Скачать или смотреть ফার্মেসি বিজনেস শিখুন

আপনি আলফা ফার্মেসির ব্যবসা শিখতে আগ্রহী জেনে ভালো লাগলো! এই ব্যবসা শেখা আসলে ততটা কঠিন না, যদি কিছু মৌলিক বিষয় জানা থাকে। এই ভিডিওতে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হলো কিভাবে আপনি সহজেই আলফা ফার্মেসি ব্যবসা শিখতে পারবেন:
১. ফার্মেসি ব্যবসার প্রাথমিক ধারণা
ফার্মেসি কী? ফার্মেসি হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে ঔষধপত্র ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা পণ্য বিক্রি করা হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও রোগ নিরাময়ে সহায়তা করা।
প্রকারভেদ: সাধারণত দুই ধরনের ফার্মেসি দেখা যায় –
রিটেইল ফার্মেসি (খুচরা): যেখানে সরাসরি গ্রাহকদের কাছে ঔষধ বিক্রি করা হয়।
হসপিটাল ফার্মেসি: হাসপাতালের অভ্যন্তরে রোগীদের ঔষধ সরবরাহ করে। আপনি সম্ভবত রিটেইল ফার্মেসি নিয়ে আগ্রহী।
আইনগত দিক: বাংলাদেশে ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট আইন ও নীতিমালা মেনে চলতে হয়, যা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (DGDA) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
২. প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন
ঔষধ সম্পর্কে জ্ঞান:
সাধারণ ঔষধ: সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ঔষধ, যেমন ব্যথানাশক, জ্বরের ঔষধ, এন্টাসিড, অ্যান্টিবায়োটিক (চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া না), ভিটামিন ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হবে।
ব্যবহার: কোন ঔষধ কী কাজে লাগে, সঠিক মাত্রা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, এবং কাদের জন্য উপযুক্ত বা অনুপযুক্ত তা জানা জরুরি।
সংরক্ষণ: ঔষধ কিভাবে সঠিক তাপমাত্রায় ও পরিবেশে সংরক্ষণ করতে হয়, তা জানা গুরুত্বপূর্ণ।
মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ: ঔষধের মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ পরীক্ষা করা ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি না করার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
গ্রাহক সেবা:
যোগাযোগ দক্ষতা: গ্রাহকদের সাথে ভালোভাবে কথা বলা, তাদের চাহিদা বোঝা এবং সঠিক ঔষধ বা পরামর্শ দেওয়া।
সহানুভূতি: রোগীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া এবং তাদের সমস্যাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনা।
রোগীর গোপনীয়তা: রোগীর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য গোপন রাখা।
ব্যবসা ব্যবস্থাপনা:
ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট: ঔষধের স্টক সঠিকভাবে রাখা, কোন ঔষধ ফুরিয়ে আসছে তা জানা এবং সময়মতো অর্ডার করা।
অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা: লাভ-লোকসানের হিসাব রাখা, খরচ নিয়ন্ত্রণ করা এবং মূল্য নির্ধারণ করা।
লাইসেন্সিং ও কাগজপত্র: ফার্মেসি চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় সকল লাইসেন্স ও ডকুমেন্ট সম্পর্কে ধারণা রাখা।
৩. প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা
ফার্মাসিস্টের অধীনে কাজ করা: যদি সম্ভব হয়, একজন অভিজ্ঞ ফার্মাসিস্ট বা প্রতিষ্ঠিত ফার্মেসিতে কিছুদিনের জন্য কাজ করার সুযোগ খুঁজুন। এতে আপনি হাতে-কলমে অনেক কিছু শিখতে পারবেন।
ফার্মেসি ম্যানেজমেন্ট কোর্স: কিছু প্রতিষ্ঠান ফার্মেসি ম্যানেজমেন্ট বা ঔষধ বিক্রয় সংক্রান্ত কোর্স অফার করে থাকে। এ ধরনের কোর্স আপনাকে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞান দেবে।
ঔষধ কোম্পানি বা সরবরাহকারীদের সাথে যোগাযোগ: বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি বা সরবরাহকারীদের সাথে কথা বলুন। তারা আপনাকে নতুন ঔষধ, মূল্য এবং বাজার প্রবণতা সম্পর্কে তথ্য দিতে পারে।
৪. আইনগত প্রক্রিয়া ও লাইসেন্সিং
ট্রেড লাইসেন্স: ব্যবসা শুরু করার জন্য পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে।
ড্রাগ লাইসেন্স: ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (DGDA) থেকে ড্রাগ লাইসেন্স নেওয়া অপরিহার্য। এর জন্য নির্দিষ্ট যোগ্যতা ও শর্ত পূরণ করতে হয়।
জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট: আবেদনকারীর পরিচয়পত্র প্রয়োজন হবে।
টিআইএন (Taxpayer Identification Number): আয়কর প্রদানের জন্য টিআইএন সার্টিফিকেট থাকা আবশ্যক।
৫. আলফা ফার্মেসি ব্যবসার কৌশল
সঠিক স্থান নির্বাচন: মানুষের আনাগোনা বেশি এমন স্থানে ফার্মেসি স্থাপন করুন, যেমন হাসপাতাল বা ডাক্তারের চেম্বারের আশেপাশে, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা বা বাজারের কাছাকাছি।
পণ্য নির্বাচন: শুধুমাত্র ঔষধ নয়, স্বাস্থ্যসেবার অন্যান্য পণ্য যেমন ব্যান্ডেজ, স্যানিটাইজার, মাস্ক, ডায়াবেটিস কিট ইত্যাদিও রাখতে পারেন।
দাম নির্ধারণ: ন্যায্যমূল্যে ঔষধ বিক্রি করুন। অতিরিক্ত দাম নিলে গ্রাহক হারাবেন।
পরিচ্ছন্নতা ও পরিবেশ: আপনার ফার্মেসি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন এবং গ্রাহকদের জন্য আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করুন।
প্রচারণা: স্থানীয়ভাবে ছোট আকারে প্রচারণা চালাতে পারেন, যেমন লিফলেট বিতরণ বা পরিচিতদের মাধ্যমে প্রচার।
আলফা ফার্মেসি ব্যবসা শিখতে এবং সফল হতে সময় ও ধৈর্য লাগে। নিয়মিত জ্ঞান অর্জন, গ্রাহকদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখা এবং আইন মেনে চলা এই ব্যবসায় সাফল্যের চাবিকাঠি।
আপনার যদি নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানার থাকে, তবে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।