Скачать или смотреть ডুমুর ফলের অজানা তথ্য | R Travel BD | ডুমুর খেলে ক্যান্সার মুক্ত হয়

ডুমুর ফলের অজানা তথ্য...

বাংলাদেশের প্রকৃতিতে যত প্রজাতির ডুমুর
রয়েছে তার মধ্যে একটি হলো যজ্ঞ ডুমুর বা
জাগ ডুমুর। বিভিন্ন ধর্মে ডুমুরের গুরুত্ব।
বাংলায় : ডুমুর-- ইংরেজি : Fig
আরবি : ত্বীন-- হিন্দি, উর্দু, ফারসি,
মারাঠি : আঞ্জির বলে।

যারা রোগী তারা এই ফলটি খেলে উপকার
লাভ করবেন। ডুমুর খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর
হয় এবং পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
শরীর থেকে মল সহজেই নির্গত হয় তাই ডুমুর
পেটের জন্য উপকারী। দুই তিনটি ডুমুর
সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে
বা পরের দিন মধু দিয়ে খান।

#যেনে_নিই_কিকি_রোগ_থেকে_মুক্তি_পাবেন।

১\ হার্টের জন্য ডুমুর.
শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইডের এক ধরনের চর্বি
বেড়ে যায়, তখন হার্ট সংক্রান্ত রোগ হতে শুরু
করে। ডুমুর খাওয়ার ফলে রক্তে
ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ কমে যায় এবং
হৃদপিণ্ড সঠিকভাবে কাজ করে তাই সুস্থ
হার্টের জন্য ডুমুরের অনেক উপকারিতা
রয়েছে এছাড়া শরীরে ফ্রি র‌্যাডিকেল তৈরি
হলে করোনারি ধমনী বন্ধ হয়ে যায় এবং
হার্টজনিত রোগের জন্ম হয় এক্ষেত্রে ডুমুরে
উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাগুণ ফ্রি
র‌্যাডিকেল দূর করে হার্টকে রক্ষা করতে পারে।
ডুমুরে রয়েছে ফেনল, ওমেগা-৩ এবং ওমেগা
-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড বৈশিষ্ট্য, যা হার্টকে সুস্থ
রাখতে সাহায্য করে।

২\ওজন কমানো.
ডুমুরে ফাইবার বেশি এবং ক্যালরি কম ডুমুর
খাওয়া ক্ষুধা কমায়, যা আপনাকে অতিরিক্ত
খাওয়া এড়াতে সাহায্য করে। ডুমুর খাওয়া
শরীরে মেটাবলিজমের মাত্রা উন্নত করে এবং
শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বিও কমায়।
ডুমুরে রয়েছে ফিকশন নামক এনজাইম, যা
খাবার সঠিকভাবে হজম করতে সাহায্য করে

৩\ কোলেস্টেরল.
ডুমুরে পেকটিন নামক দ্রবণীয় ফাইবার থাকে
যা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে
পারে। ডুমুরের ফাইবার বৈশিষ্ট্যগুলি
পরিপাকতন্ত্র থেকে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল
পরিষ্কার করতে পারে। ডুমুরে ভিটামিন বি-৬ ও
থাকে যা সেরোটোনিন তৈরি করে ডুমুর রয়েছে
ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং
ফাইটোস্টেরল, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা
নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে পারে।

৪\ রক্তশূন্যতা
শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে অ্যানিমিয়া হয়।
যদি সময়মতো চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে
এই রোগটি মারাত্মক হতে পারে, শরীরে
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেড়ে যায়। অনেক
মহিলার ঋতুস্রাবের সময় এবং গর্ভাবস্থায়
রক্তশূন্যতার শিকার হন।

৫\ ডায়াবেটিস
একটি গবেষণায় নিশ্চিত করা হয়েছে যে ডুমুর
যদি খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় তবে
তারা ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে
সাহায্য করতে পারে।

৬\ ক্যান্সার
ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকেও দূরে রাখতে
সক্ষম ডুমুর ফল পাকস্থলী এবং স্তন ক্যান্সার
বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে। ডুমুরে রয়েছে
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা মলের মাধ্যমে
পেটে জমে থাকা ময়লা দূর করে। এছাড়াও,
মিউসিন পেটের ময়লা এক জায়গায় সংগ্রহ
করে এবং তারপর তা বের করে দেয়। একটি
পরিক্ষায় দেখা গেছে যে মহিলারা বয়ঃ
সন্ধিকালে ডায়েটারি ফাইবার গ্রহণ করেন,
তাদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা
অনেকাংশে কমে যায়। উচ্চ পরিমাণে ফাইবার
গ্রহণ স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি ১৬ শতাংশ কমাতে
পারে, যেখানে এটি মেনোপজের আগে ২৪
শতাংশ স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। ডুমুরের
রস এবং শুকনো ডুমুরে এমন উপাদান রয়েছে
যা মেনোপজের পরে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি
কমাতে পারে॥

৭\ হাড়ের জন্য ডুমুর
ডুমুরকে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং
ম্যাগনেসিয়ামের প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচনা
করা হয়েছে। শরীরের হাড় মজবুত করার জন্য
এই সব গুণাগুণ প্রয়োজন। ডুমুরের উপকারী
উপাদানগুলি হাড়ের উপর কার্যকরীভাবে
কাজ করে, ভাঙ্গনের সম্ভাবনাকে অনেকাংশে
কমিয়ে দেয় এই কারণেই হাড়ের সুস্থতার জন্য
ডুমুর খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় কারণ ডুমুর
প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।

৮\ হাঁপানি
ডুমুর হাঁপানি থেকেও রক্ষা করতে সক্ষম।
মধু ও ডুমুরের সাথে মেথির গুঁড়ো খেলে
হাঁপানি অনেকাংশে সেরে যায়। হাঁপানি
রোগীরাও ডুমুরের রস পান করতে পারেন।
ডুমুরের ব্যবহার শরীরের অভ্যন্তরে শ্লেষ্মা
ঝিল্লিতে আর্দ্রতা সরবরাহ করে এবং কফ
পরিষ্কার করে, হাঁপানি রোগীকে কিছুটা
স্বস্তি দেয়। ডুমুরে ফাইটোকেমিক্যাল
যৌগও রয়েছে, যা ফ্রি র‌্যাডিক্যালের
বিরুদ্ধে লড়াই করে। যদি ফ্রি র‌্যাডিকেল
শরীরে থেকে যায় তবে তা হাঁপানিকে
আরও মারাত্মক করে তুলতে পারে।

৯\ উচ্চ রক্তচাপ

বৈজ্ঞানিক গবেষণা নিশ্চিত করেছে যে ডুমুর নিয়মিত খাওয়া হলে রক্তচাপ ভারসাম্য রাখা যায়। ডুমুরে পাওয়া ফাইবার এবং পটাসিয়াম উভয়ই উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে পারে এবং ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে। এছাড়া ডুমুরে রয়েছে ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা শরীরে রক্তচাপের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

১০\ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
ডুমুরের বৈশিষ্ট্যগুলিকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি প্রধান উত্‍স হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রভাবের কারণে ডুমুর শরীরের ফ্রি র‌্যাডিকেল দূর করে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে। ডুমুরে ফেনোলিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যও পাওয়া যায়।

১১\ যৌন শক্তি
ডুমুর সেবনে সব ধরনের রোগ নিরাময়
হলেও উর্বরতা ও যৌন শক্তি বৃদ্ধি করতে
পারে। উপরের নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে
যে ডুমুর ক্যালসিয়াম, আয়রন,পটাসিয়াম
এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ ফল। এছাড়াও এতে
রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম এবং প্রয়োজনীয়
খনিজ উপাদান, যা যৌন ক্ষমতা বাড়ায়
অ্যান্ড্রোজেন এবং ইস্ট্রোজেন হরমোন
তৈরি করতে সাহায্য করে।

১২\ গলা ব্যথা
বৈজ্ঞানিক গবেষণা দেখা যাই আমাদের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো না থাকায় অনেক রোগ আমাদের শরীরকে ঘিরে ফেলে একই সময়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

#আমাদের এই চ্যানেলটি যদি ভালো
লাগে সাবস্ক্রাইব করুন আরো নতুন
নতুন ভিডিও দেখার জন্য চোখ রাখুন।