Скачать или смотреть হযরত জুলকার নাঈম ও ইয়াজুজ মাজুজ

হযরত জুলকার নাঈম (আঃ) ও ইয়াজুজ মাজুজের (গোগ-মাগোগ) বর্ণনা

হযরত জুলকার নাঈম (আঃ):
হযরত জুলকার নাঈম (আঃ) আল্লাহর এক মহাপুরুষ ছিলেন, যাকে আল্লাহ তাআলা তাঁর এক বিশেষ কাজের জন্য নির্বাচিত করেছিলেন। তাঁর নাম قرآنুল কারিমে এসেছে এবং আল্লাহ তাআলা তাঁরকে পৃথিবীজুড়ে এক শক্তিশালী রাজা হিসেবে পাঠিয়েছিলেন। তবে, তাঁর পরিচয় মূলত তাঁর একটি বড় কাজের মাধ্যমে হয়ে থাকে—যে কাজটি তিনি ইয়াজুজ-মাজুজের আক্রমণ থেকে মানুষের রক্ষা করার জন্য করেছিলেন।

হযরত জুলকার নাঈম (আঃ) ঐতিহাসিকভাবে পরিচিত একজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন যিনি এক সময় একটি শক্তিশালী প্রাচীর বা বাঁধ নির্মাণ করেছিলেন, যা ইয়াজুজ-মাজুজ (গোগ-মাগোগ) জাতির আক্রমণ থেকে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছিল। ইসলামে তাঁকে আল্লাহর পক্ষ থেকে এক মহান নেতা হিসেবে সম্মানিত করা হয়েছে, যিনি তাঁর সভ্যতা ও বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করেছিলেন।

ইয়াজুজ-মাজুজ (গোগ-মাগোগ):
ইয়াজুজ ও মাজুজ সম্পর্কে ইসলামী ঐতিহ্যে বিস্তৃত বর্ণনা রয়েছে। তাঁরা এমন এক জাতি, যারা পৃথিবীর এক প্রান্তে বসবাস করতো এবং তাঁদের অত্যন্ত দুর্ব্যবহার এবং ধ্বংসাত্মক প্রকৃতির কারণে তারা পৃথিবীর অন্যান্য মানুষের জন্য বড় এক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

ইসলামী কাহিনীতে বলা হয় যে, ইয়াজুজ-মাজুজ অত্যন্ত শক্তিশালী এবং অত্যন্ত বড় একটি জনগণ। তাঁরা পৃথিবীজুড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতো এবং তাদের সাথে লড়াই করা ছিল মানুষের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ। তবে, আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রেরিত বান্দা, হযরত জুলকার নাঈম (আঃ), এর মাধ্যমে ইয়াজুজ-মাজুজের আক্রমণ প্রতিহত করার ব্যবস্থা করেছিলেন।

হযরত জুলকার নাঈম (আঃ) তাঁর শক্তিশালী প্রাচীর নির্মাণের মাধ্যমে ইয়াজুজ-মাজুজের অগ্রগতি আটকে দেন। এ প্রাচীরটি তৈরি করা হয়েছিল এক ধরনের ধাতু বা লোহার পাথর দ্বারা, যা তাদের আক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করেছিল। প্রাচীরের নির্মাণ কাজ শেষে, আল্লাহ তাআলা সেসব জাতিকে যেন কিছু সময়ের জন্য বাধা দিয়ে রেখেছিলেন। ইসলামী হাদিসে বলা হয় যে, ইয়াজুজ-মাজুজ একদিন আল্লাহর ইচ্ছায় মুক্ত হবে এবং পৃথিবীতে বিশাল অশান্তি সৃষ্টি করবে।

বর্ণনা ও ভবিষ্যৎ:
ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, ইয়াজুজ-মাজুজের মুক্তির সময় পৃথিবীতে একটি বিশাল বিপর্যয় আসবে। তারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে এবং সমস্ত ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি করবে। তবে, এই সময়ে হযরত ঈসা (আঃ) তথা যীশু (আঃ) আসবেন এবং ইয়াজুজ-মাজুজদের বিরুদ্ধে আল্লাহর পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করবেন।

এ বিষয়ে ইসলামের বিভিন্ন সূত্রে আরো বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়, যা একদিক থেকে পৃথিবীজুড়ে ভবিষ্যত বিপর্যয়ের সংকেত দেয়।

উপসংহার:
হযরত জুলকার নাঈম (আঃ) ও ইয়াজুজ-মাজুজের কাহিনী একটি গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী ইতিহাসের অংশ। এটা শুধু ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর নির্ভরশীল নয়, বরং মানবজাতির ভবিষ্যতের জন্য একটি সতর্কবার্তা হিসেবে দেখা যেতে পারে।
প্রোগ্রামের স্থানঃ
Abdul karim
📳 01601152010 / 01732737359

✅ লাইক | ✅ শেয়ার | সাবস্ক্রাইব করুন
✅ Like | ✅ Share | ✅ Subscribe
বিঃ দ্রঃ আমাদের চ্যানেলে আমরা শুধুমাত্র নিজেদের ধারণকরা ভিডিও আপলোড দিয়ে থাকি।
আমরা অন্য চ্যানেলের ভিডিও আপলোড দেই না।
আমাদের চ্যানেলের ভিডিও অন্য ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড দেওয়া নিষেধ।
সম্পূর্ণ ওয়াজটি ফেসবুকে আপলোড দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

#হযরতজুলকারনাঈম
#ইয়াজুজমাজুজ
#জুলকারনাঈমওইয়াজুজমাজুজ
#কিয়ামতেরআলামত
#আসমানীকাহিনী
#কুরআনেরঘটনা
#ইসলামিকবয়ান
#ইসলামিকভিডিও
#আল্লাহরকুদরত
#ইসলামিকইতিহাস
#QuranStory
#IslamicReminder
#Zulqarnain
#YaJujMaJuj
#EndTimes