Скачать или смотреть হাঁস পালনে মাইক্রোনিড ও ব্রোঙ্কোপ্লাস এর গুরুত্ব। Duck farming and medicine tips.

🐤 হাঁস পালনের টিপস

১. জাত নির্বাচন:

আপনার এলাকার জলবায়ু ও বাজার চাহিদা অনুযায়ী জাত নির্বাচন করুন।

জনপ্রিয় কিছু জাত:

খাঁকি ক্যাম্পবেল (Khaki Campbell) – ডিম উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত।

পেকিন (Pekin) – মাংসের জন্য উপযুক্ত।

দেশি হাঁস – রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি।

২. ঘর ও পরিবেশ:

উঁচু ও শুষ্ক স্থানে ঘর তৈরি করুন, যাতে জলাবদ্ধতা না হয়।

বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

প্রতি হাঁসের জন্য ঘরে কমপক্ষে ৩ বর্গফুট জায়গা রাখুন।

রাতে ঘরের ভেতর রাখুন, দিনে বাইরে বা পুকুরে ছাড়ুন (যদি সম্ভব হয়)।

৩. খাদ্য ও পানি:

প্রাথমিক অবস্থায় (০-৪ সপ্তাহ): Starter feed দিন (২১-২২% প্রোটিন)।

পরবর্তী ধাপে Grower ও Layer feed ব্যবহার করুন (১৭-১৯% প্রোটিন)।

প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পরিষ্কার পানি দিতে হবে।

৪. টিকা ও চিকিৎসা:

হাঁসকে নিয়মিত টিকা দিতে হবে, বিশেষ করে রাণীক্ষেত (Duck Plague) রোগ প্রতিরোধে।

হাঁসের স্বাভাবিক আচরণে পরিবর্তন দেখা দিলে দ্রুত পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৫. ডিম সংগ্রহ ও যত্ন:

প্রতিদিন সকালে ডিম সংগ্রহ করুন।

ডিম পরিষ্কার, শুকনো স্থানে সংরক্ষণ করুন।

৬. বংশবিস্তার:

ব্রুডিং ব্যবস্থা থাকলে হাঁস নিজেই ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফোটাতে পারে।

চাইলে ইনকিউবেটর ব্যবহার করতে পারেন।

৭. অর্থনৈতিক বিষয়:

বাজার বিশ্লেষণ করে হাঁস পালন শুরু করুন।

কম খরচে উৎপাদন, ভালো ব্যবস্থাপনা এবং বিক্রয় কৌশল থাকলে লাভবান হওয়া সম্ভব।

✅ অতিরিক্ত টিপস:

পুকুর বা জলাশয়ের ব্যবস্থা থাকলে হাঁসের খাদ্য খরচ কমবে (প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে বাঁচবে)।

নিয়মিত ঘর পরিষ্কার করুন রোগ প্রতিরোধে।

হাঁসের চলাচলের জায়গা পর্যাপ্ত রাখুন, না হলে উৎপাদন কমে যেতে পারে।

#villagedoor #village #agro #farming #হাঁসপালন