ফুলের নাম- অশোক,হেমাপুষ্প, অঞ্জনপ্রিয়া, মধুপুষ্প (Ashoka, Sorrowless,Yellow Ashok, Yellow Saraca):
সমার্থক নামসমূহ: অপশোক, অশোক, কঙ্গেলি, কর্ণপূরক, কেলিক, চিত্র, দোষহারী, নট, পল্লবদ্রুপ, পিণ্ডিপুষ্প, প্রপল্লব, বঞ্জুলদ্রুম, বিচিত্র, বিশোক, মধুপষ্প, রক্তপল্লবক, রাগীতরু, রামাবামাঙ্ঘিধাতক, শোকনাশ, সুভগ, স্মরাধিবাস, হেমপুষ্প,হেমাপুষ্প, অঞ্জনপ্রিয়া।
ভারতবর্ষে বিভিন্ন প্রদেশে এই গাছকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়।
তবে এর সর্বাধিক প্রচলিত নাম-অশোক।
ইংরেজি – Ashoka।
এই গাছ ভারতবর্ষ ও শ্রীলঙ্কাতে প্রচুর পাওয়া যায়। কথিত আছে গৌতম বুদ্ধ লুম্বিনি-তে এই গাছের নিচে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এবং মহাবীর এই গাছের নিচে ধ্যান করে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। রামায়ণে উল্লেখ আছে– রাম সীতাকে অপহরণ করে অশোক বনে রেখেছিলেন।
ফুল ফোটার প্রধান মৌসুম বসন্তকাল। তবে হেমন্ত অবধি এ গাছে ফুল ফুটতে দেখা যায়।
তবে শীতকালেও এরা অল্প সংখ্যায় ফুটে থাকে।
ফুল ফোটার প্রধান মৌসুম বসন্তকাল। তবে হেমন্ত অবধি এ গাছে ফুল ফুটতে দেখা যায়। তবে শীতকালেও এরা অল্প সংখ্যায় ফুটে থাকে। অশোক ফুল গাছের কাণ্ড থেকে ফোটে। ফুল আকারে ছোট, কিন্তু বহুপৌষ্পিক, ছত্রাকৃতি। মঞ্জরি আকারে বড়। অজস্র ফুলের সমষ্টি অশোকমঞ্জরি মৃদু গন্ধযুক্ত এবং বর্ণ ও গড়নে আকর্ষণীয়। তাজা ফুলের রং কমলা, কিন্তু বাসি ফুল লাল রঙ ধারণ করে। পরাগকেশর দীর্ঘ। ফল বড়সড় শিমের মতো চ্যাপ্টা, পুরু এবং ঈষৎ বেগুনি রঙের।
এর মঞ্জরী গোলাকৃতির, চওড়া প্রায় ৭.৫১৫ সেন্টিমিটার। কাণ্ড বা শাখায় ছোটো ছোটো ফুল গুচ্ছাকারে ধরে। ফুলগুলির গড় লম্বা ২.৫ সেন্টিমিটার। এগুলির কমলা-লাল বর্ণের হয়ে থাকে। ফুলগুলিতে বেশ সুগন্ধ থাকে। ফল বড় শিমের মতো চ্যাপ্টা।
বীজ থেকে সহজেই চারা জন্মে।
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী মতে– গৌরী দেবী এই বৃক্ষের নিচে তপস্যা করে সিদ্ধি লাভ করেছিলেন এবং শোক থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। সেই কারণে এই বৃক্ষের নাম অশোক হয়েছে। এই গাছ ভারতবর্ষ ও শ্রীলঙ্কাতে প্রচুর পাওয়া যায়। কথিত আছে গৌতম বুদ্ধ লুম্বিনি-তে এই গাছের নিচে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এবং মহাবীর এই গাছের নিচে ধ্যান করে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। রামায়ণে উল্লেখ আছে– রাম সীতাকে অপহরণ করে অশোকবনে রেখেছিলেন।
সময়কালঃ সাধারণত ৪-৫ বছরে পরিপক্ক হয় তবে পূর্ণাঙ্গ পরিপক্ক হতে ৮/১০ বছর সময় প্রয়োজন।
ছাল সংরক্ষণের সময়ঃ ৪ শরৎকাল অর্থাৎ ভদ্র ও আশ্বিন মাস।
অন্যান্য ব্যবহারঃ হিন্দু সম্প্রদায় অশোক গাছকে পবিত্র মনে করে বলে মন্দিরের গ্রাঙ্গণে এ গাছ লাগানোর হয়। অন্য কাঠের তুলনায় নরম বলে অশোক কাঠের ব্যবহার সীমিত। জ্বালানি এবং কাগজের মস্ত হিসেবে এ কাঠ ব্যবহার করা যায়। অশোক গাছের শিম জাতীয় ফল উৎকৃষ্ট পশু খাদ্য।
চাহিদা ও ঔষধ শিল্পে এর বাৎসরিক চাহিদা ১২,০০,০০০ কেজি এবং সাধারণ শিল্পে এর বাৎসরিক চাহিদা। ১০,০০,০০০ কেজি।
আয়ঃ বাণিজ্যিকভাবে অশোক চাষ আমাদের দেশে কোথাও পরিলক্ষিত হয়না। একটি পূর্ণ বয়স্ক গাছ বছরে ২০০০ টাকার ছাল, বীজ ও ফুল পাওয়া সম্ভব।
ব্যবহার্য অংশঃ সাধারণত অশোক গাছের ছাল ব্যবহৃত হয়। তবে ফুল এবং বীজও ব্যবহার করা।
উপকারিতা / লোকজ ব্যবহারঃ রোগের বিভিন্ন যন্ত্রণা উপশমে এই গাছ বিশেষ কার্যকরী।
এর বাকলে ট্যানিন, ক্যাটেকোহল, স্টেরল এবং বিবিধ ধরনের ক্যালসিয়াম যৌগ পাওয়া যায়।
আল্লাহ হাফেজ
১৬.০৩.২০২৫
#অশোক
#ashok
#ashoka
#হেমাপুষ্প
#অঞ্জনপ্রিয়া
Информация по комментариям в разработке