Скачать или смотреть Brack Kumon & Abacus শিক্ষা পদ্ধতি|| Abacus math|কুমন| এব্যাকাস গনিত||Aloha

#kumon #Brack_KUMON #abacusmath #abacuseducation #abacusfranchise #aloha #teacher #education
কুমন (Kumon) শিক্ষা পদ্ধতি হলো জাপানে উদ্ভাবিত একটি অনন্য শেখার কৌশল, যা মূলত শিশুদের গণিত ও ভাষা বিষয়ে ধাপে ধাপে দক্ষ করে তোলে।

1. ধাপে ধাপে শেখানো –

প্রতিটি শিশু নিজের গতিতে ছোট ছোট ধাপ অতিক্রম করে এগোয়। তাই দুর্বল বা মেধাবী – সবার জন্য এটি কার্যকর।



2. নিজে নিজে শিখতে উৎসাহ দেওয়া –

শিক্ষক সরাসরি উত্তর বলে দেন না, বরং এমনভাবে নির্দেশনা দেন যাতে শিক্ষার্থী নিজেই চিন্তা করে সমাধান বের করতে পারে।



3. অতিরিক্ত অনুশীলনের সুযোগ –

প্রতিদিন সামান্য কিছু করে নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে শিশুর দক্ষতা অনেক বেশি মজবুত হয়।

সুবিধাঃ


✅ বেসিক থেকে শক্ত ভিত্তি গড়ে তোলে।

✅ প্রতিদিন অল্প সময়ের অনুশীলন অভ্যাস গড়ে দেয়।

✅ গণিত ও ভাষায় সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বাড়ায়।

✅ স্বাধীনভাবে শেখার দক্ষতা তৈরি হয়।


সীমাবদ্ধতাঃ


⚠️ অনেকেই বলেন এটি খুবই রুটিন-ভিত্তিক ও পুনরাবৃত্তিমূলক, ফলে শিশুদের মাঝে কখনও একঘেয়েমি আসতে পারে।

⚠️ সৃজনশীলতা বা মুক্তচিন্তার চর্চা তুলনামূলক কম থাকে।

⚠️ কিছু দেশে এটি তুলনামূলক ব্যয়বহুল।



এবাকাসের উৎপত্তি (Origin of Abacus)


এবাকাস হলো বিশ্বের প্রাচীনতম গণনাযন্ত্রগুলির একটি।


ধারণা করা হয় এর উদ্ভব প্রায় ৫,০০০ বছর আগে।


প্রাথমিকভাবে এটি ব্যবহার করতো সুমেরীয় ও ব্যাবিলনীয় সভ্যতা (Mesopotamia অঞ্চলে)।


পরবর্তীতে চীন, মিশর, গ্রিস, রোম, ভারত ও জাপান সহ বহু দেশে এর ব্যবহার ছড়িয়ে পড়ে।


বাংলাদেশে এবাকাসের আগমন


বাংলাদেশে এবাকাসের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয় মূলত ২০০৫–২০১০ সালের পর থেকে।


বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কিছু শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠান এটি চালু করেন।


বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রোগ্রাম যেমন – ALOHA, UCMAS, SIP Abacus, Brainobrain ইত্যাদি বাংলাদেশে ফ্র্যাঞ্চাইজ হিসেবে চালু হয়েছে।

📍 কোথায় শেখানো হয়

ঢাকায় গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, উত্তরা, মিরপুর ইত্যাদি এলাকায় এবাকাস শেখানোর একাধিক কেন্দ্র আছে।

চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, রাজশাহীসহ বড় শহরগুলোতেও শাখা রয়েছে।

কিছু স্কুলেও “এবাকাস” অতিরিক্ত কার্যক্রম (extracurricular) হিসেবে চালু আছে।

1. শিশুদের মানসিক গণনা শক্তিশালী করা।

2. মনোযোগ, একাগ্রতা, মেমোরি বাড়ানো।

3. গণিতকে ভয়ের পরিবর্তে আনন্দময় করে তোলা।

4. ভবিষ্যতে পড়াশোনায় দ্রুত শেখার দক্ষতা তৈরি করা।

4. ব্যক্তি অনুযায়ী পরিকল্পনা –
প্রতিটি ছাত্রের জন্য আলাদা লেসন প্ল্যান তৈরি হয়। একজন এগিয়ে থাকলে সে সামনে এগোতে পারে, আর অন্য কেউ ধীরে শিখলেও পিছিয়ে থাকে না।


5. আত্মবিশ্বাস তৈরি –

ধীরে ধীরে অগ্রগতি দেখে শিশু নিজেই শেখায় আগ্রহী হয় ও আত্মবিশ্বাস বাড়ে।