জাফরাগঞ্জে মীর জাফরের নেমকহারাম দেউড়ি ও কবরস্থান

Описание к видео জাফরাগঞ্জে মীর জাফরের নেমকহারাম দেউড়ি ও কবরস্থান

নেমকহারাম দেউড়ি অর্থাৎ বেইমানের দালান। মুর্শিদাবাদের জাফরাগঞ্জে অবস্থিত মীর জাফর অর্থাৎ মীর জাফর আলী খান বাহাদুরের বাড়ি। ঐতিহাসিক পলাশীর যুদ্ধে (২৩ জুন ১৭৫৭) নবাব সিরাজদৌল্লার প্রধান সেনাপতি ভার নিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করে ব্রিটিশ পক্ষ অবলম্বন বাংলা তথা দেশের স্বাধীনতা তুলে দেয়। সিরাজ পরবর্তী নবাব হয়েও তাই তিনি ইতিহাসে নেমকহারম বা বিশ্বাসঘাতক এবং তাঁর দালান বাড়ি নেমকহারাম দেউড়ি নামে পরিচিত। প্রথম পরাধীন নবাব। তিনি শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত। তাঁর নবাবিকাল ১৭৫৭-১৭৬০ এবং ১৭৬৩-১৭৬৫ সাল। তাঁর প্রিয়তমা বেগম ছিলেন মুন্নী বেগম বা মুন্নী বাই। জানা যায়, তিনি পারস্য থেকে নিঃস্ব হয়ে ভাগ্যেও সন্ধানে বাংলা আসেন নবাব আলিবর্দি খাঁর আমলে। উইকিপিডিয়া মতে, তাঁর জন্ম ১৬৯১ সালে, কুমিল্লা জেলায়। ইতালীয় স্থাপত্যে নির্মিত জাফরাগঞ্জের এই মীর জাফরের দালান। নিমকহারাম দেউড়ি। ইতিহাস বিশ্বাসঘাতকতাকে ক্ষমা করে না! ক্ষমা করেনি বলা যায়। এখানে মীর জাফর এবং তাঁর বংশধরদের কবর রয়েছে। ছেলে মীরণের মৃতদেহ বিহার থেকে আনা সম্ভব হয়নি। তাই মীরণের কবরটি এখেনে নেই। বর্তমান বংশধরদের মধ্যে কেউ মারা গেলে তাঁদের এখানেই দাফন করা হয়। বাইরের অন্য করো কবর এখানে নেই এবং এখনো অন্য কারো এখানে জায়গা নেই। বেগম বা মহিলাদের কবর এখানে ঘেরা অবস্থায় রয়েছে। করবস্থানটি দেখাভালের জন্য লোক রয়েছে। এটিও একটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। বিপরীতে রয়েছে একটি শিয়া মসজিদ। শোনা যায় এটি মীর জাফরের নামাজ আদায়ের জন্য নির্মিত মসজিদ।
পুরো নাম : মীর মুহম্মদ জাফর আলী খান বাহাদুর
জন্ম : ১৬৯১ (কুমিল্লা জেলা), মৃত্যু : ০৫ ফেব্রুয়ারি ১৭৬৫ (৭৪ বছর বয়স)

তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া ও জালিকাবিন্যাস

চল ছবি : নিজস্ব, স্থির ছবি তিনটে : জালিকাবিন্যাস

সম্পাদনা ও কণ্ঠ : এইচ এইচ মণ্ডল

Комментарии

Информация по комментариям в разработке