Скачать или смотреть জ্বীন যেভাবে আপনার শরীরে প্রবেশ করে অনুমতি ছাড়া।How Jinn enter your bodies without your permission

ভিডিওটির মাধ্যমে আমরা জানবো জ্বীন যেভাবে আপনার শরীরে প্রবেশ করে অনুমতি ছাড়া।How Jinn enter your bodies without your permission.জিনের ক্ষতি থেকে বাচার উপায়। ।এই ভিডিওতে আমরা কথা বলবো জিনদের অবস্থান  এবং ঠিক কোন চারটি সময় বা  জায়গা থেকে আপনার শরীরে জিন প্রবেশ করতে পারে ও একজন গনকের বা জাদুকরের নির্দেশে জিন আপনার শরীরে প্রবেশ করে আপনাকে নিয়ন্ত্রণ  করতে থাকে বা পরিচালনা করতে থাকে।এর তিনটি কারণ  আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। প্রথম টি হলো শয়তানের লক্ষ কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। যদি একটি ব্যক্তি জিন দারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা তার পরিবারের কেউ হয় এবং এটা বার বার ঘটে থাকে এবং দেখা যায় যে তারা বাথরুমে প্রবেশের সময় রাসুল (সাঃ) শেখানো  দোয়া পড়েনা অর্থাৎ তারা আমল করে না পায়খানা প্রসাব খানায় প্রবেশের দোয়া।

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল খুবসি ওয়াল খাবাইস।
অর্থ : " হে আল্লাহ্! আমি কদাচারী ও নাপাক শয়তান হতে আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। "
তাই তারা হয়তো জানেন যে তারা কিছু একটা দ্বারা জিনকে কষ্ট দিচ্ছে জিনকে বিরক্ত করছে দোয়া পাঠ বা জিনকে কোনো সংকেত প্রদান না করেই।এজন্য আমরা বাথরুমে প্রবেশের সময় গলা দিয়ে শব্দ করে কিংবা দরজায় নক করে যেতে পারি।  বস্তুত আমাদের সব জায়গায় ইসলাম চর্চা না থাকায় এটি ঘটে থাকে। আমাদের পারিবারিক ভাবে এই দোয়া ও আমল গুলো করা দরকার, জিন শয়তান এর হাত থেকে রক্ষা পেতে। অনেক সময় এটি আমাদের শিশুদেরও ক্ষতি করতে পারে এমনকি ফুটন্ত তেল বা পানি গায়ের উপর ঢেলে তাদের কারো ক্ষতি করে।  এটি আপনার সেভাবেই ক্ষতি করবে মানুষ যেভাবে বিভিন্ন উপাদান দ্বারা আপনার কোন ক্ষতি করতে পারে এবং তৃতীয়তঃ জিন আপনার যেভাবে ক্ষতি করবে সেটি হল আপনাকে ভালোবেসে। হ্যাঁ এটি শুনতে অন্যরকম মনে হলেও সত্য যে অনেক জিন আপনাকে ভালোবেসে ফেলতে পারে এবং আপনাকে নাছোড়বান্দার মতো কখনোই ছাড়তে রাজি নাও হতে পারে আপনার সাথে সবসময় অবস্থান করা  থেকে শুরু করে সবকিছু করতে পারে। আপনি দিন দিন রোগী হয়ে যেতে পারেন।এটি তাদের ক্ষতিকর ভালোবাসা।এবং আপনারা জেনে অবাক হবেন বাথরুমে যে সমস্ত নারীরা দোয়া পড়ে না, আল্লাহর কাছে পানাহ চায়না জিন তাদের কে ধর্ষণ করে দিন দিন তারা নানা রোগে ভুগতে থাকে এবং এটাই সত্য। এজন্য রসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আমাদের দোয়া পড়তে বলেছেন এবং আরো অনেক আমল করতে বলেছেন যেমন আমরা যখন কাপড় খুলবো তখন বিসমিল্লাহ বলে কাপড় খুলবো।

মূলত আমরা যখন বিসমিল্লাহ বলব তখন আমাদের এবং জিনদের মধ্যে একটি পর্দা তৈরি হবে। সচারাচর  জিনরা নারীদেরকে বেশি পছন্দ করে থাকে এবং তারা সবসময় নারীদেরকে টার্গেট করে যে যখন তারা বাথরুমে কাপড় পরিবর্তন করে সেই সময় টাতে। জিনেরা কি চাইলে যেকোন সময় মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে এটির উত্তর কি হতে পারে?? 
উত্তর হচ্ছে না।তারা চাইলে যেকোন সময় মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে না সেখানে চারটি শর্ত ব্যতীত। কোনো ব্যক্তি হয়তো জ্বীনদের কাছে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে যখন সে আল্লাহকে ভুলে যায়. এর পক্ষে বেশকিছু প্রমাণও রয়েছে এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলার একটি বক্তব্য হল কোন ব্যক্তি যখন আল্লাহকে ভুলে যায় তখন তার সঙ্গে একটি শয়তান স্থায়ীভাবে বসবাস করে যেটি তার সঙ্গী হয়ে যায়।আল্লাহ হতে যারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, আল্লাহকে স্মরণ ব্যতীত জীবনযাপন করে তাদের জন্য একটি করে শয়তান বরাদ্দ করা হয় যা তার সঙ্গী হবে।হয়তো আপনি কখনো  চরম আবেগ অনুভব করছেন কখনো বা দুঃখ।  আমি আপনার সম্পর্কে কথা বলছি না যে যখন আপনি রাগান্বিত হবেন তবে আমি বলছি  আপনি এত রাগান্বিত হবেন যে, আপনি আপনার মানসিক শক্তি হারাবেন.আপনি আর জানেন না যে আপনার বক্তব্য কি, আপনি কি বলছেন এবং এটি এমন একটি সময় যখন আপনি শয়তান থেকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন।এবং প্রকৃতপক্ষে রাসুল এ ধরনের রাগের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন  এবং প্রসিদ্ধ হাদিসে বলেন যে  রাগ করবে না।এমনকি যখন একজন ব্যক্তি চরম আনন্দ, চরম বিষণ্ণতা অনুভব করেন, এমন পর্যন্ত যেখানে তারা তাদের কোষ এবং নিজেকে এবং তাদের শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, তারা কী বলছে, ভাবছে,এগুলাও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।এবং এটি এমন একটি সময় যখন তারা বিশেষভাবে দুর্বল বা সেই জিনের ক্ষতির স্বীকার। আমরা এটি পবিত্র সুন্নাহ থেকে প্রমান পাই। একটি ব্যক্তি জিন দ্বারা আক্রান্ত হয় এমন একটি জায়গায় যেটি ময়লা দ্বারা বেষ্টিত, ডাস্টবিন বা বড় ময়লার ভাগাড়  এবং জনমানবহীন জায়গা। এরকম জায়গার মধ্যে পড়বে বাথরুম যেটি সবসময় পরিষ্কার থাকে না এবং জনমানবহীন  জায়গা বলতে বোঝাবে যে বাড়িতে কেউ অবস্থান করে না কিংবা পরিত্যক্ত  কোনো স্থান বা বাড়ি।
আউজুবি কালিমাতিল্লাহিত তামমাতি মিন শাররি মা খালাক্বা।’ অর্থাৎ আমি আল্লাহ তাআলার পূর্ণ কালিমাসমূহের ওসিলায় তাঁরই সৃষ্ট সব প্রাণীর অনিষ্টতা থেকে তাঁরই কাছে আশ্রয় কামনা করছি।

আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল খুবসি ওয়াল খাবাইস।
অর্থ : " হে আল্লাহ্! আমি কদাচারী ও নাপাক শয়তান হতে আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। "
বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শায়ত্বানা ওয়া জান্নিবিশ শায়ত্বানা মা রাযাক্বতানা।’অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তোমার নামে (যৌন মিলন বা সহবাস) আরম্ভ করছি, তুমি আমাদের (স্বামী-স্ত্রী উভয়ের) কাছ থেকে শয়তানকে দূরে রাখ। আমাদের এ মিলনের ফলে যে সন্তান দান করবেন, সে সন্তানকেও শয়তান (যাবতীয় আক্রমণ) থেকে দূরে রাখ।’
শয়তান যৌনতাকে ভালোবাসে। লজ্জাস্থান দেখতেও ভালোবাসে। কেননা শয়তান এ যৌনতায় নিজেকে জড়িয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যেই স্বামী-স্ত্রীর মিলনের সময় সেখানে উপস্থিত হয়।
অতএব পরিষ্কার বোঝা যায় যে জিন শয়তান এর কবল থেকে বাচতে আমাদের ৪ সময় সচেতন থাকতে হবে। এক বাথরুমে যাওয়ার সময় দোয়া পড়তে হবে। সহবাসের সময় দোয়া পড়তে হবে। পরিত্যক্ত কোনো স্থান বা বাড়িতে অবস্থান করলে আল্লাহকে স্মরণ করতে হবে। চতুর্থ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আল্লাহর কাছ থেকে মুখ ফিরায় নেয়া যাবেনা,আল্লাহ কে ভুলে যাওয়া যাবেনা।

আল্লাহ আমাদের এই সব বিষয় মেনে চলার তৌফিক দান করুন।Notification From Allah,Quran.