Скачать или смотреть ডিজিটাল পাঠদান-কারিগরি শিক্ষা নিন, বদলে যাবে আপনার দিন

স্বরণ: পুরো বাংলাদেশ যে ভাবে উন্নয়নে ্এগিয়ে গেছে সেই তুলনায় আমাদের গ্রাম টা মনে হয় এখনো পিছিয়েই আছে। রাস্তাঘাট ঠিকই পাকা হয়েছে কিন্তু বাড়ী ঘরের পরিবর্তন হয়নি।
সাবাব: ঠিক বলেছো ভাইয়া। আমাদের গ্রামের অধিকাংশ ছেলেই কেমন যেনো কর্ম ছাড়াই ঘুরে বেড়ায়
স্বরণ: সঠিক দিক নির্দেশনার অভাব। আচ্ছা তোর ডিপ্লোমা কোর্স কতদুর হলো
সিয়াম: লাষ্ট সেমিষ্টার চলতেছে.

স্বরণ: ( ভাগিনাকে ) বড় হয়ে কি হতে চাও মামা
ভাগিনা: তোমার মত ইঞ্জিনিয়ার
সবাই হেসে উঠে। দুলাভাই বলে
দুলাভাই: ( চায়ে চুমুক দিয়ে ) স্বরণ,এবার কিন্তু বিয়ের বিষয়ে তুমি আর না করতে পারবা না
স্বরণ: আমি আর কি বলবো, আব্বা যে ভাবে সিদ্ধান্ত নিবেন সেটাই হবে
ইঃ আপা: আস সালামু আলআইকুম..
বাবা: ওযালাইকুম...ইঃআপা। আসেন আসেন। স্বরণ আমাদের উত্তর পাড়ায় সরকারী যে ব্রীজটা হচ্ছে এই আপা হচ্ছেন ওখানকার চিফ ইঞ্জিনিয়ার।
স্বরণ: ও আচ্ছা আচ্ছা। বসুন না প্লিজ।
ইঃআপা: ( বসতে বসতে ) বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বিদেশের মাটিতে অটোমোবাইল ইঞ্জনিযি়ারংি সেক্টরে আপনি যে সফলতা দেখিয়েছেন তা সত্যিই আমাদেরকে গৌরবান্বিত করেছে।
স্বরণ: ধন্যবাদ আপনাকে। কিন্ত আপনি এত কথা জানলেন কি ভাবে ?
ইঃআপা: আমাদের প্রত্যেকটা জাতীয় পত্রিকা আপনাকে নিয়ে ফিচার করেছিল
স্বরণ: তাই নাকি
ইঃআপা: ঘটনাক্রমে আপনার এলাকার ব্রীজটির দ্বায়িত্ব এসে পড়ে আমার উপর। সেই সুবাধে আপনার সাথে পরিচিত হতে পেরে নিজেকে খুব আনন্দিত মনে হচ্ছে।
স্বরণ: আমাদের দেশের নারীরাও কর্মমুখী শিক্ষায় বেশ এগিয়েছে আপনি তার স্বরণ দৃষ্টান্ত। তাই আপনাকে দেখে আমিও খুব আনন্দিত হচ্ছি।
এমন সময় আমজাদের চিল্লাচিল্লি দেখে বাবাকে বলে
কি ব্যাপার বাবা আমজাদ চাচা ?
বাবা: ওর ছেলেটার কোন যুথ সই কর্ম নাই তাই প্রায় দিনই বাপ ছেলের ঝগড়া লাগে।
স্বরণ: হুম .. বাবা তোমরা গল্প কর আমি একটু আমজাদ চাচার ওখানে যাই
বাপ ছেলের ঝগড়া চলছেই।
স্বরণ: চাচা..
আমজাদ: বাবা স্বরণ
স্বরণ: চাচা মামুনের যুথ সই কোন কর্ম না থাকার কারন কি জানেন ? কারনটা হলো মামুনের নির্দিষ্ট কোন কর্ম যেমন ইলেকট্রোনিক্স, গার্মেন্টস, পাইলিং,অটোমোবাইল ইঞ্জনিযি়ারংি, ইলেকট্রেশিয়ানস এই রকম নির্র্দিষ্ট কোন কর্মের উপর ওর কোন সুনির্দিষ্ট প্রশিক্ষন নেই। এই আমাকে দেখুন Ñ আপনার চাইতেও অভাবের সংসার ছিল আমাদের । অভাবের কারনে ছোটবেলা থেকেই আমাকে অটোমোবাইল ইঞ্জনিযি়ারংিয়ের দোকানে কাজ করতে হয়েছিল। অবশ্য ছোট বেলা থেকেই যন্ত্রপাতি নিয়ে খেলা আমার এক ধরনের নেশা ছিল। অটোমোবাইল ইঞ্জনিযি়ারংিয়ের দোকানে কাজ করতে করতেই কাজ শিখতে থাকি। কাজ শিখাটাকে আমি জীবনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। তাই দিন রাতকঠোর পরিশ্রম করে অটোমোবাইল ইঞ্জনিযি়ারংি কাজ ভালো ভাবে রপ্ত করতে পেরেছিলাম। ঘটনাক্রমে এক ইঞ্জিনিয়ার স্যারের সাথে আমার পরিচয় হইলে আমার অটোমোবাইল ইঞ্জনিযি়ারংি কাজের প্রতি আগ্রহ দেখে উনি আমাকে কারিগরি প্রশিক্ষন থেকে অটোমোবাইল ইঞ্জনিযি়ারংিয়ের উপর প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করে দেন। অটোমোবাইল ইঞ্জনিযি়ারংি প্রশিক্ষন নিয়ে আমি শ্রমিক হিসেবে বিদেশে চলে যাই। তার পর আর আমাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। তাই আপনাকে অনুরোধ করে বলি আপনার সন্তানকে কারিগরী প্রশিক্ষন কেন্দ্র থেকে কোন একটি নির্দিষ্ট কর্মের ্উপর প্রশিক্ষন দেওয়ান । দেখবেন ও নিজেই নিজের কর্ম খুজে নিবে।
বাবা: আমজাদ, স্বরণ ঠিকই বলছে। তোমার ছেলেটাকে কারিগরী প্রশিক্ষন কেন্দ্রে ভর্তি করায় দাও। প্রশিক্ষন খরচওতো খুবই সামান্য। মনে রাখবা, এই যে আপনাদেরকেও বলি কর্মমুখি শিক্ষা নিলে , ঘরে ঘরে কর্ম মিলে

অভিনয় শিল্পিদের তালিকাঃ-
১। আকিব আহম্মেদ স্বরন- স্বরন
২। মৌটুসি বিশ্বাস- ইঞ্জিনিয়ার আপা
৩। শিখা মৌ- মা।
৪। খাইরুল বাসার মাসুম- বাবা।
৫। আবির আহমেদ সাবাব- কিশোর স্বরন
৬। মেঘলা মায়া- বোন
৭। মোঃ নাজমুল হোসেন- এলাকার বড় ভাই।
৮। মোঃ জাহিদুল ইসলাম ভুইয়া-এলাকার বড় ভাই।
৯। তাইমুর পাপ্পু- এলাকার ছেলে।
১০। আরকে রতন- আমজাদ।
১১। প্রীতি- সহকারি আপা।
১২। রেজিন- আমজাদের ছেলে।



Engr. Robindronath Mahato

Equipment Officer

Establishment of Four Engineering Colleges Project

Directorate of Technical Education

Technical and Madrasah Education Division

Ministry of Education

[email protected]

+8801711576950



প্রকৌশলী রবীন্দ্রনাথ মাহাত

ইকুইপমেন্ট অফিসার

চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন প্রকল্প
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর

শিক্ষা মন্ত্রণালয়

+৮৮ ০১৭১১৫৭৬৯৫০