Скачать или смотреть বাস থেকে ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে ইন্টারচেঞ্জ ও পায়রা সেতু• Bhanga interchange & Payra bridge by Bus

ভাঙ্গা গোল চত্বর
লেবুখালী পায়রা সেতু


১. ভাঙ্গা গোল চত্বর (ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ)
ভাঙ্গা গোল চত্বর বাংলাদেশের সড়ক প্রকৌশলবিদ্যার এক অনন্য দৃষ্টান্ত এবং এটি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার রাজধানীতে প্রবেশের প্রধান প্রবেশমুখ।
🏛️ গুরুত্ব ও ইতিহাস
বাংলাদেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের শেষ প্রান্ত: এটি দেশের প্রথম এবং একমাত্র এক্সপ্রেসওয়ে (জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক)-এর শেষ প্রান্তে অবস্থিত। এক্সপ্রেসওয়েটি ঢাকা থেকে শুরু হয়ে পদ্মা সেতু পার হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত বিস্তৃত।
সংযোগস্থল (Junction): এটি চারটি প্রধান জাতীয় মহাসড়কের সংযোগস্থল:
ঢাকা–ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে
ভাঙ্গা–খুলনা মহাসড়ক
ঢাকা–ফরিদপুর মহাসড়ক
ঢাকা–পটুয়াখালী মহাসড়ক
প্রকৌশলগত বিশেষত্ব: এটি একটি আধুনিক ক্লোভারলিফ ইন্টারচেঞ্জ (Cloverleaf Interchange) বা গোল চত্বর, যেখানে কোনো ট্রাফিক সিগন্যালের অপেক্ষা না করেই যানবাহনগুলো ভিন্ন ভিন্ন লেনের মাধ্যমে নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে যেতে পারে। এটি দেশের প্রকৌশল বিদ্যার একটি নান্দনিক দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিচিত।
সময়কাল: এর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের মে মাসে। ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে এটি ২০২০ সালের ১২ মার্চ উদ্বোধন করা হয়। ইন্টারচেঞ্জটির কাজ শেষ হওয়ার পর এটি একটি দর্শনীয় স্থানেও পরিণত হয়েছে, যেখানে প্রতিদিন অনেক মানুষ ছবি তুলতে আসেন।
বিপ্লবী পরিবর্তন: পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এর মাধ্যমে ঢাকা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় দ্রুত, নিরবচ্ছিন্ন এবং ফেরিবিহীন সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে, যা এই অঞ্চলের অর্থনীতি ও জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে।
২. লেবুখালী পায়রা সেতু
পায়রা সেতু (বা লেবুখালী সেতু) বরিশাল এবং পটুয়াখালী জেলার সংযোগকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, যা কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্র এবং পায়রা সমুদ্র বন্দরের সাথে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগকে দ্রুত ও নিরবচ্ছিন্ন করেছে।
🌉 গুরুত্ব ও ইতিহাস
অবস্থান: এটি বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের (N৪) ২৬তম কিলোমিটারে দুমকি উপজেলার লেবুখালী নামক স্থানে পায়রা নদীর ওপর নির্মিত।
উদ্বোধন: সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের ২৪ জুলাই এবং এটি ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করা হয়।
যোগাযোগের মাইলফলক: এই সেতু নির্মাণের ফলে বরিশাল থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত প্রায় ১১১.৫ কিলোমিটার যাত্রাপথে পায়রা নদীতে দীর্ঘদিনের ফেরি পারাপারের প্রয়োজন সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়। পদ্মা সেতুর সাথে এটি যুক্ত হওয়ার পর ঢাকা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত সম্পূর্ণ ফেরিবিহীন সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে।
নকশা ও স্থাপত্য:
দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ: সেতুটির দৈর্ঘ্য ১,৪৭০ মিটার এবং প্রস্থ ১৯.৭৬ মিটার।
প্রযুক্তি: এটি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর উপর নির্মিত শাহ আমানত সেতুর আদলে এক্সট্রাডোজড ক্যাবল স্টেট (Extradosed Cable-Stayed) প্রযুক্তিতে নির্মিত। এটি দেখতে খুবই নান্দনিক।
নদীর প্রবাহ: সেতুটির মাঝখানে মাত্র একটি পিলার ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় থাকে।
উচ্চতা: নদীর উপরিতল থেকে এটি প্রায় ১৮.৩০ মিটার উঁচু, যা নৌযান চলাচলের জন্য যথেষ্ট।
অর্থনৈতিক প্রভাব: পায়রা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের কৃষি অর্থনীতি, পর্যটন (কুয়াকাটা) এবং তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রা বন্দরের কার্যক্রমকে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করছে। এটি এই উপকূলীয় অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।



#bridge #bhanga #kuakata_waz #barisal #patualhali #payra