#collegestreet #coffeehouse #beststreetfood
কলেজ স্ট্রিট এর সেরা খাবারের সন্ধান - বসন্ত কেবিন থেকে পুঁটিরাম। COLLEGE STREET FOOD TOUR
সে আপনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রেসিডেন্সি র ছাত্র হন বা না হন, কিছু এসে যায় না. বাঙালি মানেই কলেজ স্ট্রিট হলো তার আবেগের জায়গা। কলেজ স্ট্রিট মানেই মনে পরে পুরোনো বই, নতুন বইয়ের গন্ধ। কলেজ স্ট্রিট মানেই ব্যান্ড পার্টির সারি সারি দোকান। কলেজ স্ট্রিট মানেই কলেজ স্কোয়ারের প্রথম প্রেম, প্রেম ভেঙে যাওয়া। আবার নতুন ভাবে প্রেমে পড়া. কলেজ স্ট্রিট মানেই কফি হাউস বাঙালির আর এক তীর্থস্থান। আর এই কলেজ স্ট্রিট এ রয়েছে বাঙালির প্রিয় সব খাবারের জায়গা যা বছরের পর বছর, ধরে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে রসনাতৃপ্তি করিয়ে আসছে.চলুন আজ ঢুঁ মারি সেই সব জায়গায়।
চিকেন কবিরাজি, দিলখুশ রেষ্টুরেন্ট, কলেজ স্ট্রিট মোড় :
পুরনো কলকাতা'র কাঠামো এখনো জ্যান্ত আছে দেলখুশায়, টেবিল-চেয়ার যাবতীয় আসবাব, পর্দা থেকে ওয়েটার পর্যন্ত; সব কিছুতেই পুরনো গন্ধ। কবিরাজি ছাড়াও এদের যে কোনও চপ-কাটলেট নিশ্চিন্তে খাওয়া যেতে পারে। পুরোনো কলকাতার সাবেকি রেস্তোরা সংস্কৃতি বুঝতে দিলখুশ আপনাকে ঢুঁ মারতেই হবে একবার.
মটন/চিকেন আফঘানি কাটলেট, ইন্ডিয়ান কফি হাউস, কলেজ স্ট্রীট মোড় এর কাছে:
কলেজ স্ট্রিট কফি হাউস মানে শুধু চা বা কফি নয়. এখানে খাওয়া একটা অভিজ্ঞতা। সারাদিন গমগম করছে কফির গন্ধে রাজনীতি, সংস্কৃতি আর বাঙালির তর্কের গন্ধ মিশে। ১৮ থেকে ৬৮ টেবিলে টেবিলে তুলছে ঝড়. এখানে তর্ক শুরু হয় গরম কফি আর স্যান্ডউইচ এ. চিকেন স্যান্ডউইচ বা মোগলাই শেষ হয়ে যায়. তর্ক থামে না. মান্না দে থেকে শুরু করে সত্যজিৎ রায়, সৌমিত্র চ্যাটার্জী থেকে শুরু করে নকশাল নেতা অসীম চাটুজ্জে -- এই কফি হাউসেই তো কত স্বপ্নের ভোর হয়েছিল।
পাউরুটি-চিকেন স্ট্যিউ, কলেজ স্কোয়ার ক্যান্টিন, কলেজ স্কোয়ার :
না স্যার, এতো রেষ্টুরেন্ট নয় তাই বসবার জায়গা নেই, ক্যান্টিনের ছোট্ট জানলা দিয়ে আপনার দিকে প্লেট বাড়িয়ে দেওয়া হবে, প্লেট হাতে কলেজ স্কোয়ার'এর বেঞ্চিতে বসে খাওয়া।গোল মরিচ ছড়ানো সাদা মুরগির স্ট্যিউ যাতে থাকত ছোট্ট এক পিস মুরগির অল্প মাংস মাখা হাড় প্লাস কিছু সব্জী এবং লম্বাটে পাউরুটি দু পিস। যেকোনো সময় যেকোনো মুডে ভীষণ ভাল লাগবে খেতে । কলেজ স্ট্রিট এ এসে এখানে, এই আইটেম ট্রাই না করতে যেকোনো ভোজনরসিকের কাছে অপরাধ ।
কচুরী-ছোলার ডাল, পুঁটিরাম, সূর্য সেন স্ট্রীট :
এমনিতেই এটা একটা ল্যান্ডমার্ক দোকান যাকে বলে, এদের ছোলার ডাল টা যাকে বলে তুরীয়, হাফ ডজন কচুরী কোথায় যে ভ্যানিস হয়ে যেত..কচুরি ভাজার পরে ভিড় এবং হুড়োহুড়ি দেখে মনে হতেই পারে যে সিনেমার শো ভেঙেছে। আর এই দোকানের ছোলার ডাল অনেকেই রীতিমতো প্যাক করে বাড়িতে নিয়ে যান. হা, বেঙ্গালুরু, মুম্বাই প্রবাসী বাঙালিরা ফেরার পথে রীতিমতো আয়েশ করে নিয়ে যান এই ডাল.
সরবত, প্যারামাউন্ট, কলেজ স্ট্রীট'এর কাছে :
এটা আর একটা ইতিহাস মার্কা 'বড়' দোকান। বহু রকমের সরবত রাখতো এরা, গরম কালে তো এদের সরবতের কোনও তুলনাই ছিল না । তবে এদের ম্যাঙ্গো, ব্যানানা যাবতীয় ফ্লেভার গুলোর মধ্যে অঞ্জনাটার সব চেয়ে বেশি প্রিয় রোজ সিরাপ সরবতই; এটাই মনে হয়ে একসময় সব চেয়ে সস্তাও ছিল। কথা হচ্ছে কলকাতার বিখ্যাত শরবতের দোকান প্যারামাউন্ট-এর (Paramount)। কলেজ স্ট্রিটের প্যারামাউন্ট আসলে এক ঐতিহাসিক শরবতের দোকান। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু, মেঘনাদ সাহা, মৃণাল সেন, সত্যজিৎ রায়, অনুপ কুমার, বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু, কবি কাজি নজরুল ইসলাম, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, সুচিত্রা সেন, অমর্ত্য সেন, উত্তম কুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়- কে না এসেছেন এই দোকানে।একবার খেলে ভোলা যায় না প্যারামাউন্টের শরবতের স্বাদ। তাই তো প্রায় ৩৫টির কাছাকাছি শরবত বানিয়ে, ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে শরবতপ্রেমীদের কাছে সমানতালে বিরাজ করছে "প্যারামাউন্ট"। এমনকি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়েরও পছন্দের শরবত সেন্টার এই প্যারামাউন্ট। ডাবের শরবরত, গ্রিন ম্যাঙ্গো, ভ্যানিলা মালাই, পাইনআপেল, প্যাশন ফ্রুট, হরেকরকম সিরাপ, কোল্ড কফি, লস্যি- আরও কত কী! শরবতের স্বাদ নিতে সকাল থেকে সন্ধে দোকানে উপচে পড়ে ভিড়। প্যারামাউন্টে নূন্যতম ৬০ টাকা থেকে শরবত শুরু, সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা পর্যন্ত।
কালিকার চপের দোকান, সূর্য সেন স্ট্রীট
আজ থেকে প্রায় ষাট বছর আগে কালীপুজোর দিন যাত্রা শুরু বলে নাম কালিকা। এমন একটা জায়গায় দোকানের লোকেশন, এক্কেবারে শুরু থেকেই সুপার হিট্। চারপাশের মেসবাড়ির আবাসিক থেকে শুরু করে কলেজ ফেরত ছাত্রছাত্রী, অফিসফেরত শিয়ালদামুখী মানুষ, সব্বাই হোঁচট খেতে লাগল এই দোকানের আলুর চপ, মোচার চপ, বেগুনি আর ফুলুরির টানে। পরবর্তীকালে মাংসের চপ, মাছের চপ, ডিমের চপও লিস্টিতে যোগ হল। আর সেগুলো জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়ে দিল। আজও সন্ধ্যে সাতটায় কালিকায় পৌঁছুলে হতাশ হয়ে ফিরতে হয়, সব চপই প্রায় শেষ!
বসন্ত কেবিন, কলেজ স্ট্রীট
দেখছে স্বাধীনতা, স্বাধীনতার জন্য সাধারণ মানুষের আপ্রাণ লড়াই, মনে রেখেছে দেশভাগের জ্বলন্ত স্মৃতি। সাক্ষী থেকেছে উত্তমকুমার, মান্না দে, গণেশ পাইনদের মতো মানুষের পায়ের ধূলি। শ্রমজীবি মানুষের, না খেতে পাওয়া মানুষের, সর্বোপরি সাধারণ মানুষের কলতান বুকে নিয়ে কলকাতার বুকে ৯২বছর ধরে সদর্পে দাঁড়িয়ে আছে বসন্ত কেবিন। কলকাতার আদি মধ্য ও নব্য যুগের চিহ্ন বহনকারী এই রেস্তোরাঁর বয়স আজ প্রায় ৯২ বছর। ১৯৩১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ধীরে ধীরে সমহিমায় বিকশিত হতে থাকে। কলকাতা শহরের বুকে মোট পাঁচটি শাখা ছিল। কালের নিয়মে তা ধুয়ে মুছে গিয়ে আজ একটি শাখায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
#kolkatanews #kolkatavlog #kolkatanews #collegestreet #kolkatastreetfood
#bengali #bengalivlog #COFFEEHOUSE #streetfood #streetfoodindia #streetfoodlover #beststreetfood #desifood #BASANTACABIN #paramount #lunch ##paratha #ghugnichaat #KALIKA #ymca #DILKHUSHA #coffee #FISHKOBIRAJI
Информация по комментариям в разработке