সংগ্রহ - সোনার তরী (একটি শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র)
পরিকল্পনা - বর্ণালী সরকার, পরিচালনা - অসীম বাইন
Planning - Barnali Sarkar, Direction - Ashim Bain
বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী বিজন মিস্ত্রীর জন্ম ৮ জুন, বরগুনা জেলার আমতলীর নীমতলী গ্রামে। শৈশব থেকেই কীর্ত্তন শুনে গানের প্রতি আগ্রহ জন্মে৷ বৌদির গান শুনে ও বাবা মার অনুপ্রেরনায় সঙ্গীতে প্রবেশ। যতীন মজুমদারের কাছে শুদ্ধ সঙ্গীতে হাতেখড়ি এবং পন্ডিত গোপী মোহন কর্মকারের কাছে রাগ সঙ্গীতে তালিম নেন। পরবর্তীতে ঢাকা এসে সরকারী সঙ্গীত মহাবিদ্যালয় এবং ছায়ানটে ভর্তি হন। সেখানে গুরু হিসেবে পান শ্রদ্ধেয় খালিদ হোসেন ,শামীমা পারভীন, সাদি মহম্মদ, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী ও জহীর আলীমে প্রমুখ শিক্ষকদের এবং ছায়ানটে গান শেখেন খায়রুল আনাম শাকিল, শাহীন সামাদ, সেলিনা হোসেনের কাছে। শুদ্ধ সঙ্গীত তালিম নিয়েছেন রেজোয়ান আলী লাভলু ,অনুপ বড়ুয়া, সতীন্দ্র নাথ হালদার,পুলক গুপ্তের কাছে, ধ্রুপদে তালিম নেন ড. মিন্টু কৃষ্ণ পালের কাছে । তাছাড়া উপমহাদেশের বিখ্যাত ওস্তাদ মসকুর আলী খান ও বিদুষী শান্তি শর্মার কাছে তালিম গ্রহণ করেন। এছাড়া ওস্তাদ সুমন চৌধুরীর কাছে নজরুল সংগীত ও বর্তমানে গুরু অসিত দের কাছে উচ্চাঙ্গ সংগীতে তালিম নিচ্ছেন তিনি।
বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত ও নজরুল সঙ্গীতের বিশেষ শ্রেণীর শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত শিল্পী বিজন মিস্ত্রী বর্তমানে ছায়ানটের শিক্ষক হিসেবে নিয়জিত আছেন এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) স্থাপত্য বিভাগে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। এছাড়া নজরুল সঙ্গীতে বিশেষ কৃতিত্ত্বের জন্য নজরুল একাডেমী থেকে পেয়েছেন নবীন ও প্রতিশ্রুতিশীল নজরুল শিল্পী প্রকল্প স্বীকৃতি পুরস্কার সহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
ঠুমরি (কেউ কেউ ঠুংরি বলেন, কেন বলেন জানি না) হিন্দুস্থানি উপশাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং জনপ্রিয় ধারা। লোকে বলে শত বছর আছে লাখনও এর শেষ নবাব ওয়জিদ আলি শাহ যিনি “আখতার পিয়া” নামেও পরিচিত ছিলেন, তিনিই প্রথম এই গায়নরীতির স্থাপনা করেন।
ঠুমরী চঞ্চল স্বভাবের ভাব প্রধান গান। এ গানে প্রেম, বিরহ, বিবাদ, অপেক্ষা, অভিমান, অভিযোগ, মিলনের অভিব্যক্তিগুলো সুর ও বানীর সংমিশ্রণে ফুটিয়ে তোলা হয়। এজন্য শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের চেয়ে ঠুমরী অনেক বেশি বানী প্রধান। প্রতিটি শব্দ স্পষ্ট করে উচ্চারণ করা হয় এবং প্রতিটি শব্দের আবেগকে সময় নিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়। ঠুমরী ব্রজ, হিন্দি, উর্দু, পাঞ্জাবী ভাষায় রচিত হয়েছে। এছাড়া বাংলা সহ অন্যান্য কিছু ভাষায়ও কিছু রচনা আছে।
সচরাচর সহজ তাল (যেমন: দাদরা, কাহারবা, দিপচন্ডি, যততাল। তবে স্থায়ি অন্তরাতে কাজ করার পরে তাল বদলাতে পারে, শেষ করার আগে আবার শুরুর তালে ফিরে যেতে পারে) এবং হালকা রাগে বাঁধা হয় ঠুমরী (যেমন: খাম্বাজ, দেশ, তিলক-কামোদ, তিলং, পিলু, কাফি, ভৈরবী, ঝিন্ঝটি, যোগীয়া, পাহাড়ী)। রাগের শুদ্ধতার চেয়ে বেশি নজর দেয়া হয় বোলের বা অভিব্যক্তির প্রকাশের উপরে। ঠুমরীর স্থায়ীর পাশাপাশি একাধিক অন্তরা থাকে। খাটকা, মুড়কি, গিটকিরি এবং পুকার – ঠুমরী গানের প্রধান অঙ্গ। গানের বানীর সাথে এগুলো মিশিয়ে সুন্দর বোল তৈরি করে উপস্থাপন করা হয়। এজন্য একই লাইনের কাব্য বহু অভিব্যক্তিতে প্রকাশ প্রায়।
ঠুমরী আলাদা করে শোনা হয়। আবার অনেকসময় ভারী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের গান/বাজনা শেষে ঠুমরি দিয়ে (খাবার শেষে ডেসার্ট এর মতো করে) শেষ করা হয়। কণ্ঠে গাইবার পাশাপাশি অনেকে যন্ত্রেও ঠুমরী বাজিয়ে থাকেন। আর নৃত্যের সাথে ঠুমরির দারুণ বন্ধন তো আছেই।
লোকগীতির “ঠমক” চাল থেকে ঠুমরি শব্দের উৎপত্তি বলে শোনা যায়। উনিশ শতকে এই গানের প্রসার হয়েছে। লাখনৌ এবং বেনারস থেকে ঠুমরীর সবচেয়ে বিখ্যাত দুটি ধারার প্রসার হয়েছিল। পরে পাঞ্জাবেও একটি ধারা তৈরি হয়েছিল।
শ্রোতা বা বোদ্ধা উভয়কেই আনন্দ দেয় ঠুমরি। ঠুমরী (কেউ কেউ ঠুংরি বলেন) হিন্দুস্তানি উপশাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং জনপ্রিয় ধারা। ঠুমরি হলো চঞ্চল স্বভাবের ভাবপ্রধান গান। এ গানে প্রেম, বিরহ, বিবাদ, অপেক্ষা, অভিমান, অভিযোগ, মিলনের অভিব্যক্তিগুলো সুর ও বাণীর সংমিশ্রণে ফুটিয়ে তোলা হয়। এজন্য শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের চেয়ে ঠুমরি অনেক বেশি বাণীপ্রধান। প্রতিটি শব্দ স্পষ্ট করে উচ্চারণ করা হয় এবং প্রতিটি শব্দের আবেগকে সময় নিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়। ঠুমরি ব্রজ, হিন্দি, উর্দু, পাঞ্জাবি ভাষায় রচিত হয়েছে। এছাড়া বাংলাসহ অন্যান্য কিছু ভাষায়ও কিছু রচনা আছে। বেনারস, পাঞ্জাবসহ হাতেগোনা কয়েকটি গায়ন রীতিতে গাওয়া হয় ঠুমরি।
সচরাচর সহজ তাল (যেমন: দাদরা, কাহারবা, দিপচন্ডি, যততাল। তবে স্থায়ি অন্তরাতে কাজ করার পরে তাল বদলাতে পারে, শেষ করার আগে আবার শুরুর তালে ফিরে যেতে পারে) এবং হালকা রাগে বাঁধা হয় ঠুমরী (যেমন: খাম্বাজ, দেশ, তিলক-কামোদ, তিলং, পিলু, কাফি, ভৈরবী, ঝিন্ঝটি, যোগীয়া, পাহাড়ী) । রাগের শুদ্ধতার চেয়ে বেশি নজর দেয়া হয় বোলের বা অভিব্যক্তির প্রকাশের উপরে। ঠুমরীর স্থায়ীর পাশাপাশি একাধিক অন্তরা থাকে। খাটকা, মুড়কি, গিটকিরি এবং পুকার – ঠুমরী গানের প্রধান অঙ্গ। গানের বানীর সাথে এগুলো মিশিয়ে সুন্দর বোল তৈরি করে উপস্থাপন করা হয়। এজন্য একই লাইনের কাব্য বহু অভিব্যক্তিতে প্রকাশ প্রায়।
শ্রোতা বা বোদ্ধা উভয়কেই আনন্দ দেয় ঠুমরি। ঠুমরী (কেউ কেউ ঠুংরি বলেন) হিন্দুস্তানি উপশাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং জনপ্রিয় ধারা। ঠুমরি হলো চঞ্চল স্বভাবের ভাবপ্রধান গান। এ গানে প্রেম, বিরহ, বিবাদ, অপেক্ষা, অভিমান, অভিযোগ, মিলনের অভিব্যক্তিগুলো সুর ও বাণীর সংমিশ্রণে ফুটিয়ে তোলা হয়। এজন্য শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের চেয়ে ঠুমরি অনেক বেশি বাণীপ্রধান। প্রতিটি শব্দ স্পষ্ট করে উচ্চারণ করা হয় এবং প্রতিটি শব্দের আবেগকে সময় নিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়। ঠুমরি ব্রজ, হিন্দি, উর্দু, পাঞ্জাবি ভাষায় রচিত হয়েছে। এছাড়া বাংলাসহ অন্যান্য কিছু ভাষায়ও কিছু রচনা আছে। বেনারস, পাঞ্জাবসহ হাতেগোনা কয়েকটি গায়ন রীতিতে গাওয়া হয় ঠুমরি।
Информация по комментариям в разработке