Скачать или смотреть নতুন চাষীদের উদ্দেশ্যে পেঁপে চাষের সংক্ষিপ্ত বিবরণ। NomadicLife ।

পেঁপে একটি জনপ্রিয় ফল এবং সবজি, যা সারা বছরই চাষ করা যায়। এটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং উপ-ক্রান্তীয় জলবায়ুতে ভালো জন্মে। পেঁপে চাষের জন্য দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি সবচেয়ে উপযোগী, যেখানে জল নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা থাকা দরকার। সঠিক যত্ন নিলে, পেঁপে গাছ থেকে ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব।

পেঁপে চাষের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিচে দেওয়া হল:
১. মাটি ও জলবায়ু:
পেঁপে চাষের জন্য উঁচু ও মাঝারি উঁচু জমি নির্বাচন করতে হবে।
জমির মাটি অবশ্যই দোআঁশ বা বেলে দোআঁশ হতে হবে।
মাটির অম্লত্ব (pH) ৬.৫-৭.৫ এর মধ্যে থাকা উচিত।
জল জমে থাকে এমন জমিতে পেঁপে চাষ করা উচিত নয়।
ক্রান্তীয় ও উপ-ক্রান্তীয় জলবায়ু পেঁপে চাষের জন্য উপযুক্ত।
২. চারা রোপণ:
সাধারণত বর্ষা ও বসন্তকালে পেঁপে গাছ লাগানো হয়।
জমিতে ২ মিটার দূরে দূরে ৬০x৬০x৬০ সেমি আকারের গর্ত তৈরি করতে হবে।
রোপণের ১৫ দিন পূর্বে গর্তে সার মিশিয়ে দিতে হবে।
প্রতি গর্তে একটি করে চারা রোপণ করতে হবে।
বীজ থেকে চারা তৈরি করে রোপণ করাই ভালো।
বীজ বপনের পর ১৫-২০ দিনের মধ্যে চারা গজায় এবং ৪০-৫০ দিন পর রোপণের উপযোগী হয়।
জুন-জুলাই এবং অক্টোবর-নভেম্বর মাস পেঁপের চারা লাগানোর উপযুক্ত সময়।
৩. সার ও সেচ ব্যবস্থাপনা:
জমিতে জৈব সার (যেমন গোবর সার) এবং রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে হবে।
ইউরিয়া, টিএসপি এবং এমওপি সার গাছের গোড়ায় প্রয়োগ করতে হবে।
গাছের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী সেচ দিতে হবে।
মাটিতে পর্যাপ্ত রস না থাকলে সেচ দেওয়া প্রয়োজন।
অতিরিক্ত জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৪. রোগ ও পোকামাকড় ব্যবস্থাপনা:
পেঁপে গাছের প্রধান রোগগুলির মধ্যে রয়েছে গোড়া পচা রোগ, ভাইরাসঘটিত পাতা মোড়ানো রোগ ইত্যাদি।
রোগাক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করতে হবে।
কীটনাশক ব্যবহার করে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে গাছকে রক্ষা করতে হবে।
জমিতে আগাছা পরিষ্কার রাখতে হবে।
৫. ফল সংগ্রহ:
পেঁপে সাধারণত রোপণের ৬-৯ মাসের মধ্যে ফল দেওয়া শুরু করে।
ফল পরিপক্ব হলে সংগ্রহ করতে হবে।
ফল তোলার সময় ধারালো ছুরি বা কাঁচি ব্যবহার করা উচিত।
পেঁপে চাষে লাভবান হতে হলে, উপরোক্ত বিষয়গুলির প্রতি যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। নিয়মিত পরিচর্যা ও সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পেঁপে চাষে ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব।