(হে নবী!) বলো, আল্লাহ ছাড়া মহাকাশ ও পৃথিবীর কারোই গায়েব-এর জ্ঞান নেই এবং কখন তারা পুনরুত্থিত হবে, তা-ও কারো জানা নেই। ৬৬. আসলে আখেরাত সম্পর্কে ওদের জ্ঞান লোপ পেয়েছে। বরং বলা যায়, এ ব্যাপারে ওরা সন্দিগ্ধ, পুরোপুরি অন্ধ!
সূরা আরাফ ১৮৮. হে নবী! বলো, ‘আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া নিজের ভালো-মন্দের ওপরও আমার কোনো ক্ষমতা নেই। আমি যদি গায়েব জানতাম, তবে বিপুল সৌভাগ্যের অধিকারী হতাম এবং কোনো অকল্যাণ আমাকে স্পর্শ করতে পারত না। আমি তো বিশ্বাসীদের জন্যে একজন সতর্ককারী ও সুসংবাদদাতা মাত্র।’
সূরা আনআম ৫৯. গায়েবের সকল জ্ঞানের চাবিকাঠি আল্লাহর হাতে। তিনি ছাড়া এ বিষয়ে আর কেউ জানে না। জমিনে বা পানির অভ্যন্তরে যা-কিছু আছে সবই তিনি অবগত। তাঁর অগোচরে গাছের একটি পাতাও পড়ে না। তাঁর অজ্ঞাতসারে মাটির ভেতরে কোনো শস্যদানা অঙ্কুরিত হয় না। আর্দ্র বা শুষ্ক প্রতিটি বস্তুর প্রকৃতি লিপিবদ্ধ রয়েছে উন্মুক্ত কিতাবে (দৃষ্টিমানদের পড়ার জন্যে)।
সহীহ বুখারী ১০৩৯. ইবনু ‘উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ গায়বের চাবি হল পাঁচটি, যা আল্লাহ্ ছাড়া কেউ জানে না।
(১) কেউ জানে না যে, আগামীকাল কী ঘটবে।
(২) কেউ জানে না যে, আগামীকাল সে কী অর্জন করবে।
(৩) কেউ জানে না যে, মায়ের গর্ভে কী আছে।
(৪) কেউ জানে না যে, সে কোথায় মারা যাবে।
(৫) কেউ জানে না যে, কখন বৃষ্টি হবে। (৪৬২৭, ৪৬৯৭, ৪৭৭৮, ৭৩৭
সহীহ বুখারী । ৪০০১. রুবায়ই বিনতু মু‘আওয়িয (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমার বাসর রাতের পরদিন সকালে নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এলেন এবং তুমি (খালিদ ইবনু যাকওয়ান) যেমন আমার কাছে বসে আছ ঠিক সেভাবে আমার পাশে আমার বিছানায় এসে বসলেন। তখন কয়েকজন ছোট বালিকা দুফ্[1] বাজিয়ে বাদরে নিহত শহীদ পিতাদের প্রশংসা গীতি আবৃত্তি করছিল। শেষে একটি বালিকা বলে উঠল, আমাদের মাঝে এমন একজন নাবী আছেন, যিনি জানেন, আগামীকল্য কী হবে। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এমন কথা বলবে না, বরং আগে যা বলেছিলে তাই বল। [৫১৪৭] প্রকাশনীঃ ৩৭০৪, ফাউন্ডেশনঃ ৩৭০৮)
সহীহ বুখারী ৬৫৯৪. ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সত্যবাদী ও সত্যবাদী স্বীকৃত রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের প্রত্যেকেই আপন আপন মাতৃগর্ভে চল্লিশ দিন পর্যন্ত (শুক্র হিসেবে) জমা থাকে। তারপর ঐরকম চল্লিশ দিন রক্তপিন্ড, তারপর ঐরকম চল্লিশ দিন গোশত পিন্ডাকারে থাকে। তারপর আল্লাহ্ একজন ফেরেশতা পাঠান এবং তাকে রিযিক, মৃত্যু, দুর্ভাগ্য ও সৌভাগ্য- এ চারটি বিষয় লিখার জন্য আদেশ দেয়া হয়। তিনি আরও বলেন, আল্লাহর কসম! তোমাদের মাঝে যে কেউ অথবা বলেছেন, কোন ব্যক্তি জাহান্নামীদের ‘আমাল করতে থাকে। এমনকি তার ও জাহান্নামের মাঝে মাত্র একহাত বা এক গজের তফাৎ থাকে। এমন সময় তাক্দীর তার ওপর প্রাধান্য লাভ করে আর তখন সে জান্নাতীদের ‘আমাল করা শুরু করে দেয়। ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করে। আর এক ব্যক্তি জান্নাতীদের ‘আমাল করতে থাকে। এমন কি তার ও জান্নাতের মাঝে মাত্র এক হাত বা দু’হাত তফাৎ থাকে। এমন সময় তাক্দীর তার উপর প্রাধান্য লাভ করে আর অমনি সে জাহান্নামীদের ‘আমাল শুরু করে দেয়। ফলে সে জাহান্নামে প্রবেশ করে। [৩২০৮] প্রকাশনী- ৬১৩৪, ফাউন্ডেশন- ৬১৪২)
মুয়াত্তা মালিক 1467 নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, আবু বকর (রাঃ) গাবা নামক স্থানের বাগানের কিছু খেজুর গাছ আমাকে দান করিলেন। যাহার মধ্যে বিশ ওসক খেজুর উৎপন্ন হইত। অতঃপর ইন্তিকালের সময় বলিতে লাগিলেন, হে কন্যা। আল্লাহর কসম, আমার পরে তোমা হইতে সচ্ছল কেহ থাকুক আমি তাহা পছন্দ করি না, আর তুমি দরিদ্র থাক তাহাও আমার সবচাইতে বেশি অপছন্দ। আমি তোমাকে এমন খেজুর গাছ দিয়াছিলাম যাহার মধ্যে বিশ ওসক খেজুর জন্মে। তুমি যদি তাহা দখলে রাখিতে এবং ফল সংগ্ৰহ করিতে থাকিতে তবে তাহা তোমার সম্পদ হইয়া যাইত। এখন তো তাহা ওয়ারিসদের সম্পত্তি। ওয়ারিস তোমার দুই ভাই ও দুই বোন, সুতরাং উহাকে আল্লাহর কিতাব অনুসারে বন্টন করিও। আয়েশা (রাঃ) বলিলেন, হে আব্বাজান যত বড় সম্পদই হউক না কেন, আমি তাহা ছাড়িয়া দিতাম, কিন্তু আমার তো বোন শুধু একজন আসমা (রাঃ), অন্য জন কে? তিনি উত্তরে বলিলেন, (আমার স্ত্রী) বিন্ত খারেজা গর্ভবতী, তাহার গর্ভে যে সন্তান আছে আমার ধারণ তাহা মেয়েই হইবে।
সূরা জ্বীন ২৬-২৮. তিনি একাই গায়েব বা অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা। গায়েবের জ্ঞান কারো পক্ষেই জানা সম্ভব নয়, যদি না তিনি কাউকে জানান, যেমন তিনি রসুলদের জানিয়েছেন। তিনি (যখন রসুলদের ওহী পাঠান) তখন তাদের সামনে-পেছনে প্রহরী নিয়োগ করেন। এভাবে নিশ্চিত করেন যে, রসুলরা যা বলছে তা আল্লাহর সত্যবাণী। রসুলদের কাছে যা-কিছু আছে, তা তাঁর জ্ঞান দ্বারা পরিবেষ্টিত, যেমনভাবে তিনি অস্তিত্বের সবকিছুরই হিসাব রাখেন এক এক করে।
সূরা লােকমান ৩৪. নিশ্চয়ই কখন কেয়ামত হবে তা শুধু আল্লাহই জানেন। তিনি মেঘ থেকে বৃষ্টিবর্ষণ করেন। তিনি জানেন জরায়ুতে কী আছে। অথচ কেউই জানে না আগামীকাল তার জন্যে কী অপেক্ষা করছে এবং কেউ জানে না কোথায় তার মৃত্যু হবে। শুধ
সূরা আল মুদ্দাস্সির -৩১
আর আমি ফেরেশতাদেরকেই জাহান্নামের তত্ত্বাবধায়ক বানিয়েছি। আর কাফিরদের জন্য পরীক্ষাস্বরূপ আমি তাদের সংখ্যা নির্ধারণ করেছি। যাতে কিতাবপ্রাপ্তরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে; আর মুমিনদের ঈমান বেড়ে যায় এবং কিতাবপ্রাপ্তরা ও মুমিনরা সন্দেহ পোষণ না করে। আর যেন যাদের অন্তরে রোগ আছে তারা এবং অবশিষ্টরা বলে, এরূপ উপমা দ্বারা আল্লাহ কী ইচ্ছা করেছেন? এভাবেই আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন আর যাকে ইচ্ছা সঠিক পথে পরিচালিত করেন। আর তোমার রবের বাহিনী সম্পর্কে তিনি ছাড়া কেউ জানেন না। আর এ হচ্ছে মানুষের জন্ ভালো লাগলে লাইক,, কমেন্ট ও শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
#Islamer#pother#24
Facebook page: / islamicwazpage
Facebook group :https://www.facebook.com/groups/82672...
Информация по комментариям в разработке