Скачать или смотреть ৪০ বছরের শিক্ষিকাকে বিয়ে করলেন ২২ বছরের শিক্ষার্থী ||অধ্যাপিকা খাইরুন নাহার ||মামুন দম্পতি||

৪০ বছরের শিক্ষিকাকে বিয়ে করলেন ২২ বছরের শিক্ষার্থী ||অধ্যাপিকা খাইরুন নাহার ||মামুন দম্পতি||

অধ্যাপিকা খাইরুন নাহার ও মামুন দম্পতি
ভালবাসা কোনো বাঁধা মানে না। যে কোন বয়সের যে কেউ প্রেমে পড়তে পারেন। বয়সের পার্থক্য প্রেমের ক্ষেত্রে কেবল একটা সংখ্যা মাত্র।

এরকম রেকর্ড অনেক আছে। শিক্ষিকা বিয়ে করেছে ছাত্রকে। এমন ঘটনার কথা শোনা গেছে ইতোপূর্বে। এবার শিক্ষিকা ও ছাত্রের অসম বয়সের প্রেম ও বিবাহের এমন ঘটনা ঘটেছে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায়। ৪০ বছর বয়সী অধ্যাপিকা খাইরুন নাহার কাজী অফিসে গিয়ে ২২ বছর বয়সী ছাত্র মামুনকে বিবাহ করেন।

তবে তাদের বিয়ের ঘটনা দীর্ঘদিন গোপন থাকার পর ৩/৪ দিন আগে জানাজানি হওয়ায় এলাকায় হইচই পড়ে গেছে। শিক্ষিকা খাইরুন নাহার নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার বাড়ী খুবজী পুর গ্রামে।
অন্যদিকে মামুনের বাড়ী একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামে। সে নাটোর নবাব সিরাজ উদ-দৌলা কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

জানা গেছে, অনেকদিন আগে রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় প্রথম বিয়ে হয় অধ্যাপিকা খাইরুন নাহারের। প্রথম পক্ষের ঘরে খাইরুল নাহারের একটি সন্তানও রয়েছে। কিন্তু পারিবারিক কলহের জেরে তাদের বিয়ে চিরস্থাীয় হয়নি। বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাদের। এরপরে দীর্ঘদিন একাকিত্ত্ব সময় কাটিয়েছেন তিনি। এসময় তিনি হতাশায় ভেঙ্গে পড়েন। ২০২১ সালের ২৪ জুন জীবনের মোড় ঘুরে যায় খাইরুন নাহারের। এই দিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মামুনের সাথে পরিচয় হয় তার। এই পরিচয় গভীর ভালবাসায় রুপ নেয়। পরে খাইরুন নাহার ও মামুন গোপনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।



খুব সম্প্রতি তাদের বিয়ের খবর জানাজানি হলে এলাকায় হইচই পড়ে যায়। বর্তমানে নাটোর শহরের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন এই দম্পতি।



খাইরুন নাহার জানান, প্রথম স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ হওয়ার পর মানষিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন তিনি। একাকীত্ত্ব, হতাশায় আত্মহত্যা করারও সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ঠিক সেই সময় ফেসবুকে পরিচয় হয় মামুনের সাথে। মামুন তার খারাপ সময় পাশে থেকে উৎসাহ দিয়েছেন এবং নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখায়। মামুন মন প্রাণ দিয়ে তাকে ভালবাসে। আর সেই ভালবাসা থেকেই দুজনের সিদ্ধান্তে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।