাকবে না; (তারা হল,) ন্যায় পরায়ণ বাদশাহ (রাষ্ট্রনেতা), সেই যুবক যার যৌবন আল্লাহ আয্যা অজাল্লার ইবাদতে অতিবাহিত হয়, সেই ব্যক্তি যার অন্তর মসজিদসমূহের সাথে লটকে থাকে (মসজিদের প্রতি তার মন সদা আকৃষ্ট থাকে।) সেই দুই ব্যক্তি যারা আল্লাহর সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা স্থাপন করে; যারা এই ভালোবাসার উপর মিলিত হয় এবং এই ভালোবাসার উপরেই চিরবিচ্ছিন্ন (তাদের মৃত্যু) হয়। সেই ব্যক্তি যাকে কোন কুলকামিনী সুন্দরী (অবৈধ যৌন-মিলনের উদ্দেশ্যে) আহবান করে, কিন্তু সে বলে, ‘আমি আল্লাহকে ভয় করি।’ সেই ব্যক্তি যে দান করে গোপন করে; এমনকি তার ডান হাত যা প্রদান করে, তা তার বাম হাত পর্যন্তও জানতে পারে না। আর সেই ব্যক্তি যে নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে; ফলে তার উভয় চোখে পানি বয়ে যায়।’’ (বুখারী-মুসলিম) [1]
[1] সহীহুল বুখারী ৬৬০, ১৪২৩, ৬৪৭৯, ৬৮০৬, মুসলিম ১০৩১, তিরমিযী ২৩৯১, নাসায়ী ৫৩৮০, আহমাদ ৯৩৭৩, মুওয়াত্তা মালিক ১৭৭৭ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
অধ্যায়ঃ ৩৪। প্রশাসন ও নেতৃত্ব (كتاب الإمارة)
হাদিস নম্বরঃ ৪৬১৫
৫. ন্যায়পরায়ণ শাসকের মর্যাদা ও অত্যাচারী শাসকের পরিণাম, শাসিতদের প্রতি কোমল আচরণ ও কঠোরতা বর্জন
৪৬১৫-(১৮/১৮২৭) আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ, যুহায়র ইবনু হারব ও ইবনু নুমায়র (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাযিঃ) বলেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ন্যায় বিচারকগণ (কিয়ামাতের দিন) আল্লাহর নিকটে নূরের মিম্বারসমূহে মহামহিম দয়াময় প্রভুর ডানপাৰ্শ্বে উপবিষ্ট থাকবেন। তার উভয় হাতই ডান হাত (অর্থাৎ- সমান মহিয়ান)। যারা তাদের শাসনকার্যে তাদের পরিবারের লোকদের ব্যাপারে এবং তাদের উপর ন্যস্ত দায়িত্বসমূহের ব্যাপারে সুবিচার করে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৫৭০, ইসলামিক সেন্টার ৪৫৭৩)
রিয়াযুস স্বা-লিহীন ৬৬৫
নাসায়ী ৫৩৭৯, আহমাদ ৬৪৪৯, ৬৪৫৬, ৬৮৫৮ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
অধ্যায়ঃ ৩৪। প্রশাসন ও নেতৃত্ব (كتاب الإمارة)
হাদিস নম্বরঃ ৪৬৯৮
১৭. উত্তম শাসক ও নিকৃষ্ট শাসক
৪৬৯৮-(৬৫/১৮৫৫) ইসহাক ইবনু ইবরাহীম হানযালী (রহঃ) ..... আওফ ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের সর্বোত্তম নেতা হচ্ছে তারাই যাদেরকে তোমরা ভালবাস আর তারাও তোমাদেরকে ভালবাসে। তারা তোমাদের জন্য দু'আ করে, তোমরাও তাদের জন্য দু'আ কর। পক্ষান্তরে তোমাদের নিকৃষ্ট নেতা হচ্ছে তারাই যাদেরকে তোমরা ঘৃণা কর আর তারাও তোমাদেরকে ঘৃণা করে। তোমরা তাদেরকে অভিশাপ দাও আর তারাও তোমাদেরকে অভিশাপ দেয়। বলা হল, হে আল্লাহর রসূল! আমরা কি তাদেরকে তরবারি দ্বারা প্রতিহত করবো না? তখন তিনি বললেন, না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তোমাদের মধ্যে সলাত কায়িম রাখবে। আর যখন তোমাদের শাসকদের মধ্যে কোনরূপ অপছন্দনীয় কাজ দেখবে; তখন তোমরা তাদের সে কাজকে ঘৃণা করবে; কিন্তু (তাদের) আনুগত্য থেকে হাত গুটিয়ে নেবে না। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৬৫১, ইসলামিক সেন্টার ৪৬৫৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থঃ রিয়াযুস স্বা-লিহীন
অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ (كتاب المقدمات)
হাদিস নম্বরঃ ৬৬৬
৭৯: ন্যায়পরায়ণ শাসকের মাহাত্ম্য
৩/৬৬৬। আওফ ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘‘তোমাদের সর্বোৎকৃষ্ট শাসকবৃন্দ তারা, যাদেরকে তোমরা ভালবাস এবং তারাও তোমাদেরকে ভালবাসে, তোমরা তাদের জন্য দো‘আ কর এবং তারাও তোমাদের জন্য দো‘আ করে। আর তোমাদের নিকৃষ্টতম শাসকবৃন্দ তারা, যাদেরকে তোমরা ঘৃণা কর এবং তারাও তোমাদেরকে ঘৃণা করে, তোমরা তাদেরকে অভিশাপ কর এবং তারাও তোমাদেরকে অভিশাপ করে।’’ (বর্ণনাকারী) বলেন, আমরা বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করব না?’ তিনি বললেন, ‘‘না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তোমাদের মধ্যে নামায প্রতিষ্ঠা করবে। না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তোমাদের মধ্যে নামায প্রতিষ্ঠা করবে।’’ (মুসলিম) [1]
[1] মুসলিম ১৮৫৫, আহমাদ ২৩৪৬১, ২৩৪৭৯, দারেমী ২৭৯৭ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
Информация по комментариям в разработке