স্বামী বীরেশ্বরানন্দ ---- এক দিব্য জীবনসম্পাদনা -- স্বামী চৈতন্যানন্দ পৃষ্ঠা : ৪২-৪৩

Описание к видео স্বামী বীরেশ্বরানন্দ ---- এক দিব্য জীবনসম্পাদনা -- স্বামী চৈতন্যানন্দ পৃষ্ঠা : ৪২-৪৩

রামকৃষ্ণ-সঙ্ঘ ভালোবাসা দিয়ে গঠিত। প্রশাসনিক সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত থেকেও তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপে এবং আচরণে প্রস্ফুটিত হয়েছে তাঁর ভালোবাসা। রামকৃষ্ণ-সঙ্ঘের বর্তমান সহাধ্যক্ষ পূজ্যপাদ স্বামী প্রভানন্দ মহারাজ তখন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের একজন চৈতন্যাখ্য ব্রহ্মচারী। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেছেন, গ্রীষ্মের এক অপরাহ্নে নরেন্দ্রপুর থেকে বাসে করে তিনি এসেছেন। শরীর ঘর্মাক্ত। নরেন্দ্রপুর আশ্রমের সম্পাদকের একটি জরুরী চিঠি নিয়ে এসেছেন। প্রভু মহারাজ ( স্বামী বীরেশ্বরানন্দ ) দোতলায় তাঁর ঘরে বসে কাজ করছিলেন। তিনি প্রণাম করে খামখানি তাঁর হাতে দিতেই এক নজরে তাঁকে দেখে ব্যস্ত সমস্ত হয়ে বলে ওঠেন : "বস বস, ওই চেয়ারটিতে বস।" তিনি অতি সঙ্কোচের সঙ্গে চেয়ারে বসলেন। প্রভু মহারাজ জিজ্ঞাসা করলেন : "কখন বেরিয়েছিলে ?" তাঁর উত্তর শুনে মহারাজ হাতের কাজ ফেলে উঠে দাঁড়ালেন। কুঁজো থেকে একটি টামলারে জল নিয়ে কয়েক চামচ চিনি ঢেলে দিলেন। মেঝেতে উবু হয়ে বসে সেই টামলার ও একটি মাঝারি মাপের কাচের গ্লাস নিয়ে সরবত তৈরী করতে লাগলেন। ইতিমধ্যে অফিসের কাজের ছেলেটিকে বেলুড় বাজার থেকে বরফ আনতে পাঠালেন। তিনি ভাবলেন মহারাজ হয়তো এই গরমে একটু ঠান্ডা সরবত পান করবেন। এই সুযোগে মহারাজের একটু সেবা করতে পারবেন ভেবে ঢালাঢালি করে সরবত তৈরী করার জন্য তিনি এগিয়ে গেলেন। মহারাজ অনুমতি দিলেনই না, তাঁর ছটফটানি ভাব লক্ষ্য করে তাঁকে চুপটি করে বসে থাকতে বললেন। মহারাজ সরবত তৈরী করে মিটসেফে রেখে দিলেন। তাঁর সঙ্গে দু-একটি কথা বলে লেখাপড়ার কাজে মনোনিবেশ করলেন। অফিসের ছেলেটি বরফ আনতেই তাকে বরফটি ভালো করে জলে ধুয়ে দিতে বললেন মহারাজ। এরপর মহারাজ মাঝারি গ্লাসটির মধ্যে ধোয়া বরফের টুকরো ঢেলে টামলার থেকে কিছুটা সরবত ঢাললেন এবং গ্লাসটি তাঁর দিকে এগিয়ে দিলেন। বললেন :"খাও।" তিনি আঁৎকে উঠলেন। ভাবলেন :"তিনি একজন সাধারণ ব্রহ্মচারী। আর মহারাজ রামকৃষ্ণ-সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক। মহারাজের সেবা তাঁরই করা উচিত। তিনি প্রতিবাদ করতেই মহারাজ মিষ্টি ধমক দিয়ে তাঁকে সরবত খাওয়ালেন। হতবম্ব হয়ে তিনি খেতে লাগলেন আর মহারাজ তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে করুণামাখা মূর্তিতে। এক গ্লাস শেষ হতেই আর-এক গ্লাস তাঁকে দিলেন। স্নেহ-স্পর্শে তখন তাঁর চোখ চিক চিক করছে। ঘটনাটি সম্পর্কে তিনি বলতেন :"আমার সত্তার মধ্যে যেন সেঁধিয়ে গিয়েছিল। শ্রীশ্রীমায়ের সন্তান প্রভু মহারাজের 'মাতৃস্নেহ' আমাকে অভিভূত করেছিল।"

শ্রীচরণে প্রণাম গুরুমহারাজ
🙏🏻🙏🏻🙏🏻🪷🙏🏻🙏🏻🙏🏻
(Collected)

Комментарии

Информация по комментариям в разработке