হস্তমৈথুন ও সমকামিতার দুনিয়া ও আখিরাতের মারাত্মক ক্ষতিসমূহ
সমকামিতা অসংখ্য ইহকালীন ও পরকালীন বিপদের ধারক বাহক ও নিন্দনীয় কাজের কদর্যতা
কুরআন ও হাদীস দ্বারা প্রমানিত। মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেনঃ –
অনুবাদ: “এবং লুতকে প্রেরণ করেছ। যখন সে আপন সম্প্রদায়কে বললো, তোমরা কি ওই নির্লজ্জ কাজ করছো, যা তোমাদের পূর্বে বিশ্বের মধ্যে কেউ করেনি? তোমরাতো পুরুষদের নিকট কাম-তৃপ্তির উদ্দেশ্যে গমন করছো নারীদেরকে ছেড়ে বরং তোমরা সীমালঙ্গন করে গেছো। (সূরা আল আরাফ, আয়াত ৮০-৮১)
সমকামিতার নিন্দায় রসূলুল্লাহ ﷺ থেকে বিভিন্ন হাদীসও বর্ণিত হয়েছে। যেমন-
১। হযরতে সায়্যিদুনা আবু হুরায়রা ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ হতে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন, চার প্রকারের লোক যারা সকাল বেলায় আল্লাহর আক্রোশে এবং সন্ধ্যাবেলা আল্লাহর অসন্তুষ্টিতে অতিবাহিত করে। রসূলুল্লাহ ﷺ কে জিজ্ঞেস করা হল, হে আল্লাহর রসূল ﷺ এরা কারা? তিনি ইরশাদ করলেন, তারা হল সে সমস্ত পুরুষ যারা মহিলাদের সাদৃশ্যতা অবলম্বল করে এবং সে সমস্ত মহিলা যারা পুরুষদের সাদৃশ্যতা অবলম্বন করে এবং যারা জীবজন্তু ও পুরুষদের সাথে খারাপ কাজে লিপ্ত হয়। (কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-৪৩৯৭৫)
২। হযরতে সায়্যিদুনা আমর বিন আবু আমর ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ হতে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন, যে লূত জাতির কাজ করবে সে মালউন তথা অভিশপ্ত। (তিরমিযী, হাদীস নং- ১৪৬১)
৩। হযরতে সায়্যিদুনা আবু সাঈদ খুদরী ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, শীঘ্রই এ উম্মতদের মধ্যে এমন একদল লোক সৃষ্টি হবে, যাদেরকে লুতিয়া বা সমকামী বলা হবে। এরা তিন ধরনের হয়ে থাকবে।
১। যারা আমরদ তথা সুদর্শন বালকদের দৈহিক গঠন দেখবে এবং তাদের সাথে কথা-বার্তা বলবে।
২। যারা তাদের সাথে করমর্দন ও কোলাকোলি করবে।
৩। যারা তাদের সাথে খারাপ কাজে লিপ্ত হবে। এরা সকলের উপর আল্লাহর লানত বর্ষিত হোক। কিন্তু তাদের মধ্যে যারা তওবা করবে। আল্লাহ তা’আলা তাদের তওবা কবুল করবেন এবং তারা লানত হতে পরিত্রান লাভ করবে। (ঐ, হাদীস নং-১৩১২৯
১। আল্লামা শামশুদ্দিন যাহবী বর্ণনা করেন, রহমতে আলম ﷺ ইরশাদ করেছেন, সাত প্রকারের লোকের প্রতি আল্লাহ লানত প্রদান করেছেন, কিয়ামত দিবসে তিনি তাদের প্রতি রহমতের দৃষ্টিও নিবদ্ধ করবেন না এবং তিনি তাদেরকে বলবেন, তোমরা জাহান্নামে প্রবেশকারীদের সাথে জাহান্নামে প্রবেশ করো, যদি তারা তওবা না করে মৃত্যুবরণ করে। সে সাত প্রকারের লোক হলঃ
১। অবৈধ কাজে লিপ্ত ব্যক্তি,
২। জীবজন্তুর সাথে খারাপ কাজে লিপ্ত ব্যক্তি,
৩। মা ও মেয়েকে এক সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধকারী ব্যক্তি,
৪। হস্তমৈথুন কারী ব্যক্তি,
(কিতাবুল কবায়ের, পৃ.৬৩)
এ লিখাটি লিখার সময় কলিজা কম্পন করে, আর লজ্জায় হাত থেকে কলম পড়ে যায়। কিন্তু আমার এ আবেদন নিবেদন সমূহকে অশালীনতা ও উলঙ্গপনা বলা যাবে না। বরং ইহা মূলত: শালীনতারই শিক্ষা। “আল্লাহ অবশ্যই দেখছেন” এ বিশ্বাস থাকার পরও যে সমস্ত লোক তাদের ফাসেদ ধারনা মতে গোপনে নির্লজ্জতার কাজ করে, আমার এ লিখা তাদের জন্য লজ্জার পয়গাম স্বরূপ। হায়! ঘুনে ধরা মস্তিষ্কের অধিকারী কতিপয় যুবক যুবতী, বিবাহের রাস্তা বন্ধ দেখে নিজেদের হাত দ্বারা স্বীয় যৌবনকে নষ্ট করতে আজ দ্বিধা করছেনা। প্রথমে প্রথমে যদিও সে কাজ তৃপ্তিদায়ক মনে হয়, কিন্তু যখন চোখ খুলে যায়, তখন তা আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। স্মরণ রাখবেন! এ কাজ হারাম ও কবীরা গুনাহ। হাদীস শরীফে হস্ত মৈথুন কারীকে মালউন বলা হয়েছে এবং তার জন্য রয়েছে পরকালে জাহান্নামের বেদনাদায়ক শাস্তি। এ কাজে পরকালও তার নষ্ট হয়ে গেল এবং ইহকালেও তার জন্য রয়েছে প্রচুর ক্ষতি। এ স্বভাবগত অভ্যাস দ্বারা স্বাস্থ্যও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। একবার সে কাজ করার পর পুনরায় তা আবার করতে ইচ্ছে হয়। আল্লাহর পানাহ! কয়েকবার সে কাজ করলে পুরুষাঙ্গে ফুলা চলে আসে এবং সে অঙ্গের নরম ও সূক্ষ্ম রগসমূহ ঘর্ষনে ঢিলে হয়ে যায় এবং পুরুষাঙ্গ নিস্তেজ হয়ে পড়ে। অবশেষে অবস্থা এ পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায় যে, কোন নারীর প্রতি সামান্য কুদৃষ্টিপাত করলে, কিংবা নারীর কথা মনে কল্পনা করলে সাথে সাথে বীর্য বের হয়ে পড়ে। এমনকি কাপড়ের সাথে পুরুষাঙ্গ সংঘর্ষ হলেও বীর্য বের হয়ে পড়ে। বীর্য সে রক্ত থেকে সৃষ্টি হয়, যা সমস্ত শরীরে খাদ্য পৌঁছানোর পর অবশিষ্ট থাকে। যখন প্রচুর পরিমানে বীর্য নির্গত হতে থাকবে তখন রক্ত সমস্ত শরীরে কিভাবে খাদ্য পৌঁছবে? ফলশ্রুতিতে শরীরের যাবতীয় কার্যক্রম লন্ডভন্ড হয়ে পড়বে।
১। মন দুর্বল হয়ে পড়ে।
২। পাকস্থলী,
৩। যকৃত এবং
৪। হৃদপিন্ড নষ্ট হয়ে যায়।
৫। দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পায়।
৬। কানে শোঁ শোঁ আওয়াজ অনুভূত হয়।
৭। সর্বদা খিটখিটে মেজাজ থাকে।
৮। সকালে ঘুম থেকে উঠলে শরীর কাহিল (ক্লান্ত) হয়ে পড়ে।
৯। শরীরের জোড়ায় জোড়ায় ব্যথা অনুভব হয় এবং চোখে ঝাপসা দেখে।
১০। বীর্য পাতলা হয়ে যাওয়ার কারনে সর্বদা সামান্য সামান্য বীর্য নির্গত হতে থাকে, প্রস্রাবের নালীতে বীর্য জমে থাকে ও দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। ফলে প্রস্রাবের নালীতে ক্ষত হয়ে যায় এবং ক্ষতস্থান হতে পুঁজ বের হয়।
১১। প্রথমে প্রথমে প্রস্রাবের সময় সামান্য জ্বালা যন্ত্রনা অনুভব হয়।
১২। পরবর্তীতে প্রস্রাবের সাথে পুঁজ বের হয়।
১৩। অতঃপর প্রস্রাবের সময় তীব্র জ্বালা যন্ত্রণা সৃষ্টি হয়।
১৪। এমনকি গলোরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবনকে এমনই তিক্ত করে তোলে, যার ফলে মানুষ মৃত্যুকে আহ্বান করতে থাকে।
১৫। বীর্য পাতলা হয়ে যাওয়ার কারণে কোন কল্পনা ব্যতীত প্রস্রাবের আগে বা পরে প্রস্রাবের সাথে বীর্য নির্গত হয়। একে প্রমেহ রোগ বলা হয়, যা কঠিন কঠিন রোগ সমূহের মূল।
১৬। অঙ্গ বিকল হয়ে যায়।
১৭। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে।
১৮। মেরুদন্ড দূর্বল হয়ে পড়ে।
১৯। বিবাহের যোগ্যতা হারিয়ে ফেলে।
২০। যদিও স্ত্রীর সাথে মিলন করার ক্ষেত্রে সফলও হয়, কিন্তু সন্তান সন্তুতি জন্ম নেয় না, ফলে নিঃসন্তান থেকে যায়।
২১। কোমরে ব্যথা অনুভব হয়।
২২। চেহারা হলুদ বর্ণ ধারন করে।
২৩। চোখে গাড়া পড়ে।
২৪। শরীর দিন দিন ক্ষীন হয়ে যায়, স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ে।
২৫। টাইফযেড রোগে আক্রান্ত হয়।
২৬। মস্তিষ্ক বিকৃত হয়ে যায়।
Информация по комментариям в разработке