Скачать или смотреть চিকুনগুনিয়া জ্বর ও রোগের লক্ষণ প্রতিকার/চিকিৎসা এবং ইতিহাস | চিকুনগুনিয়া রোগ হলে করনীয় কি ?

চিকুনগুনিয়া ভাইরাস কী?

চিকুনগুনিয়া ভাইরাস টোগা ভাইরাস গোত্রের ভাইরাস। ডেঙ্গু ও জিকা ভাইরাস ও একই মশার মাধ্যমে ছড়ায় এবং প্রায় একই রকম রোগের লক্ষণ দেখা যায়।

চিকুনগুনিয়া রোগের লক্ষণ সমূহ

(১) হঠাৎ জ্বর আসা সঙ্গে প্রচণ্ড গিঁটে গিঁটে ব্যথা। এবং শরীরের এর তাপমাত্রা থাকবে ১০৪-১০৫ F পর্যন্ত ।
(২) প্রচণ্ড মাথাব্যথা
(৩) শরীরে ঠাণ্ডা অনুভূতি (Chill)
(৪) বমি বমি ভাব অথবা বমি
(৫) চামড়ায় লালচে দানা (Skin Rash)
(৬) মাংসপেশিতে ব্যথা (Muscle Pain)




চিকুনগুনিয়া রোগের চিকিৎসা:
এর কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। চিকুনগুনিয়া ভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসা মূলত উপসর্গ ভিত্তিক। এই উপসর্গ ভিত্তিক চিকিৎসা কে দু ভাবে ভাগ করা যেতে পারে।
1/ GENARAL TREATMENT:
১)আক্রান্ত ব্যক্তিকে সম্পূর্ণ ভাবে বিশ্রাম নিতে হবে
২) প্রচুর পানি ও তরলজাতীয় খাবার খেতে হবে
৩) পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে বার বার শরীর মুছে দিতে হবে
৪) এবং ব্যথার জন্য হালকা সেঁক এবং হালকা ব্যায়াম করলে অনেকটা উপকার পাওয়া যাবে।
2/ SPECIFIC TREATMENT:
১) জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল গ্রুপের ঔসুধ বিশেষ করে napa extend 665 mg tablet ১ টা অথবা ২ টা করে দিনে ৪ বার খেলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে।
২) ব্যথার জন্য analgesic না খাওয়াই ভালো তবে ব্যথা বেশি হলে রিক্স বেনিফিট এ নেফ্রক্সিন গ্রুপের ঔষধ খাওয়া যেতে পারে।
৩) এবং বমির জন্য EMISTET জাতীয় ঔষধ খাওয়া যেতে পারে,


সুপ্তিকাল:
জ্বর ৩-৭ দিন অথবা (২-২১ পর্যন্তও হতে পারে)।
তবে শরীরের ব্যথা ৭-২৮ দিন অথবা (৫-৯০ দিন পর্যন্তও হতে পারে) আর কখনও কখনও গিঁটের ব্যথা কয়েক মাস এমনকি কয়েক বছরের বেশি সময় থাকতে পারে।


চিকুনগুনিয়া ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের প্রধান উপায়।
যেমনঃ
১) মশা নিয়ন্ত্রণ ও ঘুমানোর সময় মশারি টাঙিয়ে ঘুমানো,
২) লম্বা হাতলযুক্ত জামা ও ট্রাউজার পরে থাকা,
৩) বাড়ির আশেপাশে পানি জমতে না দেয়া ইত্যাদি প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
৪) এ জাতীয় মশা যেহেতু সাধারণত ভোর বেলা অথবা সন্ধ্যার এ দু সময়ই কামড়ায় সেহেতু ভোর বেলা অথবা সন্ধ্যার এ দু সময় একটু সতর্কতা অবল্ভন করলেই এর থেকে অনেকটা নিস্তার পাওয়া যাবে।
৫)এরা একবারে একের অধিক ব্যক্তিকে কামড়াতে পছন্দ করে। একবার রক্ত খাওয়া শেষে ডিম পাড়ার পূর্বে তিন দিনের বিশ্রামের প্রয়োজন হয়।এদের ডিমগুলো পানিতে এক বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে