Скачать или смотреть নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার; ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকুন

শাহবাগ আন্দোলন গড়ে উঠেছিল জনতার মধ্যে বিদ্যমান ক্ষোভ থেকে; কিন্তু পরবর্তী সময়ে গণজাগরণ মঞ্চ হয়ে ওঠে দেশের সবচেয়ে বড় মব স্টেজ; যেখানে রাষ্ট্রীয় ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার সঙ্গে ছিল ভারতীয় কূটচাল। সেখানে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে জড়িত হয় সিপিবি ও ছাত্র ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি বামপন্থী নামধারী সংগঠন। তাদের মতে, কথিত মন্দের ভালো ছিল হাসিনা-আওয়ামী লীগ। আসলে ভারতীয় এজেন্সির দিক-নির্দেশনায় তারা আওয়ামী তোষণে লিপ্ত ছিল।
বিগত হাসিনা-আওয়ামী ফ্যাসিবাদে বরাবরই সমর্থন দিয়ে গেছে সিপিবি গং। এমনকি গণহত্যা চলাকালেও এম এম আকাশরা হাসিনার পক্ষে সাফাই দিয়েছেন। গণঅভ্যুত্থানের পরও তাদের এই অবস্থান স্পষ্ট। অথচ গণঅভ্যুত্থানের পরপরই তারা বিএনপির কোলে উঠে বসেছে।

গণজাগরণ মঞ্চে একসময় সক্রিয় থাকা লোকজনের অনেকেই এবারের গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় ও প্রভাবক ভূমিকা রেখেছেন। তাই এ বিষয়টিও মাথায় রাখা জরুরি। ‘শাহবাগী’ বা অন্য কোনো ট্যাগ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন, প্লিজ।

প্রসঙ্গত, বছরখানেক ধরে ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ মেঘমল্লার বসুর নেতৃত্বে হাসিনা-আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। তারা গণঅভ্যুত্থানেও সামনের সারিতে থেকে আন্দোলন করেছে। এদের বিভিন্ন সময়ে সিপিবির নেতারা টকশোতে বেচা-বিক্রি করে। তবে তাদের ভিন্নমতকে কখনো স্বীকৃতি দেয় না।

গতকাল মেঘমল্লার বসুর নেতৃত্বে ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ ও শিক্ষার্থীরা ‘ধর্ষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ ব্যানারে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অব্যহতিসহ কয়েকটি দাবি নিয়ে স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিল। আমরা জানি, পুলিশের মোরাল ভেঙেছে। তারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে না। এজন্য কখনো তারা একদম নিষ্ক্রিয় থাকে। আবার কখনো তারা সক্রিয়তার নামে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। কখন কেমন ভূমিকা রাখতে হবে তা তাদের অজানা। কারণ জনগণের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য তাদের গড়ে তোলা হয়নি। এ শিক্ষায় তারা কার্যত অশিক্ষিত। আর সেই অদক্ষ ও অসভ্যতারই নিদর্শন আমরা দেখেছি এসি মামুনের আচরণে। তাঁর আচরণ ছিল, বিগত সরকারের পুলিশ লীগের মতোই। যা-ই হোক, মেঘমল্লারদের ওই মিছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরে আসে এবং সেখানে তারা এই প্রতিবাদ জানান।

পরে গতকাল সন্ধ্যায় আওয়ামী-ভারত প্রেসক্রিপশনে চলা শাহবাগ আন্দোলনের আওয়ামী-সিপিবি সেনানীরা মাঠে নামে। তারা গর্ত থেকে বের হয়ে এসে মশাল মিছিল করে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে। তারা এতদিন পর সক্রিয় হওয়ার পেছনে ভিন্ন ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। আমরা মবের মুল্লুক চাই না।

উল্লেখ্য, অনেকেই মেঘমল্লার বসু ও দালালদের কর্মসূচিকে এক করে দেখতে চাইছেন। অনুরোধ রইলো, এত সরলীকরণ করবেন না। রাজনীতিই নির্ধারক। এর ভিত্তিতেই নির্মাণ হবে আগামীদিনের রাষ্ট্র ও সমাজ। ইনক্লুসিভ বা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের জন্য ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন। সেই সঙ্গে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হোন!!