Скачать или смотреть শিশুর জ্বর হলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে করণীয় || Home Treatment for Fever of children ||

প্রায়ই বাচ্চাদের জ্বর হয় কিন্তু জ্বরের তাপমাত্রা যখন অনেক বেড়ে যায়, তখন কী করবেন অনেকে বুঝতে পারেন না এবং ঘাবড়ে যান। এ সময় চিকিৎসকের পরামর্শ তো নিতেই হবে এবং তৎক্ষণাৎ জ্বরের তাপমাত্রা কমানোর চেষ্টা করতে হবে। যা করবেন

১. সর্ব প্রথম থার্মোমিটার দিয়ে জ¦র আছে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে।
২. বাচ্চার জ¦র বেশি হলে বাচ্চার কপালে পানি পট্টি দিন। বাচ্চাকে কয়েক
বার পানির পট্টি দিতে হবে, দেখবেন তাপমাএা অনেকটাই কমে যাবে।
৩. কুসুম গরম পানিতে গোসল করাতে পারেন অথবা কুসুম গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে পুরো শরীর মুছে দিতে পারেন।
৪. সরিষার তেলের সাথে রসুন মিশ্রন করে বাচ্চার শরীরে মালিশ করে দিতে
পারেন। এই তেল জ¦র কমাতে সাহায্য করে এবং ঘামের সাহায্য শরীরের
টক্সিন বের করে দেয়।
৫. পেঁয়াজের কিছু চমৎকার ওষধির গুনাগুনের মধ্যে একটি হল, দেহের তাপমাএা কমানো।একটি পেঁয়াজ কুচি করে নিয়ে বাচ্চার পায়ের তালুতে ঘষুন। দিনে দুই বার এটি মালিশ করলে জ¦র অনেকটা কমবে।
৬. বাচ্চাকে বেশি করে পানি খাওয়াতে হবে প্রয়োজনে স্যালাইন দিতে পারেন।
৭. মধু ও লেবুর পেস্ট তৈরি করে বাচ্চাকে দিনে দু’বার দিতে
পারেন। মধু ও লেবু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৮. বাচ্চাকে তরল জাতীয় খাবার বেশি খাওয়াতে হবে বিশেষ করে স্যুপ,ফলের
রস ডাবের পানি ইত্যাদি বাচ্চার শরীরকে আদ্র ও জ¦র কমাতে সাহায্য করে।
৯. বাচ্চার জ¦র হলে বাচ্চাকে কটনের তৈরি বা সুতি জামাকাপড় পরান যেন
খুব সহজে হাওয়া বাতাস চলাচল করতে পারে । ঘামে জামা ভিজে গেলে
সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে দিন।

১০.বাচ্চার জ¦রের পাশাপাশি অন্যান্য কোনো রোগের লক্ষন আছে কিনা তা
নিশ্চিত করতে হবে।

বাচ্চার জ¦র হওয়া কিন্তু অন্য কোনো শারীরিক অসুস্থতার লক্ষন হতে পারে। প্রাথমিক ভাবে এসব ঘরোয়া উপায় কাজ করলেও এগুলো র্দীঘস্থায়ী সমাধান
নয়। তাই যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরার্মশ নিতে হবে।