বাংলাদেশের উপর আঘাতহানা সবচেয়ে ভয়ংকর ৫টি ঘুর্নিঝড় ।। Top 5 Terrible Cyclones in Bangladesh
Read Now:
https://shopnobazz247.blogspot.com/20...
বাংলাদেশের ব্যতিক্রমী ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বার বার বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে পড়ছে। বঙ্গোপসাগরের উত্তর দিকের ফানেল আকৃতির কারনে যখনই ঘূর্ণিঝড় হওয়ার আশংকা থাকে তখনই সেটি জলোচ্ছ্বাস ও ভুমিধসের রূপ নেয় । এর ফলে ভুক্তভুগি হয় সমুদ্রের উপকুলে অবস্থানকারী হাজার হাজার মানুষ। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ছোট বড় ৫০-৬০টি ঘুর্নিঝর হয়েছে। তাহলে চলুন দেখে আসি বাংলাদেশের উপর আঘাতহানা ৫টি ভয়ংকর ঘুর্নিঝড়। চলুন ভিডীও শুরু করি।
১। ১৯৯১ সালের ঘুর্নিঝড় ঃ
১৯৯১সালের ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে ২৯ এপ্রিল শেষ রাতের দিকে আঘাত হানে। ঝড়টি জন্মনেয় ভারত মহাসাগরে এবং ২০ দিন পর ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিয়ে বঙ্গোপসাগর উপকূলে পৌছায়। ঘূর্ণিঝড়টির ব্যাস প্রায় ৬০০ কিঃমিঃ, বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ২২৫ কিমি/ঘণ্টা. পরবর্তীতে ২৯ এপ্রিল রাত ১টা ৩৫ মিনিটে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল প্রায় ২৪০ কিমি/ঘণ্টা). ২৯শে এপ্রিল রাতে ঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রাম বন্দরের উত্তর উপকূলে ভূমিধ্বস হয়। জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা ৫-৮ মিটারে পৌছায়। ঘুর্নিঝরের ফলে ১৫০,০০০ জন অধিবাসী ও ৭০,০০০ গবাদি পশু মারা যায়। ঘূর্ণিঝড়টিতে সম্পদের ক্ষতি হয় ৬০ বিলিয়ন টাকা।
২। ১৯৮৮ সালের ঘুর্নিঝড়ঃ
১৯৮৮ সালের তীব্র ঘূর্ণিঝড়টি যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর এবং বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় প্রচন্ড আঘাত হানে। বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ১৬২ কিমি/ঘণ্টা একই সাথে ছিল জলোচ্ছ্বাসের আঘাত যা মংলা বন্দরে পরিমাপ করা হয় ৪.৫ মিটার। এটি ২৪ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী ছিলো। এই তীব্র ঘুর্নিঝরের কারনে ৫,৭০৮ জন অধিবাসী ও সুন্দরবনে অসংখ্য বন্য প্রাণী তার ভিতরে(১৫,০০০ হরিণ ও ৯ টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার), ৬৫,০০০ গবাদিপশু মারা যায়। আনুমানিক ৯.৪১ বিলিয়ন টাকা মুল্যের ফসল নষ্ট হয়।
৩। ঘূর্ণিঝড় আইলা
ঘূর্ণিঝড় আইলা পটুয়াখালি, বরগুনা, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালীর হাতিয়া, নিঝুম দ্বীপ, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলায় জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে।[২] আইলার প্রভাবে নিঝুম দ্বীপ এলাকার সকল পুকুরের পানিও লবণাক্ত হয়ে পড়েছে। খুলনা ও সাতক্ষীরায় ৭১১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিধ্বস্থ হয়েছে। ফলে তলিয়ে যায় খুলনার দাকোপ ও কয়রা এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন লোনা পানিতে তলিয়ে যায়। ৭৬ কিলোমিটার বাঁধ পুরোপুরি এবং ৩৬২ কিলোমিটার বাঁধ আংশিকভাবে ধ্বসে পড়ে।[১৫] প্রায় ২,০০,০০০ একর কৃষিজমি লোনা পানিতে তলিয়ে যায়, কাজ হারায় ৭৩,০০০ কৃষক ও কৃষি-মজুর, গবাদি পশুর মধ্যে কমপক্ষে ৫০০ গরু ও ১,৫০০ ছাগল মারা যায়, কমপক্ষে ৩,০০,০০০ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়, খুলনা ও সাতক্ষীরায় প্রাণ হারান ১৯৩ জন মানুষ।[১৭]
৪। ঘূর্ণিঝড় ফণী
ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন ও পাকুন্দিয়া উপজেলায় বজ্রপাতে এক শিশুসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়। দুপুরের দিকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে তারা প্রাণ হারায়। শনিবার সকালে সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা অঞ্চল এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রবেশ করে ঝড়টি।[২৯] ফণীর প্রভাবে ও আঘাতে বাংলাদেশে মোট ১৮ জনের মৃত্যু হয়।[৩০] নিহতরা কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, নোয়াখালী, মাদারীপুর, ভোলা, বরগুনা, বাগেরহাট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দা। বাংলাদেশ সরকার ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য চাল, শুকনো খাবার, এবং ১কোটি ৯৭ লাখ টাকা বিতরণ করে। ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে বাংলাদেশে ৫৩৬ কোটি ৬১ লাখ ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়
৫। ঘূর্ণিঝড় সিডর:
২০০৭ সালের ১৫ই নভেম্বর খুলনা-বরিশাল উপকূলীয় এলাকায় ১৫-২০ ফুট উচ্চতার প্রবল ঘূর্ণিঝড় সিডর আঘাত হানে যার বাতাসের গতিবেগ ছিল ২২৩ কিলোমিটার। জোয়ারের সময় হয়নি বলে প্লাবন কম হয়েছে, ফলে তুলনামূলক মানুষ কম মারা গেছে, কিন্তু অবকাঠামোগত অনেক ক্ষতি হয়েছে, বাড়িঘর ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। সিডরে রেডক্রসের হিসেবে ১০ হাজার মারা গেছে বলা হলেও সরকারিভাবে ৬ ছয় হাজার বলা হয়েছিল।
৫। ১৯৭০ সালের ঘুর্নিঝড়ঃ
১৯৭০ সালে বাংলাদেশের নাম ছিলো পুর্ব পাকিস্তান। এই ঘূর্ণিঝড় সমগ্র বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল যেমন চটগ্রাম, বরগুনা, খেপুপাড়া, পটুয়াখালী, চর বোরহানুদ্দিনের উত্তর পাশ, চর তাজুমুদ্দিন এবং মাইজদি ও হরিণঘাটা এর দক্ষিণ পাশ সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এই ঝড়টি ৭ই নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত হয়েছিলো। সরকারী হিসাব অনুসারে মৃত্যুর সংখ্যা ৫ লক্ষ কিন্তু প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশী ধারনা করা হয়। ক্ষতির মধ্যে আনুমানিক ২০,০০০ মাছ ধরা নৌকা, শস্য ও সম্পদ। গবাদিপশু মৃত্যু প্রায় ১০ লক্ষে, বাড়িঘর ৪ লক্ষ এবং ৩,৫০০ শিক্ষাকেন্দ্র বিধ্বস্ত হয়। বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ২২২ কিমি/ঘণ্টা এবং ঝড়ের প্রভাবে জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পায় ১০.৬ মিটার।
my facebook link
/ atipusultan
please subscribe my channel
/ @shopnobazz24
please subscribe my channel
/ @thefriendsltd4902
Fb fan page--
/ eng.satipu
fb fan page--
/ thefriendsltd420
Информация по комментариям в разработке