Скачать или смотреть অসাধারণ প্রতিভা, মুখ দিয়ে পশু পাখির ডাক ডেকে দেশ কাপালো,সবাই দেখবেন!

যেখানে প্রতিভা আছে, সেখানে বুদ্ধি আছে

যেকোন কাজ খুব সুন্দর ও সঠিকভাবে করার যোগ্যতাকোই প্রতিভা বলা হয়। বলতে গেলে প্রতিটি মানুষই জন্মগতভাবে প্রতিভাবান। কিন্তু পরিবেশগত কারনে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে প্রকাশ করে আবার কেউ করতেই চায়না। কারণ সব মানুষ সবকিছু সুন্দর ভাবে সঠিকভাবে করতে পারে না।

আমরা সাধারণত প্রতিযোগিতায় বা পড়াশুনায় প্রথম হলেই ধরে নেই, যে সে ব্যক্তিটি প্রতিভাবান। তাহলে, বাকি যারা পরীক্ষায় বা প্রতিযোগীতায় অংশ নিল তারা প্রতিভাবান হল না কেন? কারন আমরাই সবাইকে প্রতিভাবান বলতে নারাজ আমরা সবার প্রতিভাকে সম্মান করতে জানি না। সবার মাঝেই কোন না কোন প্রতিভা আছে হয়ত একেক জনের একেক রকম। কেউ খেলাধুলায়, কেউ গানে, কেউ নাচে, কেউ আর্টে, কেউ পড়াশুনায় ইত্যাদীতে। প্রতিভা যাই থাকুক না কেন তাকে অবশ্যই প্রকাশ করতে হয়। যে প্রতিভা করো কাজে লাগেনা সে প্রতিভার মূল্য আছে কি?

প্রতিভার প্রকাশ হওয়া আর বিকশিত হবার মাঝে পার্থক্য আছে। নিয়মিত চর্চা ছাড়া প্রতিভা বিকশিত হওয়া প্রায় অসম্ভব। আপনার যদি মনে হয় যে, আপনার ভিতরে কোনো প্রতিভা নেই। তাহলে পরিবার বা বন্ধু বান্ধবদের পরামর্শ নিন বা নিজের যে বিষয় ভালো লাগে এরকম কয়েকটা শিখতে আরম্ভ করুন। নিয়মিত সবগুলো চর্চা করুন, কেউ যদি ভালো গীটার বাজায় এর মানে এই নয় যে সে জন্ম হতে গীটার বাজায়। তাকেও বহু প্র্যাকটিস করতে হয়েছে। তাই আপনাকেও আপনার প্রতিভা খুজে বের করতে হবে। প্রতিভার প্রকাশ না হলে আপনি কিভাবে বুজবেন যে আপনি প্রতিভাবান।

প্রতিভা ও বুদ্ধি পরষ্পর সম্পর্কযুক্ত। যেখানে প্রতিভা আছে, সেখানে বুদ্ধি আছে, বুদ্ধি ছাড়া প্রতিভাকে বিকশিত করা সম্ভব নয়। আর নিজে থেকে বুদ্ধি খাটিয়ে চেষ্টা না করলে কোনো দিনই প্রতিভার প্রকাশ করতে পারবেন না। প্রতিভাবান ব্যক্তির বুদ্ধি সাধারণ মানুষের চাইতে কিছুটা বেশি হতে পারে কিন্তু, তুখোর বুদ্ধি হলেই যে সে প্রতিভাবান হবে তা ঠিক নয়। প্রতিভাবান ব্যাক্তিরা সব সময় পরিশ্রমী হয়।

প্রতিভা সম্পর্কে মহা বিজ্ঞানী নিউটন বলেছেন,
“প্রতিভা বলতে কিছু নেই, সময়ের স্বদ্ব্যাবহার ও কঠোর অধ্যাবসায় প্রতিভার জন্ম দেয়।”

যারা অতি সাধারণ জিনিসকেও ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা প্রদান করতে পারেন, জটিল জিনিসের সরল ব্যাখ্যা দিতে পারেন তারাও প্রতিভাবান।

স্কুলের ছেলে মেয়েদের মধ্যে যারা বুদ্ধিমান তারা সাধারণত পরীক্ষায় প্রথম হতে চায়, বড় হয়ে ডাঃ ও ইঞ্জিঃ হতে চায়। কারণ তাতে পারিবারিক, সামাজিক সম্মান এবং সুন্দর ভবিষৎ সবকিছুই মিলে। কিন্তু প্রতিভাবান ছেলে-মেয়েরা পড়াশুনার পাশাপাশি তাদের পছন্দনুযায়ী লক্ষ্যের দিকে এগোতে থাকে। তারা পড়াশোনাকেই পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করাটাকেই জীবনের সেরা লক্ষ্য বলে মনে করে না।

“মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধি বা প্রতিভা কোন জিবাশ্ম জ্বালানি নয় যে তা একটা সময়ে এসে ফুরিয়ে যায়। কার্যত এটা হলো বায়ুশক্তির মত। উচ্ছেমত কাজে লাগিয়ে বিখ্যাত হওয়া যায়। জিনিয়াস হবার জিন সবার মধ্যেই আছে। আমরা দরকারি পরিবেশ প্রতিবেশ আর মানসিকতার অভাবে ভেতরের আলোটা ভালোভাবে বের করে আনতে পারছিনা।”