Скачать или смотреть ইমাম হোসাইন এর কারবালার ঘটনা

ইমাম হোসাইন এর কারবালার ঘটনা
কারবালার ঘটনা বলতে একষট্টি হিজরীর দশ ই মহররম সংঘটিত হওয়া ঐতিহাসিক কারবালা যুদ্ধকে বোঝায়। এই যুদ্ধে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দৌহিত্র ইমাম হুসাইন (রাঃ) এবং তার সঙ্গীরা ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন। এই ঘটনাটি ইসলামের ইতিহাসে একটি শোকাবহ ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়।
কারবালার ঘটনার প্রেক্ষাপট:
ইয়াজিদের ক্ষমতা গ্রহণ: মুয়াবিয়া (রাঃ) এর মৃত্যুর পর তার পুত্র ইয়াজিদ ক্ষমতা গ্রহণ করেন, যা অনেকেই অবৈধ বলে মনে করতেন।
ইমাম হুসাইনের বিদ্রোহ: ইমাম হুসাইন (রাঃ) ইয়াজিদের এই ক্ষমতা দখলকে অন্যায় ও খেলাফতের নীতির পরিপন্থী হিসেবে দেখেন এবং এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।
কুফায় যাত্রা: কুফার জনগণ ইমাম হুসাইনকে তাদের সমর্থন ও সাহায্যের আশ্বাস দিলে তিনি মক্কা থেকে কুফার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
কারবালায় অবরোধ: ইয়াজিদের বাহিনী ফোরাত নদীর তীরে কারবালা নামক স্থানে ইমাম হুসাইন ও তার সঙ্গীদের পথ রোধ করে এবং তাদের অবরুদ্ধ করে ফেলে।
কারবালার যুদ্ধ:
অসম যুদ্ধ: কারবালা প্রান্তরে ইমাম হুসাইন (রাঃ) এর সীমিত সংখ্যক সঙ্গী ও পরিবারের সদস্যদের সাথে ইয়াজিদ বাহিনীর একটি বিশাল দলের মধ্যে এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
ইমাম হুসাইন ও সঙ্গীদের শাহাদাত: যুদ্ধে ইমাম হুসাইন (রাঃ) ও তার সঙ্গীরা বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করে শাহাদাতবরণ করেন। তাদের মধ্যে ইমাম হুসাইনের ছয় মাসের শিশু সন্তান আলী আসগরও ছিলেন।
মহিলা ও শিশুদের বন্দীত্ব: যুদ্ধের পর ইমাম হুসাইন (রাঃ) এর পরিবারের মহিলা ও শিশুদের বন্দী করে ইয়াজিদ বাহিনী দামেস্কে নিয়ে যায়।
আস্সালামু আলাইকুম! স্বাগতম আপনাকে আমার চ্যানেলে ভিজিট করার জন্য। "Trust Vision tv" ইউটিউব চ্যানেলের উদ্দেশ্য হলো প্রত্যকের কাছে কোরআন হাদিসের বানী পৌছে দেওয়া। সবাই যেন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এর আদেশ এবং নিষেধ মেনে বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর দেখানো পথে চলতে পারি। এটি একটি অলাভজনক অরাজনৈতিক এবং মানবকল্যাণে নিবেদিত ইসলামিক চ্যানেল।
বিশুদ্ধ তাওহিদের চর্চা ও দ্বীনের অবিকৃত বার্তা পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।
মহান আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করি তিনি আমাদের এই চ্যানেলটি একবার হলেও দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। সব নবী–রাসুলই দাওয়াত, তাবলিগ, তালিম ও তারবিয়াতের কাজ করেছেন। যেহেতু নতুন কোনো নবী ও রাসুল আর আসবেন না, তাই কিয়ামত পর্যন্ত দাওয়াত, তালিমে দ্বীনের কাজ আখেরি নবীর উম্মত তথা উম্মতে মুহাম্মদীকেই করে যেতে হবে। ইসলামের কল্যাণের বিষয়গুলো মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হলো তাবলিগ। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘তোমরা আমার পক্ষ থেকে একটি আয়াত হলেও পৌঁছে দাও।’ (জামে তিরমিযি)। বিদায় হজের ভাষণে মহানবী (সা.)–এর সর্বশেষ বাক্য ছিল, ‘তোমরা যারা উপস্থিত রয়েছ তারা যেন অনুপস্থিতদের কাছে পৌঁছে দাও।’ (সিরাতে ইবনে হিশাম)। দাওয়াত তাবলিগের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো সৎকাজে আদেশ ও মন্দ কাজে নিষেধ করা।

ধন্যবাদ