Скачать или смотреть বিপিএলের জুয়া-ফিক্সিং কেলেঙ্কারি | BPL | Nafisa kamal | Shakib al hasan | Nazmul hossain shanto

#bpl #shakibalhasan #nazmulhossainshanto #nafisakamal
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ— বিপিএল, দেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট ইভেন্ট। ক্রিকেটের মানোন্নয়ন ও নতুন প্রতিভা তুলে ধরার লক্ষ্য নিয়ে শুরু হলেও লিগটি শুরু থেকেই নানা বিতর্ক, দুর্নীতি এবং ফিক্সিং সংক্রান্ত অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা ও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। সাম্প্রতিক সময়ে আবারও ফিক্সিং এবং জুয়া সংক্রান্ত অভিযোগ উঠে এসেছে। বিশেষত, নাফিসা কামাল, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মালিক এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী লোটাস কামালের কন্যার নেতৃত্বে বিপিএলে চলত জমজমাট জুয়ার আসর।

বিপিএল শুরুর পর থেকেই নাফিসা কামাল তার নিজস্ব দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মাধ্যমে জুয়ার আসর পরিচালনা করতেন। পাশাপাশি, অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকেও এই বেআইনি কার্যক্রমে যুক্ত করার চেষ্টা করেছেন। প্রথম দুই আসরের শিরোপা জেতা ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসকে ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে বিপিএল থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, এই ফিক্সিংয়ে নাফিসা কামাল সরাসরি জড়িত ছিলেন। তিনি ভারতীয় জুয়াড়িদের সঙ্গে যোগসাজশে বিপিএলের আড়ালে হাজার হাজার কোটি টাকার জুয়ার ব্যবসা পরিচালনা করতেন।

এই চক্রে জাতীয় দলের তারকা খেলোয়াড়দেরও সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে, সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং বর্তমান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর নাম আলোচনায় এসেছে। অভিযোগ রয়েছে, তারা জুয়া চক্রের সুবিধার্থে মাঠের পারফরম্যান্স প্রভাবিত করতেন।

খেলোয়ারদের পাশাপাশি বিসিবির শীর্ষ কর্মকর্তারা এই জুয়া চক্র থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়েছিলেন, বিশেষত বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের নাম উঠে এসেছে। এমনকি, এই বেআইনি কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু না বলার শর্তে সাংবাদিকদেরও আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

বিশ্বস্ত সূত্র অনুযায়ী, নাফিসা কামাল এবং সাকিব আল হাসান মাঝে মাঝে দুবাই সফর করতেন, যেখানে তারা ভারতীয় জুয়ারীদের সঙ্গে বৈঠক করতেন যা নিয়ে আলোচনা তীব্র হয়েছিল । ৫ আগস্টের পর, তাদের দুবাই সফরের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ভিডিওতে একে অপরের সাথে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা যায়।

জুয়ার ব্যবসায় যোগ না দেওয়াতে বাংলাদেশের ক্রিকেট থেকে তামিমকে মাইনাস করার জন্য উঠে পড়ে লাগে নাফিসা কামাল এবং সাকিব গং। আর যোগ্যতা না থাকা জুয়া চক্রে জড়িত নাজমুল শান্ত হয়ে যান তিন ফরমেটে বাংলাদেশের অধিনায়ক।

২০১৩ সালে মোহাম্মদ আশরাফুলের স্বীকারোক্তি প্রমাণ করেছিল যে, বিপিএলের ভেতরে রয়েছে স্পট ফিক্সিংয়ের মতো ভয়ংকর দাগ। তদন্তে উঠে আসে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের সংশ্লিষ্টতার কথাও। বিপিএলের স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনতে সুষ্ঠু তদন্ত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।