Скачать или смотреть শখের বসে ছাগল পালন শুরু করে স্বাবলম্বী হয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক,,,

★★★

পাবনা জেলা ফরিদপুর উপজেলার এক সময় প্রতিটি পরিবারে ছাগল পালন ছিল এক ধরনের নেশা। একটি ছাগল না থাকলে পরিবার যেন অসম্পূর্ণ। নিজের সন্তানের মতো গ্রামের লোকেরা ছাগলকে যত্ন নিত। কিন্তু সারা বছর জমিতে ফসল উৎপাদনের কারণে প্রাণীর খাদ্যের তীব্র অভাব, অকাল মৃত্যু, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও চিকিৎসাজনিত সচেতনতার অভাবে এলাকায় ছাগল পালন দিন দিন বিলুপ্ত হতে চলছিল। এর মধ্যে গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকজন কৃষক শখের বসে ছাগল পালন শুরু করেছেন। ছাগল পালনকে পেশা হিসেবে নিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তাদেরই একজন আব্দুর রাজ্জাক। ফরিদপুর উপজেলার পার ফরিদপুর গ্রামের এই কৃষক ছাগল পালন করে সচ্ছল হয়েছেন। আব্দুর রাজ্জাক শখের ছাগল পালনকে এখন পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। প্রায় এক যুগ আগে দুটি ছাগল দিয়ে তার ছাগল পালন শুরু। বর্তমানে তার পালে ৪০-৪৫টি ছাগল রয়েছে। প্রতিদিন সকালে তিনি ছাগল নিয়ে চকে বের হন। চকে নিয়ে খাবার শেষে বাড়ি ফিরে আসেন।

★★★

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, 'আমি যখন বয়সে ছোট ছিলাম তখন ২০-২২ বছর ছাগল পালন করেছি। মাঝখানে ছাগল পালন করিনি। বর্তমানে একটানা ১২ বছর ধরে ছাগল পালন করছি। আজীবন আমি ছাগল পালন করে যাব। নেশা-পেশা সব এখন ছাগল পালনের দিকে। তিনি বলেন, আমি খুব আনন্দের সঙ্গে এই কাজটি করছি। ছাগল পালন করা খুব বিরক্তিকর। তবে আমি কোনো সময়ই বিরক্ত বোধ করিনি।'

★★★

তার খামারে সব বয়সের ছাগল রয়েছে। সন্তান না থাকায় আদুরী, সোহাগী, রূপসী, লালু, ভুলু, ময়না, সুন্দরী, ভোলা, মিলু, পল্টু নামে ছাগলগুলোর নাম রাখা হয়েছে। নাম ধরে ডাকলেই ছাগলগুলো তার কাছে ছুটে আসে। সন্তানের মতোই ছাগলগুলোকে তিনি আদর করেন। এক সঙ্গে সবগুলো ছাগল চকে নেওয়ার সময় ছাগল তার কথা শুনতে পারে। ডানে-বাঁয়ে ইশারা দিলে ছাগলগুলো তার কথা মতোই চলে।

★★★

তিনি আরও জানান, এখন আর বাজারে গিয়ে তার ছাগল বিক্রি করতে হয় না। পাইকার এসে বাড়ি থেকে ছাগল নিয়ে যান। ছাগল পালন করে তিনি এখন বেশ স্বাবলম্বী। তার খামারে দেশি-বিদেশিসহ বেশ কয়েক প্রকারের ছাগল রয়েছে। এর মধ্যে খাসি, রাম ছাগলও রয়েছে। পরিবারের লোকজন তাকে সহযোগিতা করে থাকেন।