Скачать или смотреть 🇷🇸 সার্বিয়ায় সরকার বিরোধী আন্দোলন চলছে : রাস্তাঘাট বন্ধl Nice weather in Belgrade l Global Holiday

সার্বিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত বিক্ষোভসমূহ দেশটির রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছে। এই প্রতিবেদনটি সেই বিক্ষোভগুলোর পটভূমি, কারণ, এবং ফলাফল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবে।

পটভূমি:

২০২৪ সালের নভেম্বরে নোভি সাদ শহরের একটি রেলওয়ে স্টেশনের ছাদ ধসে ১৫ জন নিহত হন। এই দুর্ঘটনাটি দুর্নীতি ও অবহেলার ফলাফল হিসেবে গণ্য করা হয়, যা সার্বিয়ার জনগণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা এই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে এবং সরকারকে দায়ী করে।

বিক্ষোভের কারণ:

১. দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা: রেলওয়ে স্টেশনের ছাদ ধসের পেছনে দুর্নীতি ও নিম্নমানের নির্মাণ কাজকে দায়ী করা হয়। জনগণ মনে করে যে সরকারী কর্মকর্তাদের অবহেলা ও দুর্নীতির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

২. গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হ্রাস: বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন যে সরকার সমর্থিত গণমাধ্যমে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও ভিন্নমত দমন করা হচ্ছে, যা সমাজে সহিংসতা বৃদ্ধি করছে।

৩. গণতান্ত্রিক অধিকার হ্রাস: প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার ভুচিচের শাসনামলে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা সংকুচিত হয়েছে বলে সমালোচনা রয়েছে। বিক্ষোভকারীরা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার দাবি জানাচ্ছেন।

বিক্ষোভের ঘটনা:

বেলগ্রেডে বিশাল সমাবেশ: মার্চ ২০২৫-এ বেলগ্রেডে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়। তারা সরকারের পদত্যাগ ও দায়ীদের শাস্তির দাবি জানায়।

সোনিক অস্ত্রের ব্যবহার: একটি বিক্ষোভে রহস্যজনক শব্দ শোনা যায়, যা সোনিক অস্ত্রের ব্যবহারের সন্দেহ সৃষ্টি করে। যদিও সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে, তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

ইইউ সমর্থন আহ্বান: শিক্ষার্থীরা সাইকেলে করে স্ট্রাসবুর্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থন চেয়ে যাত্রা করে, যা তাদের আন্দোলনকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরে।

ফলাফল ও প্রতিক্রিয়া:

সরকার কিছু মন্ত্রীদের পদত্যাগ গ্রহণ করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে। তবে বিক্ষোভকারীরা মনে করেন যে এই পদক্ষেপগুলো পর্যাপ্ত নয় এবং তারা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সার্বিয়ার গণতান্ত্রিক অধিকার ও মানবাধিকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।

উপসংহার:

সার্বিয়ার সাম্প্রতিক বিক্ষোভসমূহ দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। জনগণের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর এই প্রচেষ্টা ভবিষ্যতে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে বলে আশা করা যায়।

তথ্যসূত্র:
1. Al Jazeera
2. BBC
3. Reuters Pictures (Reuters Connect)
4. AP News (Associated Press)