মুহাম্মদ আল-ফাতিহ ১৪৩২ সালের ৩১ মার্চ (২৭ রজব ৮৩৫ হিজরি) জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তাঁর পিতা সপ্তম অটোমান সুলতান দ্বিতীয় মুরাদের কাছে লালিত-পালিত হয়েছেন।
সুলতানের পদে অধিষ্ঠিত করার জন্য তাঁর পিতা শৈশব থেকেই তাঁকে প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুত করেছিলেন। তিনি পূর্ণ কোরআন মুখস্থ করেছিলেন। তিনি ভবিষ্যদ্বাণী সম্পর্কিত ট্যাক্স, ইসলামি আইনশাস্ত্র, অঙ্কশাস্ত্র,
জ্যোতির্বিদ্যা ও যুদ্ধবিষয়ক প্রয়োজনীয় সব দক্ষতা অর্জন করেছিলেন। তিনি আরবি, ফারসি, লাতিন এবং গ্রিক ভাষাও শিখেছিলেন।
তাঁর পিতা তাঁকে একবার শাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন, যেন তিনি ওই সময়ের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন স্কলারের তত্ত্বাবধানে রাষ্ট্র পরিচালনা বিষয়ক কার্যকর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারেন।
এ বিষয়টি তরুণ রাজপুত্রের চরিত্রকে প্রভাবিত করেছিল এবং তার ব্যক্তিত্বকে ইসলামী নৈতিকতা ও শিষ্টাচারের রঙে রঙিন করেছিল। তাঁর তত্ত্বাবধায়ক ও শিক্ষক শায়েখ আবদুস শামস আদ্দীন মুহাম্মদ আল-ফাতিহকে বলেছিলেন,
‘আল্লাহ তোমাকে অচিরেই প্রশংসিত করবে।’ এসব কথা তাঁর মনোবল বাড়িয়ে দিত। শৈশব থেকেই তিনি জিহাদের প্রতি অনুরক্ত ও অত্যন্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষী ছিলেন। ব্যাপকভাবে সংস্কৃতবান ছিলেন। যুদ্ধবিষয়ক জ্ঞানের সুপণ্ডিত ছিলেন তিনি।
১৪৫১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তাঁর পিতা সুলতান দ্বিতীয় মুরাদ মৃত্যুর পর মুহাম্মদ আল-ফাতিহ সুলতান হোন। অটোমান সাম্রাজ্যের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি তখন বিশ বছরের শক্তিশালী যুবক। খুবই উদ্যমী ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী।
তিনি কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের বিষয়ে চিন্তিত ছিলেন, যা বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল। কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের স্বপ্ন তাকে এতটাই অভিভূত করেছিল যে, তিনি কনস্টান্টিনোপল বিজয় ব্যতীত অন্য কোনো বিষয়ে কারো সাথে তেমন
কথা বলতেন না। এমনকি তাঁর সাথে বসে থাকা কাউকে প্রত্যাশিত বিজয় ব্যতীত কথা বলার অনুমতি দিতেন না।
তিনি এ বিজয় অর্জন করেন, যখন তার বয়স মাত্র ২৩ বছর। এটি তার প্রাথমিক সামরিক প্রতিভা নির্দেশ করে। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পক্ষ থেকে সুসংবাদপ্রাপ্তও ছিলেন। নবীজি (সা.)
ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, একজন ভালো সেনাপতি এই নগরটি জয় করবে। পরে মুহাম্মদ আল-ফাতিহ বলকান শহর জয় করার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলেন। তিনি সার্বিয়া, গ্রিস, রোমানিয়া, আলবেনিয়া, বসনিয়ান ও হার্জেগোভিনা
জয় করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি রোমও জয় করার অপেক্ষায় ছিলেন যাতে তাঁর কনস্টান্টিনোপল বিজয় ছাড়াও গর্বের আরো একটি উৎস থাকে। এই আশা পূরণের জন্য আগে তাকে জয় করতে হবে ইতালি। তাই এই মিশনের জন্য
একটি দুর্দান্ত বহর প্রস্তুত করেছিলেন তিনি। তিনি ইতালীয় শহর ওটারান্টের কাছে তার বাহিনী এবং বিপুলসংখ্যক কামান পাঠাতে সক্ষম হয়েছিলেন। এরপর ১৪৮০ সালের জুলাই মাসে এ দুর্গটি দখল করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি তার
উত্তর সামরিক অভিযানের ভিত্তি হিসেবে ওটারান্টকে গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যতক্ষণ না তিনি রোম পৌঁছতে সক্ষম হবেন। ইউরোপীয় বিশ্ব তখন খুব আতঙ্কিত হয়েছিল এবং তারা তাদের ঐতিহাসিক শহরটি পতনের আশঙ্কা করছিল।
মুহাম্মদ আল-ফাতিহ যখন তাঁর এই স্বপ্ন পূরণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন তিনি হঠাৎ ১৪৮১ সালের ৩ মে মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি মহান মুসলিম বীর এবং বিজয়ী হিসেবে সুখ্যাতি লাভ করেছেন
channel link : / @updatebangla-e3v
email me : [email protected]
Copyright Use Disclaimer
This video is for entertainment purposes
only. Copyright Disclaimer Under Section
107 of the Copyright Act 1976, allowance
is made for " fair use" for purposes such
as criticism, comment, news reporting,
teaching, scholarship, and research. Fair use
is a use permitted by copyright statute that
might otherwise be infringing. Non-profit,
educational or personal use tips the balance
in favor of fair use.
Thanks for watching and support me .
.
DO NOT FORGET TO LIKE || COMMENT || SHARE || SUBSCRIBE [ update bangla ] UPDATE BANGLA
#UPDATEBANGLA
#UPDATEBANGLAVIDEO
#UPDATEBANGLACHANNEL
#CHANNELUPDATEBANGLA
#UPDATE VIDEO
#History
#updatebangla
#knowledgebangla
sultan muhammad fatih,
real history of sultan muhammad fatih,
muhammad fatih,
the fatih full movie,
মুহাম্মদ সঃ ভবিষ্যতবাণী,
1453 constantinople win,
fatih,sultan mehmad,saltanat e usmaniya history,usmani saltanat 1453,history,2025,ertugrul,
আরতুগ্রুল,সেলজুক সাম্রাজ্য,মোঙ্গল বাহিনী,বাগদাদ কাহিনি,hasim amla,top,viral,
zakir naik,bangladesh,islam,peace,jibon
er golpo,jibon kahini,life story,non muslim life,biography,famous people biography,জীবনের গল্প,entertainment video
Информация по комментариям в разработке